আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকটসহ নানা কারণে নাজেহাল দেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাত ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে আরও নাজুক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে একটা নির্বাচন। এখন যদি কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তো ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি—সব ধ্বংস হয়ে যাবে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা থাকবে না। রাস্তা অবরোধ হলে গাড়ি চলবে না। সোজা কথায়, যেকোনো অসহিষ্ণুতা, হরতাল, অবরোধ মোটেই কাম্য নয়।’
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের ফরেন রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়নে উঠেছিল। এখন সেটা কোথায় নেমে গেছে সবাই জানেন। এটার জন্য সবাই চাপে আছে। এই সময় রাজনৈতিক যেকোনো কিছুই অস্বস্তিকর। দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।’ বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, গত আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৭৮২ মিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৩১০ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৪৭১ মিলিয়ন ডলার।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতারা উদ্বিগ্ন। এতে করে রপ্তানি আয় কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘বায়াররা ওরিড। এখন পর্যন্ত কনভিন্স করে রেখেছিলাম। যার কারণে অর্ডার কম হলেও অনেকেই চালু রেখেছিল। কোনো কোনো বায়ার অর্ডার বাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে বায়াররা কনসার্ন। তারা দেখতে চায়, ভবিষ্যতে কী হচ্ছে? এটার ওপর তারা অর্ডার ক্যানসেল করবে না কমিয়ে দেবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে। এই মুহূর্তে তারা খুবই বিচলিত। সামনে এসবের ভিত্তিতে বিভিন্ন বায়ার বিভিন্ন অ্যাকশন নেবে।’
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগে। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়। তার আগের মাস নভেম্বরে রপ্তানি আয় কমতে দেখা যায়। ওই বছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৭১১ মিলিয়ন ডলার, যা নভেম্বরে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪২১ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগের মাসে রপ্তানি আয় কমে যায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এই ধরনের যেকোনো অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এই সিচুয়েশনে বিদেশি কোনো বায়ার বাংলাদেশে আসবে না। আসতে চাইবে না। এ রকম অস্থিতিশীল অবস্থা যদি থাকে, বায়াররা যদি না আসে, তাহলে সেলটা বা অর্ডার প্রকিউরমেন্টটা হয়তো করতে পারব না।’
‘হরতাল-অবরোধে কারখানায় পূর্বনির্ধারিত ইন্সপেকশন হতে পারছে না। পরিদর্শক কারখানায় যেতে পারছে না। ফলে আমাদের শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। যদি টাইমলি শিপমেন্ট না যায়, তাহলে আরও বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। হয়তো বিদেশি ক্রেতারা বলবে, এই হারে মাল পাঠাও বা ডিসকাউন্ট দাও।’
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, ‘এমনিতেই এখন আমাদের কাজ কম। এই ধরনের অবস্থা যদি চলে, তাহলে যেটা আছে, সেটাও করতে পারব না। বায়াররা তখন বিকল্প চিন্তা করবে। যেটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রপ্তানি কমবে, রিজার্ভ ফল করবে, উৎপাদনে যেতে না পারলে মানুষ জবলেস হবে।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়েও আমাদের রাজনীতি রাজপথ ছাড়তে পারল না। ফলে প্রতিবারই মেয়াদের শেষ সময়ে একই ধরনের ঝামেলা হয়। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে জোর করে ক্ষমতায় থাকার প্রবণতা থাকে, এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। রাজনীতির এই অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতি ভুগবে। মানুষের দ্রোহ বাড়বে। কারণ, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে।’
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকটসহ নানা কারণে নাজেহাল দেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাত ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে আরও নাজুক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে একটা নির্বাচন। এখন যদি কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তো ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি—সব ধ্বংস হয়ে যাবে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা থাকবে না। রাস্তা অবরোধ হলে গাড়ি চলবে না। সোজা কথায়, যেকোনো অসহিষ্ণুতা, হরতাল, অবরোধ মোটেই কাম্য নয়।’
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের ফরেন রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়নে উঠেছিল। এখন সেটা কোথায় নেমে গেছে সবাই জানেন। এটার জন্য সবাই চাপে আছে। এই সময় রাজনৈতিক যেকোনো কিছুই অস্বস্তিকর। দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।’ বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, গত আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৭৮২ মিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৩১০ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৪৭১ মিলিয়ন ডলার।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতারা উদ্বিগ্ন। এতে করে রপ্তানি আয় কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘বায়াররা ওরিড। এখন পর্যন্ত কনভিন্স করে রেখেছিলাম। যার কারণে অর্ডার কম হলেও অনেকেই চালু রেখেছিল। কোনো কোনো বায়ার অর্ডার বাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে বায়াররা কনসার্ন। তারা দেখতে চায়, ভবিষ্যতে কী হচ্ছে? এটার ওপর তারা অর্ডার ক্যানসেল করবে না কমিয়ে দেবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে। এই মুহূর্তে তারা খুবই বিচলিত। সামনে এসবের ভিত্তিতে বিভিন্ন বায়ার বিভিন্ন অ্যাকশন নেবে।’
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগে। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়। তার আগের মাস নভেম্বরে রপ্তানি আয় কমতে দেখা যায়। ওই বছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৭১১ মিলিয়ন ডলার, যা নভেম্বরে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪২১ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগের মাসে রপ্তানি আয় কমে যায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এই ধরনের যেকোনো অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এই সিচুয়েশনে বিদেশি কোনো বায়ার বাংলাদেশে আসবে না। আসতে চাইবে না। এ রকম অস্থিতিশীল অবস্থা যদি থাকে, বায়াররা যদি না আসে, তাহলে সেলটা বা অর্ডার প্রকিউরমেন্টটা হয়তো করতে পারব না।’
‘হরতাল-অবরোধে কারখানায় পূর্বনির্ধারিত ইন্সপেকশন হতে পারছে না। পরিদর্শক কারখানায় যেতে পারছে না। ফলে আমাদের শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। যদি টাইমলি শিপমেন্ট না যায়, তাহলে আরও বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। হয়তো বিদেশি ক্রেতারা বলবে, এই হারে মাল পাঠাও বা ডিসকাউন্ট দাও।’
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, ‘এমনিতেই এখন আমাদের কাজ কম। এই ধরনের অবস্থা যদি চলে, তাহলে যেটা আছে, সেটাও করতে পারব না। বায়াররা তখন বিকল্প চিন্তা করবে। যেটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রপ্তানি কমবে, রিজার্ভ ফল করবে, উৎপাদনে যেতে না পারলে মানুষ জবলেস হবে।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়েও আমাদের রাজনীতি রাজপথ ছাড়তে পারল না। ফলে প্রতিবারই মেয়াদের শেষ সময়ে একই ধরনের ঝামেলা হয়। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে জোর করে ক্ষমতায় থাকার প্রবণতা থাকে, এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। রাজনীতির এই অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতি ভুগবে। মানুষের দ্রোহ বাড়বে। কারণ, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে।’
আইপিও ফান্ডের ৮০ কোটি ১১ লাখ টাকার অনিয়মের কারণে এক মাসের মধ্যে ৯০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে। তা না হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচজন পরিচালককে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ সময়ে শেয়ার লেনদেনের দায়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের দুই উদ্যোক্তা পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। একই সঙ্গে দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির কিউআইও প্রত্যাহার এবং ড্যাফোডিল কম্পিউটারের ঋণকে ইকুইটিতে রূপান্তরের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের সর্ববৃহৎ শরিয়া ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান। সম্প্রতি তাঁকে ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেবুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন তাঁরা। অবস্থান কর্মসূচিতে শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চাকরি পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
১০ ঘণ্টা আগে