এএফপির বিশ্লেষণ
অনলাইন ডেস্ক
আগামীকাল শুক্রবার থেকে ভারতের ওপর কার্যকর হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর ফলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ভারতকে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং আলাদা কিছু ‘জরিমানা’ দিতে হবে। পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিল্লির শুল্ক নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আমরা দেখব কী হয়।’ তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ভারতের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটি রপ্তানিতে খুব শক্তিশালী না হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে ভারত যুক্তরাষ্ট্রে ৮৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তবে ভারতের রক্ষণশীল বাণিজ্যনীতির কারণে সেই একই বছরে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুধু শুল্কের কারণেই ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২০-৫০ বেসিস পয়েন্টে আঘাত আসতে পারে। ব্লুমবার্গ ইকোনমিকস অনুমান করছে, ২৬ শতাংশ পাল্টাপাল্টি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। এ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ট্রাম্পের ‘জরিমানা’ যদি ভারতীয় রপ্তানির ওপর আরোপ করা হয়, তাহলে ট্রাম্পের নীতির সামগ্রিক প্রভাব আরও গুরুতর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের উৎপাদন খাতের স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ সিলন শাহ বলেন, ভারতের ওপর শুল্ক এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে ভারতের আকর্ষণ কিছুটা কমে যাবে’। তবে শ্রমের খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা এখনো ভারতের রয়েছে। তাই যেকোনো দেশ ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইবে।
কোন কোন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে
ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে স্মার্টফোন, ওষুধ, রত্ন, বস্ত্র ও শিল্প যন্ত্রপাতি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু শ্রমনির্ভর পণ্য—যেমন; গয়না ও সামুদ্রিক খাবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভারতের গয়না খাত গত বছর ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করেছিল। এই খাতসংশ্লিষ্টরা সতর্ক করেছেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ‘হাজার হাজার’ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কিরিট ভানসালি বলেছেন, শুল্ক খরচ বাড়াবে, পণ্য পাঠাতে বিলম্ব ঘটাবে... এবং মূল্য শৃঙ্খলের প্রতিটি অংশে বিশাল চাপ সৃষ্টি করবে।
জাপানের বিখ্যাত আর্থিক পরিষেবা সংস্থা বিনিয়োগ ব্যাংক নোমুরার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের সামুদ্রিক খাবার ওয়ালমার্টের মতো মার্কিন সুপারমার্কেট চেইনগুলোতে চিংড়ি সরবরাহ করে। ট্রাম্পের শুল্কের কারণে তারা অন্য সরবরাহকারীদের কাছে তাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজার হারাতে পারে।
তবে বর্তমানে স্মার্টফোন ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাত ট্রাম্পের ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক থেকে ছাড় পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তিতে বাধা কী
ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাতকে উন্মুক্ত করতে দিল্লির অনীহা এই বাণিজ্য চুক্তির একটি বড় বাধা। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের উচ্চ কৃষি শুল্কের সমালোচনা করে আসছে। তবে ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, চাল ও গমের মতো প্রধান খাদ্যপণ্যের শুল্ক কমালে শক্তিশালী ভোটার গোষ্ঠী কৃষকদের অসন্তুষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা দিল্লি নিতে চায় না। এই ভাবনা থেকেই ভারত এখন পর্যন্ত জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড পণ্য আমদানির অনুমতি দিতেও রাজি হয়নি।
যদিও একটি অন্তর্বর্তী বাণিজ্যিক চুক্তি করার সময় ফুরিয়ে আসছে, তবে দুই পক্ষই অক্টোবরের মধ্যে একটি বৃহত্তর বাণিজ্যিক চুক্তির প্রথম অংশ নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা আগস্টেও আলোচনার জন্য ভারত সফর করতে পারেন।
বিভিন্ন জ্বালানি কেনার বিষয়টিও মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন সফরের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, দুই পক্ষ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে’ কাজ করবে।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ট্রাম্পের ক্ষোভ রয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের পরে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ভারতের সামরিক আমদানির ৭৬ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর পরিমাণ কিছুটা কমেছে, তবে ভারত এখনো যন্ত্রাংশের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
মস্কো সাবমেরিন প্রযুক্তি, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত অস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপে ঐতিহ্যবাহী ক্রেতারা দূরে সরে যাওয়ার পর মস্কোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি রপ্তানি বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। এর ফলে ভারতের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে, একই সঙ্গে মস্কোর কোষাগারও শক্তিশালী হয়েছে।
ভারত অন্য উৎস থেকে তেল পেতে পারে, কিন্তু রাশিয়ার সামরিক হার্ডওয়্যার থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে আসা তার জন্য কঠিন হবে। দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান এএফপিকে বলেন, রাশিয়ার জন্য বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি বাইডেনের মতো অতটা মস্কোবিদ্বেষী নন। তবে ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত আচরণের সর্বশেষ শিকার হলো নয়াদিল্লি।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে ভারতের ওপর কার্যকর হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর ফলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ভারতকে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং আলাদা কিছু ‘জরিমানা’ দিতে হবে। পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিল্লির শুল্ক নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আমরা দেখব কী হয়।’ তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ভারতের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটি রপ্তানিতে খুব শক্তিশালী না হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে ভারত যুক্তরাষ্ট্রে ৮৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তবে ভারতের রক্ষণশীল বাণিজ্যনীতির কারণে সেই একই বছরে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুধু শুল্কের কারণেই ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২০-৫০ বেসিস পয়েন্টে আঘাত আসতে পারে। ব্লুমবার্গ ইকোনমিকস অনুমান করছে, ২৬ শতাংশ পাল্টাপাল্টি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। এ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ট্রাম্পের ‘জরিমানা’ যদি ভারতীয় রপ্তানির ওপর আরোপ করা হয়, তাহলে ট্রাম্পের নীতির সামগ্রিক প্রভাব আরও গুরুতর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের উৎপাদন খাতের স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ সিলন শাহ বলেন, ভারতের ওপর শুল্ক এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে ভারতের আকর্ষণ কিছুটা কমে যাবে’। তবে শ্রমের খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা এখনো ভারতের রয়েছে। তাই যেকোনো দেশ ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইবে।
কোন কোন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে
ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে স্মার্টফোন, ওষুধ, রত্ন, বস্ত্র ও শিল্প যন্ত্রপাতি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু শ্রমনির্ভর পণ্য—যেমন; গয়না ও সামুদ্রিক খাবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভারতের গয়না খাত গত বছর ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করেছিল। এই খাতসংশ্লিষ্টরা সতর্ক করেছেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ‘হাজার হাজার’ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কিরিট ভানসালি বলেছেন, শুল্ক খরচ বাড়াবে, পণ্য পাঠাতে বিলম্ব ঘটাবে... এবং মূল্য শৃঙ্খলের প্রতিটি অংশে বিশাল চাপ সৃষ্টি করবে।
জাপানের বিখ্যাত আর্থিক পরিষেবা সংস্থা বিনিয়োগ ব্যাংক নোমুরার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের সামুদ্রিক খাবার ওয়ালমার্টের মতো মার্কিন সুপারমার্কেট চেইনগুলোতে চিংড়ি সরবরাহ করে। ট্রাম্পের শুল্কের কারণে তারা অন্য সরবরাহকারীদের কাছে তাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজার হারাতে পারে।
তবে বর্তমানে স্মার্টফোন ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাত ট্রাম্পের ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক থেকে ছাড় পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তিতে বাধা কী
ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাতকে উন্মুক্ত করতে দিল্লির অনীহা এই বাণিজ্য চুক্তির একটি বড় বাধা। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের উচ্চ কৃষি শুল্কের সমালোচনা করে আসছে। তবে ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, চাল ও গমের মতো প্রধান খাদ্যপণ্যের শুল্ক কমালে শক্তিশালী ভোটার গোষ্ঠী কৃষকদের অসন্তুষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা দিল্লি নিতে চায় না। এই ভাবনা থেকেই ভারত এখন পর্যন্ত জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড পণ্য আমদানির অনুমতি দিতেও রাজি হয়নি।
যদিও একটি অন্তর্বর্তী বাণিজ্যিক চুক্তি করার সময় ফুরিয়ে আসছে, তবে দুই পক্ষই অক্টোবরের মধ্যে একটি বৃহত্তর বাণিজ্যিক চুক্তির প্রথম অংশ নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা আগস্টেও আলোচনার জন্য ভারত সফর করতে পারেন।
বিভিন্ন জ্বালানি কেনার বিষয়টিও মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন সফরের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, দুই পক্ষ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে’ কাজ করবে।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ট্রাম্পের ক্ষোভ রয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের পরে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ভারতের সামরিক আমদানির ৭৬ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর পরিমাণ কিছুটা কমেছে, তবে ভারত এখনো যন্ত্রাংশের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
মস্কো সাবমেরিন প্রযুক্তি, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত অস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপে ঐতিহ্যবাহী ক্রেতারা দূরে সরে যাওয়ার পর মস্কোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি রপ্তানি বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। এর ফলে ভারতের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে, একই সঙ্গে মস্কোর কোষাগারও শক্তিশালী হয়েছে।
ভারত অন্য উৎস থেকে তেল পেতে পারে, কিন্তু রাশিয়ার সামরিক হার্ডওয়্যার থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে আসা তার জন্য কঠিন হবে। দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান এএফপিকে বলেন, রাশিয়ার জন্য বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি বাইডেনের মতো অতটা মস্কোবিদ্বেষী নন। তবে ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত আচরণের সর্বশেষ শিকার হলো নয়াদিল্লি।
যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্ন হারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক হার ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার পদ্ধতির জন্য একটি জয় বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সেই সঙ্গে বাণিজ্য
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের জন্য পারস্পরিক শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা দেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি স্বস্তির সংবাদ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবীদ ও সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হয়েছে। এটি কিছুটা বেশি হলেও স্বস্তিকর বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
৬ ঘণ্টা আগে