বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে, যা বিগত ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার বোয়িং নিজেই এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই লোকসান মূলত বোয়িংয়ের প্রধান ইউনিটগুলোর সমস্যার পাশাপাশি একটি ব্যাপক কর্মী ধর্মঘটের কারণে হয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ সময় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের সিইও কেলি ওর্টবার্গের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ওর্টবার্গ মার্কিন এই বিমান নির্মাতা কোম্পানিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বোয়িং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের কাছে সরবরাহের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে এবং একাধিক ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকদের নজরদারির মুখে পড়েছে। বোয়িংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রায়ান ওয়েস্ট বিশ্লেষকদের জানান, জানুয়ারিতে বোয়িং সর্বাধিক বিক্রীত ৩৭৩ মডেলের ৩৩টি বিমান সরবরাহ করেছে।
ব্রায়ান ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি এই বছরের শেষ দিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থানে থাকবে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাগবে। তিনি বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন হার বাড়ানোর ফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার মধ্যে প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্য এবং সম্ভবত এর চেয়েও বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন প্রয়োজন।’
ওর্টবার্গ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে তিনি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন, যদিও এটি বোয়িংয়ে বিস্তৃত সরবরাহ চেইনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও জানান, বোয়িং শিগগিরই নতুন কোনো বিমান প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা করছে না।
এদিকে, বোয়িংয়ের শেয়ারদর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তবে এই দর পরে কিছুটা কমে আসে। গত বছর মাঝ আকাশে বোয়িংয়ের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পরে। এরপর থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বেড়েছে। তবে ওর্টবার্গ বলেছেন, কোম্পানি এখন উৎপাদন স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করছে।
অপর দিকে, ২০২৪ সালে কম উৎপাদন বোয়িংয়ে আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কোম্পানির ঋণমান প্রায় ‘জাঙ্ক’ (রেটিং যে স্তরে পৌঁছালে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগে আস্থা পান না) স্তরের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানির সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৮৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মূল্যের মজুত এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ওয়েস্ট জানান, উৎপাদন স্থিতিশীল হলে মজুত কমবে এবং নগদ প্রবাহ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ করছি এবং আমাদের কারখানাগুলোকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
রেটিং সংস্থা মুডিস মঙ্গলবার বোয়িং-এর ঋণমান পুনর্মূল্যায়ন শেষ করেছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে মুডিস বোয়িংয়ের জন্য তাদের আগের ‘বিএএএ৩’ রেটিং বজায় রেখেছে, যা জাঙ্ক স্তরের ঠিক এক ধাপ ওপরে।
বোয়িং প্রশস্তকায় ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন হার প্রতি মাসে পাঁচটিতে ফিরিয়ে এনেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি মাসে সাতটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান ওর্টবার্গ। তবে কোম্পানি আসনসহ বিভিন্ন অংশের সরবরাহ চেইনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ওর্টবার্গ বলেন, তিনি বোয়িংয়ে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও পরিষেবা বিভাগ থেকে কিছু অপ্রধান ইউনিট বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, ‘এটি বোয়িং কোম্পানির বড় কোনো পুনর্গঠন হবে না।’ ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি বছরের প্রথমার্ধে নগদ অর্থ হারাবে, তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইতিবাচক নগদ প্রবাহ তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০-এর দশকে রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পর ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণে বোয়িংয়ের সর্বাধিক বিক্রীত ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উৎপাদন গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। যার ফলে কোম্পানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেও বেশি লোকসান করেছে।
ওর্টবার্গ আরও বলেন, বোয়িং টেসলা এবং এর সিইও ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্মিত বিলম্বিত এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানের সরবরাহের সময়সূচি দ্রুততর করা যায়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে, যা বিগত ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার বোয়িং নিজেই এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই লোকসান মূলত বোয়িংয়ের প্রধান ইউনিটগুলোর সমস্যার পাশাপাশি একটি ব্যাপক কর্মী ধর্মঘটের কারণে হয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ সময় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের সিইও কেলি ওর্টবার্গের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ওর্টবার্গ মার্কিন এই বিমান নির্মাতা কোম্পানিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বোয়িং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের কাছে সরবরাহের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে এবং একাধিক ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকদের নজরদারির মুখে পড়েছে। বোয়িংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রায়ান ওয়েস্ট বিশ্লেষকদের জানান, জানুয়ারিতে বোয়িং সর্বাধিক বিক্রীত ৩৭৩ মডেলের ৩৩টি বিমান সরবরাহ করেছে।
ব্রায়ান ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি এই বছরের শেষ দিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থানে থাকবে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাগবে। তিনি বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন হার বাড়ানোর ফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার মধ্যে প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্য এবং সম্ভবত এর চেয়েও বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন প্রয়োজন।’
ওর্টবার্গ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে তিনি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন, যদিও এটি বোয়িংয়ে বিস্তৃত সরবরাহ চেইনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও জানান, বোয়িং শিগগিরই নতুন কোনো বিমান প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা করছে না।
এদিকে, বোয়িংয়ের শেয়ারদর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তবে এই দর পরে কিছুটা কমে আসে। গত বছর মাঝ আকাশে বোয়িংয়ের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পরে। এরপর থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বেড়েছে। তবে ওর্টবার্গ বলেছেন, কোম্পানি এখন উৎপাদন স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করছে।
অপর দিকে, ২০২৪ সালে কম উৎপাদন বোয়িংয়ে আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কোম্পানির ঋণমান প্রায় ‘জাঙ্ক’ (রেটিং যে স্তরে পৌঁছালে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগে আস্থা পান না) স্তরের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানির সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৮৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মূল্যের মজুত এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ওয়েস্ট জানান, উৎপাদন স্থিতিশীল হলে মজুত কমবে এবং নগদ প্রবাহ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ করছি এবং আমাদের কারখানাগুলোকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
রেটিং সংস্থা মুডিস মঙ্গলবার বোয়িং-এর ঋণমান পুনর্মূল্যায়ন শেষ করেছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে মুডিস বোয়িংয়ের জন্য তাদের আগের ‘বিএএএ৩’ রেটিং বজায় রেখেছে, যা জাঙ্ক স্তরের ঠিক এক ধাপ ওপরে।
বোয়িং প্রশস্তকায় ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন হার প্রতি মাসে পাঁচটিতে ফিরিয়ে এনেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি মাসে সাতটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান ওর্টবার্গ। তবে কোম্পানি আসনসহ বিভিন্ন অংশের সরবরাহ চেইনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ওর্টবার্গ বলেন, তিনি বোয়িংয়ে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও পরিষেবা বিভাগ থেকে কিছু অপ্রধান ইউনিট বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, ‘এটি বোয়িং কোম্পানির বড় কোনো পুনর্গঠন হবে না।’ ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি বছরের প্রথমার্ধে নগদ অর্থ হারাবে, তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইতিবাচক নগদ প্রবাহ তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০-এর দশকে রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পর ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণে বোয়িংয়ের সর্বাধিক বিক্রীত ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উৎপাদন গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। যার ফলে কোম্পানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেও বেশি লোকসান করেছে।
ওর্টবার্গ আরও বলেন, বোয়িং টেসলা এবং এর সিইও ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্মিত বিলম্বিত এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানের সরবরাহের সময়সূচি দ্রুততর করা যায়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে, যা বিগত ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার বোয়িং নিজেই এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই লোকসান মূলত বোয়িংয়ের প্রধান ইউনিটগুলোর সমস্যার পাশাপাশি একটি ব্যাপক কর্মী ধর্মঘটের কারণে হয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ সময় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের সিইও কেলি ওর্টবার্গের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ওর্টবার্গ মার্কিন এই বিমান নির্মাতা কোম্পানিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বোয়িং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের কাছে সরবরাহের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে এবং একাধিক ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকদের নজরদারির মুখে পড়েছে। বোয়িংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রায়ান ওয়েস্ট বিশ্লেষকদের জানান, জানুয়ারিতে বোয়িং সর্বাধিক বিক্রীত ৩৭৩ মডেলের ৩৩টি বিমান সরবরাহ করেছে।
ব্রায়ান ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি এই বছরের শেষ দিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থানে থাকবে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাগবে। তিনি বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন হার বাড়ানোর ফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার মধ্যে প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্য এবং সম্ভবত এর চেয়েও বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন প্রয়োজন।’
ওর্টবার্গ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে তিনি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন, যদিও এটি বোয়িংয়ে বিস্তৃত সরবরাহ চেইনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও জানান, বোয়িং শিগগিরই নতুন কোনো বিমান প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা করছে না।
এদিকে, বোয়িংয়ের শেয়ারদর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তবে এই দর পরে কিছুটা কমে আসে। গত বছর মাঝ আকাশে বোয়িংয়ের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পরে। এরপর থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বেড়েছে। তবে ওর্টবার্গ বলেছেন, কোম্পানি এখন উৎপাদন স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করছে।
অপর দিকে, ২০২৪ সালে কম উৎপাদন বোয়িংয়ে আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কোম্পানির ঋণমান প্রায় ‘জাঙ্ক’ (রেটিং যে স্তরে পৌঁছালে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগে আস্থা পান না) স্তরের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানির সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৮৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মূল্যের মজুত এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ওয়েস্ট জানান, উৎপাদন স্থিতিশীল হলে মজুত কমবে এবং নগদ প্রবাহ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ করছি এবং আমাদের কারখানাগুলোকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
রেটিং সংস্থা মুডিস মঙ্গলবার বোয়িং-এর ঋণমান পুনর্মূল্যায়ন শেষ করেছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে মুডিস বোয়িংয়ের জন্য তাদের আগের ‘বিএএএ৩’ রেটিং বজায় রেখেছে, যা জাঙ্ক স্তরের ঠিক এক ধাপ ওপরে।
বোয়িং প্রশস্তকায় ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন হার প্রতি মাসে পাঁচটিতে ফিরিয়ে এনেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি মাসে সাতটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান ওর্টবার্গ। তবে কোম্পানি আসনসহ বিভিন্ন অংশের সরবরাহ চেইনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ওর্টবার্গ বলেন, তিনি বোয়িংয়ে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও পরিষেবা বিভাগ থেকে কিছু অপ্রধান ইউনিট বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, ‘এটি বোয়িং কোম্পানির বড় কোনো পুনর্গঠন হবে না।’ ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি বছরের প্রথমার্ধে নগদ অর্থ হারাবে, তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইতিবাচক নগদ প্রবাহ তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০-এর দশকে রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পর ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণে বোয়িংয়ের সর্বাধিক বিক্রীত ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উৎপাদন গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। যার ফলে কোম্পানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেও বেশি লোকসান করেছে।
ওর্টবার্গ আরও বলেন, বোয়িং টেসলা এবং এর সিইও ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্মিত বিলম্বিত এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানের সরবরাহের সময়সূচি দ্রুততর করা যায়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে, যা বিগত ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার বোয়িং নিজেই এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই লোকসান মূলত বোয়িংয়ের প্রধান ইউনিটগুলোর সমস্যার পাশাপাশি একটি ব্যাপক কর্মী ধর্মঘটের কারণে হয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ সময় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের সিইও কেলি ওর্টবার্গের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ওর্টবার্গ মার্কিন এই বিমান নির্মাতা কোম্পানিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বোয়িং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের কাছে সরবরাহের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে এবং একাধিক ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকদের নজরদারির মুখে পড়েছে। বোয়িংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রায়ান ওয়েস্ট বিশ্লেষকদের জানান, জানুয়ারিতে বোয়িং সর্বাধিক বিক্রীত ৩৭৩ মডেলের ৩৩টি বিমান সরবরাহ করেছে।
ব্রায়ান ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি এই বছরের শেষ দিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থানে থাকবে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাগবে। তিনি বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন হার বাড়ানোর ফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার মধ্যে প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্য এবং সম্ভবত এর চেয়েও বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন প্রয়োজন।’
ওর্টবার্গ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে তিনি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন, যদিও এটি বোয়িংয়ে বিস্তৃত সরবরাহ চেইনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও জানান, বোয়িং শিগগিরই নতুন কোনো বিমান প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা করছে না।
এদিকে, বোয়িংয়ের শেয়ারদর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তবে এই দর পরে কিছুটা কমে আসে। গত বছর মাঝ আকাশে বোয়িংয়ের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পরে। এরপর থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বেড়েছে। তবে ওর্টবার্গ বলেছেন, কোম্পানি এখন উৎপাদন স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করছে।
অপর দিকে, ২০২৪ সালে কম উৎপাদন বোয়িংয়ে আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কোম্পানির ঋণমান প্রায় ‘জাঙ্ক’ (রেটিং যে স্তরে পৌঁছালে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগে আস্থা পান না) স্তরের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানির সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৮৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মূল্যের মজুত এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ওয়েস্ট জানান, উৎপাদন স্থিতিশীল হলে মজুত কমবে এবং নগদ প্রবাহ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ করছি এবং আমাদের কারখানাগুলোকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
রেটিং সংস্থা মুডিস মঙ্গলবার বোয়িং-এর ঋণমান পুনর্মূল্যায়ন শেষ করেছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে মুডিস বোয়িংয়ের জন্য তাদের আগের ‘বিএএএ৩’ রেটিং বজায় রেখেছে, যা জাঙ্ক স্তরের ঠিক এক ধাপ ওপরে।
বোয়িং প্রশস্তকায় ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন হার প্রতি মাসে পাঁচটিতে ফিরিয়ে এনেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি মাসে সাতটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান ওর্টবার্গ। তবে কোম্পানি আসনসহ বিভিন্ন অংশের সরবরাহ চেইনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ওর্টবার্গ বলেন, তিনি বোয়িংয়ে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও পরিষেবা বিভাগ থেকে কিছু অপ্রধান ইউনিট বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, ‘এটি বোয়িং কোম্পানির বড় কোনো পুনর্গঠন হবে না।’ ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি বছরের প্রথমার্ধে নগদ অর্থ হারাবে, তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইতিবাচক নগদ প্রবাহ তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০-এর দশকে রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পর ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণে বোয়িংয়ের সর্বাধিক বিক্রীত ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উৎপাদন গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। যার ফলে কোম্পানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেও বেশি লোকসান করেছে।
ওর্টবার্গ আরও বলেন, বোয়িং টেসলা এবং এর সিইও ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্মিত বিলম্বিত এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানের সরবরাহের সময়সূচি দ্রুততর করা যায়।
সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
১০ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশক্রমে জয়েন্ট কমিশনার সুমন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশক্রমে জয়েন্ট কমিশনার সুমন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
১০ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
১০ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকার: এম. শামসুল আরেফিন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা কীভাবে শুরু হয়?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার কত?
এম. শামসুল আরেফিন: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকে প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা: বয়সের সীমা কি কোনো অন্তরায়?
এম. শামসুল আরেফিন: মোটেও না। এটা বরং বাড়তি সুযোগ। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে হিসাব খুলতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার কোনোটাই এখানে নেই।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।
এম. শামসুল আরেফিন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আর দেশে মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৪ লাখের বেশি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সবই ছোট ছোট পকেটমানি কিংবা নাশতার টাকা কিংবা উপহারের টাকা। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের নয়, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে আর কী কী সুবিধা থাকছে?
এম. শামসুল আরেফিন: এনসিসি ব্যাংক ভবিষ্যতে ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ বা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানতকে (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুযোগ দেবে। এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই হিসাব খোলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং শুধু আর্থিক পণ্য বা সেবা নয়, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ আর আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নির্মাণে যার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা কীভাবে শুরু হয়?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার কত?
এম. শামসুল আরেফিন: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকে প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা: বয়সের সীমা কি কোনো অন্তরায়?
এম. শামসুল আরেফিন: মোটেও না। এটা বরং বাড়তি সুযোগ। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে হিসাব খুলতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার কোনোটাই এখানে নেই।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।
এম. শামসুল আরেফিন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আর দেশে মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৪ লাখের বেশি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সবই ছোট ছোট পকেটমানি কিংবা নাশতার টাকা কিংবা উপহারের টাকা। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের নয়, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে আর কী কী সুবিধা থাকছে?
এম. শামসুল আরেফিন: এনসিসি ব্যাংক ভবিষ্যতে ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ বা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানতকে (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুযোগ দেবে। এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই হিসাব খোলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং শুধু আর্থিক পণ্য বা সেবা নয়, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ আর আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নির্মাণে যার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
১০ ঘণ্টা আগে