নিজ নিজ মুদ্রায় লেনদেন করতে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন ও সৌদি আরব। আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশ দুটি মার্কিন মুদ্রায় ৭০০ কোটি ডলার লেনদেন করবে চীনা ইউয়ান ও সৌদি রিয়ালে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তি মূলত ডলারের প্রভাব কমানো বা ডি-ডলারাইজেশনের ক্ষেত্রে দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেল। নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চুক্তি অনুসারে, আগামী তিন বছরের মধ্যে সৌদি আরব ও চীন উভয় দেশেই ডলারের পরিবর্তে নিজ নিজ মুদ্রায় লেনদেন করবে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। এই চুক্তির আওতায় চীন সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইউয়ানে মূল্য পরিশোধ করবে। এর পরিমাণ হলো সর্বোচ্চ ৫০০০ কোটি ইউয়ান। বিপরীতে সৌদি আরব ২ হাজার ৬০০ কোটি রিয়াল লেনদেন করবে চীনের সঙ্গে।
অর্থের পরিমাণ যদিও বেশ কম তবে এই চুক্তির প্রতীকী মূল্য অনেক বেশি। কারণ সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ এবং বিশ্বের জ্বালানি বাজারের অধিকাংশ লেনদেনই সম্পন্ন হয় ডলারে। এই চুক্তিকে অনেকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ডলার হটানোর প্রয়াসে চীনের তরফ থেকে ইউয়ানের আন্তর্জাতিকীকরণ প্রচেষ্টা হিসেবেই ভাবছেন।
যদিও চীনের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ হলো রাশিয়া কিন্তু দেশটি সৌদি আরবের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনে থাকে। উদাহরণ হিসেবে ২০২২ সালের কথাই ধরা যাক। চীনের সরকারি তথ্য বলছে, সে বছর চীন সৌদি আরবের কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের তেল কিনেছে। সৌদি আরব চীনে যে পরিমাণ রপ্তানি করে তার ৮৩ শতাংশই জ্বালানি তেল।
রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীন ২৫ শতাংশ পণ্যের মূল্য পরিশোধ করে রেনমিনবি বা ইউয়ানে। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান জানিয়েছিল, বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ডলারের বদলে অন্যান্য মুদ্রায় জ্বালানির লেনদেনের হার ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণ করা তথ্য বলছে—গত সেপ্টেম্বরে চীনের বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউয়ানের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সে মাসে দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ১১৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউয়ান লেনদেন করেছে।
কেবল সৌদি আরব নয়, এর আগেও চীন বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে রেনমিনবিতে লেনদেনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এসব দেশের মধ্যে আর্জেন্টিনা উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীন ইউয়ানে লেনদেনের জন্য প্রায় ২৯টি চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির আওতায় প্রায় ৪ লাখ কোটি ইউয়ান লেনদেন হবে।
এসবের পাশাপাশি চীন দেশটির শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে পান্ডা বন্ড ছেড়েছে। সাধারণত চীনা মুদ্রার এই পান্ডা বন্ডগুলো চীনের বাজারে ছাড়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রে বন্ডগুলো ছাড়ে অচীনা কোনো পক্ষ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চীনের শেয়ারবাজার থেকে বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সরকার, আন্তর্জাতিক সংগঠন মূলধন সংগ্রহ করে থাকে। এ ছাড়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন পেরু ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে ইউয়ানে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
নিজ নিজ মুদ্রায় লেনদেন করতে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন ও সৌদি আরব। আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশ দুটি মার্কিন মুদ্রায় ৭০০ কোটি ডলার লেনদেন করবে চীনা ইউয়ান ও সৌদি রিয়ালে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তি মূলত ডলারের প্রভাব কমানো বা ডি-ডলারাইজেশনের ক্ষেত্রে দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেল। নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চুক্তি অনুসারে, আগামী তিন বছরের মধ্যে সৌদি আরব ও চীন উভয় দেশেই ডলারের পরিবর্তে নিজ নিজ মুদ্রায় লেনদেন করবে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। এই চুক্তির আওতায় চীন সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইউয়ানে মূল্য পরিশোধ করবে। এর পরিমাণ হলো সর্বোচ্চ ৫০০০ কোটি ইউয়ান। বিপরীতে সৌদি আরব ২ হাজার ৬০০ কোটি রিয়াল লেনদেন করবে চীনের সঙ্গে।
অর্থের পরিমাণ যদিও বেশ কম তবে এই চুক্তির প্রতীকী মূল্য অনেক বেশি। কারণ সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ এবং বিশ্বের জ্বালানি বাজারের অধিকাংশ লেনদেনই সম্পন্ন হয় ডলারে। এই চুক্তিকে অনেকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ডলার হটানোর প্রয়াসে চীনের তরফ থেকে ইউয়ানের আন্তর্জাতিকীকরণ প্রচেষ্টা হিসেবেই ভাবছেন।
যদিও চীনের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ হলো রাশিয়া কিন্তু দেশটি সৌদি আরবের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনে থাকে। উদাহরণ হিসেবে ২০২২ সালের কথাই ধরা যাক। চীনের সরকারি তথ্য বলছে, সে বছর চীন সৌদি আরবের কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের তেল কিনেছে। সৌদি আরব চীনে যে পরিমাণ রপ্তানি করে তার ৮৩ শতাংশই জ্বালানি তেল।
রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীন ২৫ শতাংশ পণ্যের মূল্য পরিশোধ করে রেনমিনবি বা ইউয়ানে। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান জানিয়েছিল, বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ডলারের বদলে অন্যান্য মুদ্রায় জ্বালানির লেনদেনের হার ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণ করা তথ্য বলছে—গত সেপ্টেম্বরে চীনের বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউয়ানের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সে মাসে দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ১১৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউয়ান লেনদেন করেছে।
কেবল সৌদি আরব নয়, এর আগেও চীন বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে রেনমিনবিতে লেনদেনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এসব দেশের মধ্যে আর্জেন্টিনা উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীন ইউয়ানে লেনদেনের জন্য প্রায় ২৯টি চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির আওতায় প্রায় ৪ লাখ কোটি ইউয়ান লেনদেন হবে।
এসবের পাশাপাশি চীন দেশটির শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে পান্ডা বন্ড ছেড়েছে। সাধারণত চীনা মুদ্রার এই পান্ডা বন্ডগুলো চীনের বাজারে ছাড়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রে বন্ডগুলো ছাড়ে অচীনা কোনো পক্ষ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চীনের শেয়ারবাজার থেকে বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সরকার, আন্তর্জাতিক সংগঠন মূলধন সংগ্রহ করে থাকে। এ ছাড়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন পেরু ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে ইউয়ানে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
১১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্ন হারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক হার ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার পদ্ধতির জন্য একটি জয় বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সেই সঙ্গে বাণিজ্য
১৯ ঘণ্টা আগে