আইডিআরএর প্রতিবেদন
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা। নিয়মিত প্রিমিয়াম অর্থাৎ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাই এর কারণ। তামাদি হয়ে কোম্পানির কাছে টাকা আটকে থাকা বিমার গ্রাহকের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্মী ও রিকশাচালকের মতো দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষও। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর তরফে বিমার দাবি পরিশোধে সমস্যার পাশাপাশি তামাদির ঘটনা পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিমা তামাদি হওয়ার শীর্ষে রয়েছে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে নতুন করে ৫৬ হাজার ৩৩৮টি বিমা তামাদি হয়েছে। ৫৬ হাজার ৯৯টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স (৩৩ হাজার ৩৭৮), প্রগতি লাইফ (২৩ হাজার ২৩) ও আলফা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড (২১ হাজার ৯১৭)।
তামাদি বা ল্যাপস বিমা পলিসি হচ্ছে এমন বিমা, যা কিস্তি (প্রিমিয়াম) পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তামাদি হলে বিমার সুবিধাগুলো আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিয়ে পলিসি নতুন করে চালু করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা করাতে পারলে দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভনে এজেন্টরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে অনেককে বিমা গ্রহণে রাজি করান। জীবনের অনিশ্চয়তার বিবেচনায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক মানুষ নিজেদের আগ্রহেও পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুদিন কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার পর এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কিস্তির টাকার অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কেউ কেউ মনে করেন, যা দিয়েছি তা-ই লোকসান, আর দেব না, লোকসানও বাড়াব না। এভাবেই বিমা তামাদি হয়ে যায়।
আইডিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি কোম্পানি গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে ৩ লাখ ৪৭ হাজার পলিসি তামাদি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের রয়েছে ৪ হাজার ৮০৬টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নতুন প্রজন্মের প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফের ২১ হাজার ৯১৭টি, আস্থা লাইফের ১ হাজার ৬৯৭টি ও আকিজ তাকাফুল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১ হাজার ৩৪২টি বিমা তামাদি হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে পুরোনো বিমা কোম্পানির মধ্যে উল্লিখিত শীর্ষ পাঁচের বাইরে মেটলাইফের ২০ হাজার ৪০৪টি, রূপালী লাইফের ২০ হাজার ৩০টি, প্রাইম ইসলামী লাইফের ১৯ হাজার ৮৭৭টি, স্বদেশ লাইফের ১৬ হাজার ৬৮৫, মেঘনা লাইফের ৮ হাজার ১১২, বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৮ হাজার ৯, সানলাইফের ৭ হাজার ১৯২, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের ৫ হাজার ৬৭০, চার্টার্ড লাইফের ৫ হাজার ৪৬, গার্ডিয়ান লাইফের ৪ হাজার ৮৭৯টি, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের ৪ হাজার ৭৫৩টি ও হোমল্যান্ডের ৪ হাজার ২৯৯ বিমা তামাদি হয়েছে। কয়েক শ থেকে ৪ হাজারের ঘর পর্যন্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
আইডিআরএর প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৩২টি জীবনবিমা কোম্পানি তামাদি করেছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৩টি বিমা। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা নতুন প্রজন্মের সোনালী লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫৫। ৫৭ হাজার ৯৮১টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৭।
আইডিআরএর পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তামাদির হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইডিআরএর সরাসরি জনসচেতনতা বাড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী এজেন্টরা বিমা করাতে পারবেন। তাঁরাই গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াবেন। প্রশিক্ষিত এজেন্ট নিয়োগ না দিলে বিমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনিতেই বিমা বিষয়টির প্রতি মানুষের কিছুটা আস্থাহীনতা রয়েছে। ব্যাংক সময়মতো টাকা দিতে না পারায় এই আস্থাহীনতা আরও বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গ্রাহকই বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ঠিকমতো জমা দেন না। এতে অনেক পলিসি ল্যাপস (তামাদি) হয়ে যায়।’
কাজিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেকে যথাসময়ে প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারায় পলিসি ল্যাপস হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গ্রাহক ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সেরই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যাপসও বেশি হতে পারে। কিস্তি জমা দেওয়ার জন্য তাঁরা নিয়মিত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন জানিয়ে কাজিম উদ্দিন বলেন, অনেক পলিসি গ্রহীতা তিন-চার কিস্তি একসঙ্গে জমা দিয়ে ল্যাপস পলিসি চালু করছেন। এতে ভবিষ্যতে পলিসি ল্যাপসের সংখ্যা কমে আসবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
আইডিআরএর তথ্যমতে, জীবনবিমা কোম্পানিগুলো ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার, ২০১৯ সালে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার, ২০২০ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার, ২০২১ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৫৩ হাজার এবং ২০২৩ সালে ১৫ লাখ ৪২ হাজার বিমা তামাদি করেছে। এই তামাদি বিমার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুনরায় চালু হয়েছে। বাকি ৮৫-৯০ শতাংশ বিমার টাকা বিমা কোম্পানিগুলোর পকেটে গেছে।
পলিসি তামাদি হওয়াকে ‘বিমা খাতের ক্যানসার’ বলে মনে করেন বিমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তামাদি পলিসির গ্রাহক টাকা পান না। বিষয়টি অন্যদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আবার পলিসি তামাদির কারণে কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানি প্রথমে অনেক বিনিয়োগ করে ফেলে। পরে তা আর ফিরে পায় না।’
বিমা খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে এ খাতের উত্তরণ ঘটাতে এজেন্টদের কমিশন দেওয়ার নিয়মনীতি সংশোধন করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে বিমার দাবি পরিশোধে আরও সক্রিয় হতে হবে। বিমার প্রিমিয়ামের টাকা সশরীর পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে ই-ট্রান্সফার, নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে বিমা তামাদি হয়ে পড়ে। বিমা এজেন্টদের প্রথম তিন বছর অত্যধিক কমিশন দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা ‘চাকরি থাকবে না’ ইত্যাদি বলে পীড়াপীড়ি করে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বিমা করান। প্রথম দুই থেকে তিন বছর ভালো উপার্জনের প্রত্যাশায় গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর আর খোঁজখবর নেন না। অন্যদিকে অনেক গ্রাহকও টাকার অঙ্ক তুলনায় কম থাকায় প্রথম কিছুদিন উৎসাহের সঙ্গে কিস্তি দেন। তারপর নানা কারণে না পারলে বন্ধ করে দেন। সমস্যা সমাধানের জন্য এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা। নিয়মিত প্রিমিয়াম অর্থাৎ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাই এর কারণ। তামাদি হয়ে কোম্পানির কাছে টাকা আটকে থাকা বিমার গ্রাহকের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্মী ও রিকশাচালকের মতো দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষও। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর তরফে বিমার দাবি পরিশোধে সমস্যার পাশাপাশি তামাদির ঘটনা পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিমা তামাদি হওয়ার শীর্ষে রয়েছে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে নতুন করে ৫৬ হাজার ৩৩৮টি বিমা তামাদি হয়েছে। ৫৬ হাজার ৯৯টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স (৩৩ হাজার ৩৭৮), প্রগতি লাইফ (২৩ হাজার ২৩) ও আলফা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড (২১ হাজার ৯১৭)।
তামাদি বা ল্যাপস বিমা পলিসি হচ্ছে এমন বিমা, যা কিস্তি (প্রিমিয়াম) পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তামাদি হলে বিমার সুবিধাগুলো আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিয়ে পলিসি নতুন করে চালু করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা করাতে পারলে দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভনে এজেন্টরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে অনেককে বিমা গ্রহণে রাজি করান। জীবনের অনিশ্চয়তার বিবেচনায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক মানুষ নিজেদের আগ্রহেও পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুদিন কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার পর এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কিস্তির টাকার অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কেউ কেউ মনে করেন, যা দিয়েছি তা-ই লোকসান, আর দেব না, লোকসানও বাড়াব না। এভাবেই বিমা তামাদি হয়ে যায়।
আইডিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি কোম্পানি গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে ৩ লাখ ৪৭ হাজার পলিসি তামাদি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের রয়েছে ৪ হাজার ৮০৬টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নতুন প্রজন্মের প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফের ২১ হাজার ৯১৭টি, আস্থা লাইফের ১ হাজার ৬৯৭টি ও আকিজ তাকাফুল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১ হাজার ৩৪২টি বিমা তামাদি হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে পুরোনো বিমা কোম্পানির মধ্যে উল্লিখিত শীর্ষ পাঁচের বাইরে মেটলাইফের ২০ হাজার ৪০৪টি, রূপালী লাইফের ২০ হাজার ৩০টি, প্রাইম ইসলামী লাইফের ১৯ হাজার ৮৭৭টি, স্বদেশ লাইফের ১৬ হাজার ৬৮৫, মেঘনা লাইফের ৮ হাজার ১১২, বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৮ হাজার ৯, সানলাইফের ৭ হাজার ১৯২, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের ৫ হাজার ৬৭০, চার্টার্ড লাইফের ৫ হাজার ৪৬, গার্ডিয়ান লাইফের ৪ হাজার ৮৭৯টি, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের ৪ হাজার ৭৫৩টি ও হোমল্যান্ডের ৪ হাজার ২৯৯ বিমা তামাদি হয়েছে। কয়েক শ থেকে ৪ হাজারের ঘর পর্যন্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
আইডিআরএর প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৩২টি জীবনবিমা কোম্পানি তামাদি করেছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৩টি বিমা। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা নতুন প্রজন্মের সোনালী লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫৫। ৫৭ হাজার ৯৮১টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৭।
আইডিআরএর পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তামাদির হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইডিআরএর সরাসরি জনসচেতনতা বাড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী এজেন্টরা বিমা করাতে পারবেন। তাঁরাই গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াবেন। প্রশিক্ষিত এজেন্ট নিয়োগ না দিলে বিমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনিতেই বিমা বিষয়টির প্রতি মানুষের কিছুটা আস্থাহীনতা রয়েছে। ব্যাংক সময়মতো টাকা দিতে না পারায় এই আস্থাহীনতা আরও বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গ্রাহকই বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ঠিকমতো জমা দেন না। এতে অনেক পলিসি ল্যাপস (তামাদি) হয়ে যায়।’
কাজিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেকে যথাসময়ে প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারায় পলিসি ল্যাপস হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গ্রাহক ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সেরই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যাপসও বেশি হতে পারে। কিস্তি জমা দেওয়ার জন্য তাঁরা নিয়মিত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন জানিয়ে কাজিম উদ্দিন বলেন, অনেক পলিসি গ্রহীতা তিন-চার কিস্তি একসঙ্গে জমা দিয়ে ল্যাপস পলিসি চালু করছেন। এতে ভবিষ্যতে পলিসি ল্যাপসের সংখ্যা কমে আসবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
আইডিআরএর তথ্যমতে, জীবনবিমা কোম্পানিগুলো ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার, ২০১৯ সালে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার, ২০২০ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার, ২০২১ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৫৩ হাজার এবং ২০২৩ সালে ১৫ লাখ ৪২ হাজার বিমা তামাদি করেছে। এই তামাদি বিমার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুনরায় চালু হয়েছে। বাকি ৮৫-৯০ শতাংশ বিমার টাকা বিমা কোম্পানিগুলোর পকেটে গেছে।
পলিসি তামাদি হওয়াকে ‘বিমা খাতের ক্যানসার’ বলে মনে করেন বিমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তামাদি পলিসির গ্রাহক টাকা পান না। বিষয়টি অন্যদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আবার পলিসি তামাদির কারণে কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানি প্রথমে অনেক বিনিয়োগ করে ফেলে। পরে তা আর ফিরে পায় না।’
বিমা খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে এ খাতের উত্তরণ ঘটাতে এজেন্টদের কমিশন দেওয়ার নিয়মনীতি সংশোধন করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে বিমার দাবি পরিশোধে আরও সক্রিয় হতে হবে। বিমার প্রিমিয়ামের টাকা সশরীর পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে ই-ট্রান্সফার, নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে বিমা তামাদি হয়ে পড়ে। বিমা এজেন্টদের প্রথম তিন বছর অত্যধিক কমিশন দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা ‘চাকরি থাকবে না’ ইত্যাদি বলে পীড়াপীড়ি করে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বিমা করান। প্রথম দুই থেকে তিন বছর ভালো উপার্জনের প্রত্যাশায় গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর আর খোঁজখবর নেন না। অন্যদিকে অনেক গ্রাহকও টাকার অঙ্ক তুলনায় কম থাকায় প্রথম কিছুদিন উৎসাহের সঙ্গে কিস্তি দেন। তারপর নানা কারণে না পারলে বন্ধ করে দেন। সমস্যা সমাধানের জন্য এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’
আইডিআরএর প্রতিবেদন
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা। নিয়মিত প্রিমিয়াম অর্থাৎ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাই এর কারণ। তামাদি হয়ে কোম্পানির কাছে টাকা আটকে থাকা বিমার গ্রাহকের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্মী ও রিকশাচালকের মতো দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষও। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর তরফে বিমার দাবি পরিশোধে সমস্যার পাশাপাশি তামাদির ঘটনা পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিমা তামাদি হওয়ার শীর্ষে রয়েছে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে নতুন করে ৫৬ হাজার ৩৩৮টি বিমা তামাদি হয়েছে। ৫৬ হাজার ৯৯টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স (৩৩ হাজার ৩৭৮), প্রগতি লাইফ (২৩ হাজার ২৩) ও আলফা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড (২১ হাজার ৯১৭)।
তামাদি বা ল্যাপস বিমা পলিসি হচ্ছে এমন বিমা, যা কিস্তি (প্রিমিয়াম) পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তামাদি হলে বিমার সুবিধাগুলো আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিয়ে পলিসি নতুন করে চালু করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা করাতে পারলে দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভনে এজেন্টরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে অনেককে বিমা গ্রহণে রাজি করান। জীবনের অনিশ্চয়তার বিবেচনায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক মানুষ নিজেদের আগ্রহেও পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুদিন কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার পর এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কিস্তির টাকার অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কেউ কেউ মনে করেন, যা দিয়েছি তা-ই লোকসান, আর দেব না, লোকসানও বাড়াব না। এভাবেই বিমা তামাদি হয়ে যায়।
আইডিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি কোম্পানি গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে ৩ লাখ ৪৭ হাজার পলিসি তামাদি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের রয়েছে ৪ হাজার ৮০৬টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নতুন প্রজন্মের প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফের ২১ হাজার ৯১৭টি, আস্থা লাইফের ১ হাজার ৬৯৭টি ও আকিজ তাকাফুল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১ হাজার ৩৪২টি বিমা তামাদি হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে পুরোনো বিমা কোম্পানির মধ্যে উল্লিখিত শীর্ষ পাঁচের বাইরে মেটলাইফের ২০ হাজার ৪০৪টি, রূপালী লাইফের ২০ হাজার ৩০টি, প্রাইম ইসলামী লাইফের ১৯ হাজার ৮৭৭টি, স্বদেশ লাইফের ১৬ হাজার ৬৮৫, মেঘনা লাইফের ৮ হাজার ১১২, বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৮ হাজার ৯, সানলাইফের ৭ হাজার ১৯২, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের ৫ হাজার ৬৭০, চার্টার্ড লাইফের ৫ হাজার ৪৬, গার্ডিয়ান লাইফের ৪ হাজার ৮৭৯টি, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের ৪ হাজার ৭৫৩টি ও হোমল্যান্ডের ৪ হাজার ২৯৯ বিমা তামাদি হয়েছে। কয়েক শ থেকে ৪ হাজারের ঘর পর্যন্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
আইডিআরএর প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৩২টি জীবনবিমা কোম্পানি তামাদি করেছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৩টি বিমা। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা নতুন প্রজন্মের সোনালী লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫৫। ৫৭ হাজার ৯৮১টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৭।
আইডিআরএর পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তামাদির হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইডিআরএর সরাসরি জনসচেতনতা বাড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী এজেন্টরা বিমা করাতে পারবেন। তাঁরাই গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াবেন। প্রশিক্ষিত এজেন্ট নিয়োগ না দিলে বিমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনিতেই বিমা বিষয়টির প্রতি মানুষের কিছুটা আস্থাহীনতা রয়েছে। ব্যাংক সময়মতো টাকা দিতে না পারায় এই আস্থাহীনতা আরও বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গ্রাহকই বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ঠিকমতো জমা দেন না। এতে অনেক পলিসি ল্যাপস (তামাদি) হয়ে যায়।’
কাজিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেকে যথাসময়ে প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারায় পলিসি ল্যাপস হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গ্রাহক ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সেরই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যাপসও বেশি হতে পারে। কিস্তি জমা দেওয়ার জন্য তাঁরা নিয়মিত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন জানিয়ে কাজিম উদ্দিন বলেন, অনেক পলিসি গ্রহীতা তিন-চার কিস্তি একসঙ্গে জমা দিয়ে ল্যাপস পলিসি চালু করছেন। এতে ভবিষ্যতে পলিসি ল্যাপসের সংখ্যা কমে আসবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
আইডিআরএর তথ্যমতে, জীবনবিমা কোম্পানিগুলো ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার, ২০১৯ সালে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার, ২০২০ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার, ২০২১ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৫৩ হাজার এবং ২০২৩ সালে ১৫ লাখ ৪২ হাজার বিমা তামাদি করেছে। এই তামাদি বিমার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুনরায় চালু হয়েছে। বাকি ৮৫-৯০ শতাংশ বিমার টাকা বিমা কোম্পানিগুলোর পকেটে গেছে।
পলিসি তামাদি হওয়াকে ‘বিমা খাতের ক্যানসার’ বলে মনে করেন বিমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তামাদি পলিসির গ্রাহক টাকা পান না। বিষয়টি অন্যদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আবার পলিসি তামাদির কারণে কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানি প্রথমে অনেক বিনিয়োগ করে ফেলে। পরে তা আর ফিরে পায় না।’
বিমা খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে এ খাতের উত্তরণ ঘটাতে এজেন্টদের কমিশন দেওয়ার নিয়মনীতি সংশোধন করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে বিমার দাবি পরিশোধে আরও সক্রিয় হতে হবে। বিমার প্রিমিয়ামের টাকা সশরীর পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে ই-ট্রান্সফার, নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে বিমা তামাদি হয়ে পড়ে। বিমা এজেন্টদের প্রথম তিন বছর অত্যধিক কমিশন দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা ‘চাকরি থাকবে না’ ইত্যাদি বলে পীড়াপীড়ি করে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বিমা করান। প্রথম দুই থেকে তিন বছর ভালো উপার্জনের প্রত্যাশায় গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর আর খোঁজখবর নেন না। অন্যদিকে অনেক গ্রাহকও টাকার অঙ্ক তুলনায় কম থাকায় প্রথম কিছুদিন উৎসাহের সঙ্গে কিস্তি দেন। তারপর নানা কারণে না পারলে বন্ধ করে দেন। সমস্যা সমাধানের জন্য এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা। নিয়মিত প্রিমিয়াম অর্থাৎ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাই এর কারণ। তামাদি হয়ে কোম্পানির কাছে টাকা আটকে থাকা বিমার গ্রাহকের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্মী ও রিকশাচালকের মতো দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষও। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর তরফে বিমার দাবি পরিশোধে সমস্যার পাশাপাশি তামাদির ঘটনা পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিমা তামাদি হওয়ার শীর্ষে রয়েছে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে নতুন করে ৫৬ হাজার ৩৩৮টি বিমা তামাদি হয়েছে। ৫৬ হাজার ৯৯টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স (৩৩ হাজার ৩৭৮), প্রগতি লাইফ (২৩ হাজার ২৩) ও আলফা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড (২১ হাজার ৯১৭)।
তামাদি বা ল্যাপস বিমা পলিসি হচ্ছে এমন বিমা, যা কিস্তি (প্রিমিয়াম) পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তামাদি হলে বিমার সুবিধাগুলো আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিয়ে পলিসি নতুন করে চালু করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা করাতে পারলে দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভনে এজেন্টরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে অনেককে বিমা গ্রহণে রাজি করান। জীবনের অনিশ্চয়তার বিবেচনায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক মানুষ নিজেদের আগ্রহেও পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুদিন কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার পর এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কিস্তির টাকার অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কেউ কেউ মনে করেন, যা দিয়েছি তা-ই লোকসান, আর দেব না, লোকসানও বাড়াব না। এভাবেই বিমা তামাদি হয়ে যায়।
আইডিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি কোম্পানি গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে ৩ লাখ ৪৭ হাজার পলিসি তামাদি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের রয়েছে ৪ হাজার ৮০৬টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নতুন প্রজন্মের প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফের ২১ হাজার ৯১৭টি, আস্থা লাইফের ১ হাজার ৬৯৭টি ও আকিজ তাকাফুল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১ হাজার ৩৪২টি বিমা তামাদি হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে পুরোনো বিমা কোম্পানির মধ্যে উল্লিখিত শীর্ষ পাঁচের বাইরে মেটলাইফের ২০ হাজার ৪০৪টি, রূপালী লাইফের ২০ হাজার ৩০টি, প্রাইম ইসলামী লাইফের ১৯ হাজার ৮৭৭টি, স্বদেশ লাইফের ১৬ হাজার ৬৮৫, মেঘনা লাইফের ৮ হাজার ১১২, বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৮ হাজার ৯, সানলাইফের ৭ হাজার ১৯২, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের ৫ হাজার ৬৭০, চার্টার্ড লাইফের ৫ হাজার ৪৬, গার্ডিয়ান লাইফের ৪ হাজার ৮৭৯টি, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের ৪ হাজার ৭৫৩টি ও হোমল্যান্ডের ৪ হাজার ২৯৯ বিমা তামাদি হয়েছে। কয়েক শ থেকে ৪ হাজারের ঘর পর্যন্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
আইডিআরএর প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৩২টি জীবনবিমা কোম্পানি তামাদি করেছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৩টি বিমা। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা নতুন প্রজন্মের সোনালী লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫৫। ৫৭ হাজার ৯৮১টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৭।
আইডিআরএর পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তামাদির হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইডিআরএর সরাসরি জনসচেতনতা বাড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী এজেন্টরা বিমা করাতে পারবেন। তাঁরাই গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াবেন। প্রশিক্ষিত এজেন্ট নিয়োগ না দিলে বিমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনিতেই বিমা বিষয়টির প্রতি মানুষের কিছুটা আস্থাহীনতা রয়েছে। ব্যাংক সময়মতো টাকা দিতে না পারায় এই আস্থাহীনতা আরও বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গ্রাহকই বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ঠিকমতো জমা দেন না। এতে অনেক পলিসি ল্যাপস (তামাদি) হয়ে যায়।’
কাজিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেকে যথাসময়ে প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারায় পলিসি ল্যাপস হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গ্রাহক ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সেরই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যাপসও বেশি হতে পারে। কিস্তি জমা দেওয়ার জন্য তাঁরা নিয়মিত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন জানিয়ে কাজিম উদ্দিন বলেন, অনেক পলিসি গ্রহীতা তিন-চার কিস্তি একসঙ্গে জমা দিয়ে ল্যাপস পলিসি চালু করছেন। এতে ভবিষ্যতে পলিসি ল্যাপসের সংখ্যা কমে আসবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
আইডিআরএর তথ্যমতে, জীবনবিমা কোম্পানিগুলো ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার, ২০১৯ সালে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার, ২০২০ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার, ২০২১ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৫৩ হাজার এবং ২০২৩ সালে ১৫ লাখ ৪২ হাজার বিমা তামাদি করেছে। এই তামাদি বিমার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুনরায় চালু হয়েছে। বাকি ৮৫-৯০ শতাংশ বিমার টাকা বিমা কোম্পানিগুলোর পকেটে গেছে।
পলিসি তামাদি হওয়াকে ‘বিমা খাতের ক্যানসার’ বলে মনে করেন বিমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তামাদি পলিসির গ্রাহক টাকা পান না। বিষয়টি অন্যদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আবার পলিসি তামাদির কারণে কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানি প্রথমে অনেক বিনিয়োগ করে ফেলে। পরে তা আর ফিরে পায় না।’
বিমা খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে এ খাতের উত্তরণ ঘটাতে এজেন্টদের কমিশন দেওয়ার নিয়মনীতি সংশোধন করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে বিমার দাবি পরিশোধে আরও সক্রিয় হতে হবে। বিমার প্রিমিয়ামের টাকা সশরীর পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে ই-ট্রান্সফার, নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে বিমা তামাদি হয়ে পড়ে। বিমা এজেন্টদের প্রথম তিন বছর অত্যধিক কমিশন দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা ‘চাকরি থাকবে না’ ইত্যাদি বলে পীড়াপীড়ি করে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বিমা করান। প্রথম দুই থেকে তিন বছর ভালো উপার্জনের প্রত্যাশায় গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর আর খোঁজখবর নেন না। অন্যদিকে অনেক গ্রাহকও টাকার অঙ্ক তুলনায় কম থাকায় প্রথম কিছুদিন উৎসাহের সঙ্গে কিস্তি দেন। তারপর নানা কারণে না পারলে বন্ধ করে দেন। সমস্যা সমাধানের জন্য এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
৯ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় মার্কিন ডলারের বাজারে। টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের দাম, ক্ষয় শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। ২০২৪ সালের আগস্টে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, সেই মাসে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
৯ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় মার্কিন ডলারের বাজারে। টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের দাম, ক্ষয় শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। ২০২৪ সালের আগস্টে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, সেই মাসে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
৯ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় মার্কিন ডলারের বাজারে। টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের দাম, ক্ষয় শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। ২০২৪ সালের আগস্টে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, সেই মাসে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আর কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক উভয় পক্ষই বিপাকে পড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় পচনশীল পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ছে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানায়, চোরাচালান বা অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তবে এর অজুহাতে সন্ধ্যার পর বন্দর কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। ডিসিসিআই মনে করে, বৈধ বাণিজ্য সচল থাকলে বরং অবৈধ কার্যক্রম কমে আসবে। চেম্বারটি বলছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হলে তা সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে ব্যবসা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে ২০ লাখ ১১ হাজার টন পণ্য আমদানি এবং ৪ লাখ ২১ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই বিশাল বাণিজ্যপ্রবাহ সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, একই সঙ্গে রাজস্ব আয়েও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বন্দরের দুই পাশে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় থাকায় বিশেষ করে খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত শুধু বাণিজ্য ব্যাহত করছে না, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের লিড টাইমও বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও দুর্বল করে তুলবে।

কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আর কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক উভয় পক্ষই বিপাকে পড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় পচনশীল পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ছে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানায়, চোরাচালান বা অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তবে এর অজুহাতে সন্ধ্যার পর বন্দর কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। ডিসিসিআই মনে করে, বৈধ বাণিজ্য সচল থাকলে বরং অবৈধ কার্যক্রম কমে আসবে। চেম্বারটি বলছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হলে তা সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে ব্যবসা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে ২০ লাখ ১১ হাজার টন পণ্য আমদানি এবং ৪ লাখ ২১ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই বিশাল বাণিজ্যপ্রবাহ সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, একই সঙ্গে রাজস্ব আয়েও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বন্দরের দুই পাশে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় থাকায় বিশেষ করে খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত শুধু বাণিজ্য ব্যাহত করছে না, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের লিড টাইমও বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও দুর্বল করে তুলবে।

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
৯ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় মার্কিন ডলারের বাজারে। টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের দাম, ক্ষয় শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। ২০২৪ সালের আগস্টে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, সেই মাসে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
৯ ঘণ্টা আগেসরকারের ১৪ মাস
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় মার্কিন ডলারের বাজারে। টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের দাম, ক্ষয় শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। ২০২৪ সালের আগস্টে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, সেই মাসে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের এমন বিপজ্জনক পতন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেয়। ফলে ১৪ মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর দেশে ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিথ্যা ইনভয়েসিং বন্ধ, হুন্ডির মাধ্যমে পাচার রোধ, দক্ষ জনবল পাঠিয়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং বিক্রির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় এবং অধিক বিদেশি ঋণছাড়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে রিজার্ভ।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে নানা উদ্যোগ নেয়। বাজার মনিটরিং করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিথ্যা ঘোষণা বন্ধ করে ডলার পাচার ঠেকানো হয়। হুন্ডিতে লেনদেনও কমেছে অনেক। কারিগরি ও ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এতে রিজার্ভ বেড়েছে, যা অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ গতকাল দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে বিপিএম-৬ অনুযায়ী এদিন রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। আর নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র ১৪ মাসের কম সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৭ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নানামুখী উদ্যোগের ফলে এখন রপ্তানি ভালো। প্রবাসী আয়েও জোয়ার দৃশ্যমান। আইএমএফ, এডিবি ও বিশ্বব্যাংক থেকেও তুলনামূলক বেশি অর্থ পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এখন “ডলার নেই” এমন অভিযোগ আসছে না। আমরা যখন বিনিময় হার উন্মুক্ত করি (ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া), তখন আমাদের অনেক টেনশন ছিল, হঠাৎ কী না কী হয়! কিন্তু তেমন অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি। বরং বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, চলতি বছরের আগস্টে ডলারের দর ছিল ১২২ টাকা, যা ২০২৪ সালের আগস্টে ছিল ১২০ টাকা। কিন্তু দাম কম থাকলেও গত সরকারের সময় ডলারের জন্য হাহাকার ছিল। ব্যবসায়ীরা ঘোষিত দরে ব্যাংক থেকে চাহিদামতো ডলার কিনতে পারেননি। তখন বিশেষ কৌশলে প্রতি ডলার ১২৮ টাকা পর্যন্ত কেনাবেচা হয়েছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথ বাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে।
এতে ডলার দর কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। সে জন্য কমপক্ষে ১০ ব্যাংকের সিইও, ট্রেজারিপ্রধানকে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ডলারের দর ১২২ টাকা ছাড়ালেও এ দাম বাজারভিত্তিক হওয়ায় ব্যাংকগুলোর কাছে আমদানির জন্য পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর মনে করেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে বলেই রেমিট্যান্স বাড়ছে। মানুষ যখন সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেন, তখন কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে শান্তি পান। এতে হুন্ডি কমেছে। হুন্ডি কমায় অর্থ পাচারও কমেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৫৬ মিলিয়ন ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের হুন্ডিবিরোধী অভিযান, মানি লন্ডারিং রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া নজরদারির যৌথ চেষ্টায় অবৈধ চ্যানেল (হুন্ডি) প্রায় থমকে গেছে। এতে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়েছে। পাশাপাশি দক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণ, আরবি ভাষাশিক্ষা এবং শ্রমিক পাঠানো বাড়ায় প্রবাসী আয় বেড়েছে; যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ১১ লাখের বেশি কর্মী। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ লাখে। তবে ২০২৪ সালে ৩ লাখ কমে হয় ১০ লাখ। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশ ছেড়েছেন ৫ লাখ ২০ হাজার কর্মী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে আগের নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রয়েছে। আর অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের ফলে হুন্ডি প্রবণতা কমে যায় এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যাপক হারে বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে। বৈদেশিক ঋণের অর্থ যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে ডলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি না করে এখনো কেনা অব্যাহত রেখেছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় মার্কিন ডলারের বাজারে। টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের দাম, ক্ষয় শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। ২০২৪ সালের আগস্টে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, সেই মাসে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের এমন বিপজ্জনক পতন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেয়। ফলে ১৪ মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর দেশে ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিথ্যা ইনভয়েসিং বন্ধ, হুন্ডির মাধ্যমে পাচার রোধ, দক্ষ জনবল পাঠিয়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং বিক্রির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় এবং অধিক বিদেশি ঋণছাড়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে রিজার্ভ।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে নানা উদ্যোগ নেয়। বাজার মনিটরিং করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিথ্যা ঘোষণা বন্ধ করে ডলার পাচার ঠেকানো হয়। হুন্ডিতে লেনদেনও কমেছে অনেক। কারিগরি ও ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এতে রিজার্ভ বেড়েছে, যা অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ গতকাল দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে বিপিএম-৬ অনুযায়ী এদিন রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। আর নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র ১৪ মাসের কম সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৭ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নানামুখী উদ্যোগের ফলে এখন রপ্তানি ভালো। প্রবাসী আয়েও জোয়ার দৃশ্যমান। আইএমএফ, এডিবি ও বিশ্বব্যাংক থেকেও তুলনামূলক বেশি অর্থ পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এখন “ডলার নেই” এমন অভিযোগ আসছে না। আমরা যখন বিনিময় হার উন্মুক্ত করি (ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া), তখন আমাদের অনেক টেনশন ছিল, হঠাৎ কী না কী হয়! কিন্তু তেমন অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি। বরং বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, চলতি বছরের আগস্টে ডলারের দর ছিল ১২২ টাকা, যা ২০২৪ সালের আগস্টে ছিল ১২০ টাকা। কিন্তু দাম কম থাকলেও গত সরকারের সময় ডলারের জন্য হাহাকার ছিল। ব্যবসায়ীরা ঘোষিত দরে ব্যাংক থেকে চাহিদামতো ডলার কিনতে পারেননি। তখন বিশেষ কৌশলে প্রতি ডলার ১২৮ টাকা পর্যন্ত কেনাবেচা হয়েছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথ বাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে।
এতে ডলার দর কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। সে জন্য কমপক্ষে ১০ ব্যাংকের সিইও, ট্রেজারিপ্রধানকে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ডলারের দর ১২২ টাকা ছাড়ালেও এ দাম বাজারভিত্তিক হওয়ায় ব্যাংকগুলোর কাছে আমদানির জন্য পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর মনে করেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে বলেই রেমিট্যান্স বাড়ছে। মানুষ যখন সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেন, তখন কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে শান্তি পান। এতে হুন্ডি কমেছে। হুন্ডি কমায় অর্থ পাচারও কমেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৫৬ মিলিয়ন ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের হুন্ডিবিরোধী অভিযান, মানি লন্ডারিং রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া নজরদারির যৌথ চেষ্টায় অবৈধ চ্যানেল (হুন্ডি) প্রায় থমকে গেছে। এতে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়েছে। পাশাপাশি দক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণ, আরবি ভাষাশিক্ষা এবং শ্রমিক পাঠানো বাড়ায় প্রবাসী আয় বেড়েছে; যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ১১ লাখের বেশি কর্মী। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ লাখে। তবে ২০২৪ সালে ৩ লাখ কমে হয় ১০ লাখ। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশ ছেড়েছেন ৫ লাখ ২০ হাজার কর্মী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে আগের নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রয়েছে। আর অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের ফলে হুন্ডি প্রবণতা কমে যায় এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যাপক হারে বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে। বৈদেশিক ঋণের অর্থ যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে ডলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি না করে এখনো কেনা অব্যাহত রেখেছে।

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
৯ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ ঘণ্টা আগে