নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরশক্তি, সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমানো যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতি (বিএসআরইএ)।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএসআরইএ-এর বক্তারা জানান, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন প্রতি বছর প্রায় ২০০ এমএমসিএফ করে কমে যাচ্ছে। এর ফলে দেশ ক্রমাগত আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরশক্তির সম্প্রসারণ অত্যন্ত জরুরি।
বিএসআরইএ সরকারের ৫৫টি নতুন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে। তবে তাঁরা বলেছেন, এসব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম থাকে। এর কারণ হিসেবে পূর্বে ৩৭টি সৌর প্রকল্প বাতিল হওয়া এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিশ্চয়তা ও আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সৌরশক্তি সম্প্রসারণে আগ্রহী হবে এবং এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।
তারা সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর সুবিধা দেওয়া; সোলারের যন্ত্রাংশের শুল্ক কমানো; সোলার পণ্যের মূল্যায়ন পিআই ভ্যালুর ভিত্তিতে করা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সৌরবিদ্যুৎ কাঠামোগত পরিবর্তন করে গ্রাহকদের সৌরশক্তি ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা প্রয়োজন। তারা মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা হলে জ্বালানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএসআরইএ-এর প্রতিনিধিরা বলেন, এখন সোলার প্যানেলের নিম্নমানের হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, এগুলো বিএসটিআই-এর মাধ্যমে যাচাই ও অনুমোদন হয়ে থাকে। তবে নিম্নমানের পণ্য দিয়ে গ্রাহকেরা যাতে প্রতারিত না হন, সে জন্য সরকারকে কঠোর পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্রাহকদের আগ্রহ কম এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের অভাব প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, প্যানেলের মানসম্মত আপগ্রেড মডেল বাজারে এলে গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়বে। এ ছাড়া, যদি জ্বালানি বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তির খরচ সমান থাকে, তবে গ্রাহকেরা সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে তাঁরা বলেন, বিনিয়োগকারীদের দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য আস্থা তৈরি করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তার আইনগুলো সরকার কার্যকর করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটাবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতির (বিএসআরইএ) সভাপতি মো. মোস্তফা আল মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার, সিনিয়র সহসভাপতি জাহিদুল আলম, সহসভাপতি মো. আবু তাহের, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিতাই পদ সাহা প্রমুখ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরশক্তি, সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমানো যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতি (বিএসআরইএ)।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএসআরইএ-এর বক্তারা জানান, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন প্রতি বছর প্রায় ২০০ এমএমসিএফ করে কমে যাচ্ছে। এর ফলে দেশ ক্রমাগত আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরশক্তির সম্প্রসারণ অত্যন্ত জরুরি।
বিএসআরইএ সরকারের ৫৫টি নতুন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে। তবে তাঁরা বলেছেন, এসব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম থাকে। এর কারণ হিসেবে পূর্বে ৩৭টি সৌর প্রকল্প বাতিল হওয়া এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিশ্চয়তা ও আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সৌরশক্তি সম্প্রসারণে আগ্রহী হবে এবং এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।
তারা সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর সুবিধা দেওয়া; সোলারের যন্ত্রাংশের শুল্ক কমানো; সোলার পণ্যের মূল্যায়ন পিআই ভ্যালুর ভিত্তিতে করা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সৌরবিদ্যুৎ কাঠামোগত পরিবর্তন করে গ্রাহকদের সৌরশক্তি ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা প্রয়োজন। তারা মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা হলে জ্বালানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএসআরইএ-এর প্রতিনিধিরা বলেন, এখন সোলার প্যানেলের নিম্নমানের হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, এগুলো বিএসটিআই-এর মাধ্যমে যাচাই ও অনুমোদন হয়ে থাকে। তবে নিম্নমানের পণ্য দিয়ে গ্রাহকেরা যাতে প্রতারিত না হন, সে জন্য সরকারকে কঠোর পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্রাহকদের আগ্রহ কম এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের অভাব প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, প্যানেলের মানসম্মত আপগ্রেড মডেল বাজারে এলে গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়বে। এ ছাড়া, যদি জ্বালানি বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তির খরচ সমান থাকে, তবে গ্রাহকেরা সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে তাঁরা বলেন, বিনিয়োগকারীদের দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য আস্থা তৈরি করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তার আইনগুলো সরকার কার্যকর করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটাবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতির (বিএসআরইএ) সভাপতি মো. মোস্তফা আল মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার, সিনিয়র সহসভাপতি জাহিদুল আলম, সহসভাপতি মো. আবু তাহের, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিতাই পদ সাহা প্রমুখ।
মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত নীতি সুদ কমানোর প্রশ্নই উঠছে না—এমন বার্তাই দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য নতুন মুদ্রানীতিতে আগের মতোই ১০ শতাংশ নীতি সুদহার বা রেপো রেট বহাল রাখা হচ্ছে। আগের তিন দফার বৃদ্ধির পর যেটি এখন সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
৬ ঘণ্টা আগেশরিয়াহ পরিচালিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে চলা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির হোতা ছিলেন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী। বেনামি ঋণ বিতরণ, আমানতের অর্থ লোপাট, এমনকি জাকাত ফান্ডের অপব্যবহার—এমন কোনো অভিযোগ নেই, যা ওঠেনি তাঁর বিরুদ্ধে। এসব গুরুতর অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাংকের...
৬ ঘণ্টা আগেডলারের দরে ভিন্নমাত্রার ওঠানামা এখন স্পষ্ট। দেশে ডলারের চাহিদা কমতে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিচ্ছে উল্টো কৌশল, নিয়মিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ডলার কিনছে। সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে কিনেছে ৪৮৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রোববার ১৭১ মিলিয়ন, আর মঙ্গলবার এক দিনেই ৩১৩ মিলিয়ন ডলার।
৬ ঘণ্টা আগেআষাঢ়ের শুরু থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘের দখলে রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও পরপর দুটি বৃষ্টি বলয়ের ঘন বর্ষণ দীর্ঘদিন ধরেই নাকাল করছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি পাওয়া স্যাটেলাইট তথ্য অনুযায়ী, আবারও একটি বৃষ্টি বলয়ের ভেতর পড়তে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশ।
৬ ঘণ্টা আগে