এনবিআরে আন্দোলন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’
নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন হার অনুযায়ী, এখন থেকে সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সুদহার হবে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
৪০ মিনিট আগেপুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা,
৯ ঘণ্টা আগেপ্রথা অনুযায়ী আগামীকাল ১ জুলাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দিনে ব্যাংক হলিডে পালিত হচ্ছে। ফলে দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে ব্যাংকের অফিসগুলো খোলা থাকবে এবং লেনদেন ছাড়া অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চলবে। একই দিনে বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের লেনদেনও।
১৪ ঘণ্টা আগেইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ সোমবার দেশের সকল ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে