নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো আছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাঁর দাবি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও নানা সংকটের মধ্যেও এ সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। মূল্যস্ফীতিকে অর্থনীতির জন্য জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর মতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও যথেষ্ট ভালো আছে। তবে রিজার্ভে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নিট বা গ্রস—উভয় হিসাবেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, সেটা আমরা পূরণ করতে পারিনি। আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা কখনো পূরণ করা যাবে না। দেশে যত প্রবাসী আয় আসে, তা দ্বিগুণ করা সম্ভব। এত টালমাটাল পরিস্থিতির পরও দেশের রিজার্ভ ২৫-২৬ বিলিয়ন ডলার। এ বছর আমরা তা কোনোভাবেই ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে দেব না। এটা সম্ভব।’
ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘সুদহার আগের পর্যায়ে রেখে দিলে এখন তা ২২-২৪ শতাংশে উঠে যেত। তাতে আমাদের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ হারিয়ে যেত, কিন্তু আমরা তা হতে দিইনি।’
কিন্তু সুদহার আবার বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদহার বাড়ছে, তা ঠিক। বাজার যদি তা নিতে পারে, তাহলে কেন বাড়বে না? কিন্তু সুদহার যখন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সে সময় ছোট, মাঝারি, এমনকি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বেশি সুদ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা তা বাড়তে দিইনি। কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে পত্রিকা থেকে জেনেছি, তা থাকবে না।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩—এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট–বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এটিকে তারা অনিয়মের খুব ক্ষুদ্র চিত্র বলে উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে নতুন সরকারের কোনো পরিকল্পনা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সরকার এখনো গঠিত হয়নি। ফলে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন হবে না।’
সিপিডির পরামর্শের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নিই তখনই তাদের বলেছি, আপনারা এর মধ্যে আসবেন না। তারা বারবার বলেছে, ডিভ্যালু (টাকা অবমূল্যায়ন) করেন। তা না করলে টিকতে পারবেন না। আমরা সেটা শুনিনি। আমরা তো টিকে আছি! আমরা কি না খেয়ে আছি? বাজারে জিনিসপত্র তো পাওয়া যাচ্ছে। বাজার থেকে কোনো জিনিস অবিক্রীত ফেরত আসে?’
এ সময় মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গ তুললে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য জরুরি। যাঁরা অর্থনীতি নিয়ে ওইভাবে চিন্তা করেন না, তাঁরা মূল্যস্ফীতি না চাইতে পারেন। ৮–১০ বছরের মতো মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রেখেছি। এর চেয়ে ভালো আর হতে পারে না।’
নতুন সরকারের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে, সেই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নতুন সরকার জানে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি। অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
গার্মেন্টস খাতে রপ্তানি কমে গেলে কী হবে—এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি কেন হবে? যদি কেউ অপরাধ করে তার শাস্তি আছে। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করেনি, করলে ধরা পড়ত। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ যা করে তারা কিন্তু স্টাডি করেই করে। আমরা হয়তো আইএমএফের কিছু পূরণ করতে পেরেছি কিছু পারিনি। কিন্তু জিডিপিতে আমরা ৩৫তম বা ৩৬তম।’
আবার অর্থমন্ত্রী হলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কে অর্থমন্ত্রী হবেন, তা জানি না। শপথ হলেই তা জানা যাবে।’ তবে সামগ্রিকভাবে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে এখনো অনেক অনাবিষ্কৃত খাত আছে, এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে আরও অনেক দূর যেতে হবে, সেটা সম্ভব।’
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো আছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাঁর দাবি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও নানা সংকটের মধ্যেও এ সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। মূল্যস্ফীতিকে অর্থনীতির জন্য জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর মতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও যথেষ্ট ভালো আছে। তবে রিজার্ভে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নিট বা গ্রস—উভয় হিসাবেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, সেটা আমরা পূরণ করতে পারিনি। আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা কখনো পূরণ করা যাবে না। দেশে যত প্রবাসী আয় আসে, তা দ্বিগুণ করা সম্ভব। এত টালমাটাল পরিস্থিতির পরও দেশের রিজার্ভ ২৫-২৬ বিলিয়ন ডলার। এ বছর আমরা তা কোনোভাবেই ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে দেব না। এটা সম্ভব।’
ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘সুদহার আগের পর্যায়ে রেখে দিলে এখন তা ২২-২৪ শতাংশে উঠে যেত। তাতে আমাদের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ হারিয়ে যেত, কিন্তু আমরা তা হতে দিইনি।’
কিন্তু সুদহার আবার বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদহার বাড়ছে, তা ঠিক। বাজার যদি তা নিতে পারে, তাহলে কেন বাড়বে না? কিন্তু সুদহার যখন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সে সময় ছোট, মাঝারি, এমনকি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বেশি সুদ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা তা বাড়তে দিইনি। কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে পত্রিকা থেকে জেনেছি, তা থাকবে না।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩—এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট–বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এটিকে তারা অনিয়মের খুব ক্ষুদ্র চিত্র বলে উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে নতুন সরকারের কোনো পরিকল্পনা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সরকার এখনো গঠিত হয়নি। ফলে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন হবে না।’
সিপিডির পরামর্শের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নিই তখনই তাদের বলেছি, আপনারা এর মধ্যে আসবেন না। তারা বারবার বলেছে, ডিভ্যালু (টাকা অবমূল্যায়ন) করেন। তা না করলে টিকতে পারবেন না। আমরা সেটা শুনিনি। আমরা তো টিকে আছি! আমরা কি না খেয়ে আছি? বাজারে জিনিসপত্র তো পাওয়া যাচ্ছে। বাজার থেকে কোনো জিনিস অবিক্রীত ফেরত আসে?’
এ সময় মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গ তুললে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য জরুরি। যাঁরা অর্থনীতি নিয়ে ওইভাবে চিন্তা করেন না, তাঁরা মূল্যস্ফীতি না চাইতে পারেন। ৮–১০ বছরের মতো মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রেখেছি। এর চেয়ে ভালো আর হতে পারে না।’
নতুন সরকারের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে, সেই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নতুন সরকার জানে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি। অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
গার্মেন্টস খাতে রপ্তানি কমে গেলে কী হবে—এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি কেন হবে? যদি কেউ অপরাধ করে তার শাস্তি আছে। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করেনি, করলে ধরা পড়ত। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ যা করে তারা কিন্তু স্টাডি করেই করে। আমরা হয়তো আইএমএফের কিছু পূরণ করতে পেরেছি কিছু পারিনি। কিন্তু জিডিপিতে আমরা ৩৫তম বা ৩৬তম।’
আবার অর্থমন্ত্রী হলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কে অর্থমন্ত্রী হবেন, তা জানি না। শপথ হলেই তা জানা যাবে।’ তবে সামগ্রিকভাবে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে এখনো অনেক অনাবিষ্কৃত খাত আছে, এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে আরও অনেক দূর যেতে হবে, সেটা সম্ভব।’
ক্যাস্ট্রল পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ডগুলোর একটি। এই ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের বাজারে তাদের এক্সক্লুসিভ আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে রক এনার্জি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে ক্যাস্ট্রলের পণ্য আরও বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠবে।
৩৬ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বাণিজ্য চুক্তি হলে যা চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে, সেই দেশের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ যখন বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে, তখন চীনের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন চাপ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত
১ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বর্ধিত শুল্ক এড়াতে পণ্যের প্রকৃত উৎস গোপন করে দক্ষিণ কোরিয়ার নামে রপ্তানির চেষ্টা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো। এরই মধ্যে ২ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানিতে এ ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে ৯৭ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) থেকে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ২টা ১০ মিনিটে ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ১৪তম আন্তর্জাতিক গন্তব্য রিয়াদের উদ্দেশে যাত্রা করে।
৩ ঘণ্টা আগে