নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলন কর্মসূচিতে যাঁরা ‘বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন’ করেছেন, তাঁদের বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা কাস্টম হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে আস্থার সংকট নিরসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্য আজ কর্মকর্তাদের কাছে চলে এলাম। তাঁদের অভয় দেওয়ার জন্য। প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাঁদের যে কাজকর্ম, সেগুলো যদি তাঁরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন; তাহলে আমি মনে করি না, তাঁদের ভয়ের কোনো কারণ আছে।’
আবদুর রহমান খান আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। সেটা হয়তো ভিন্নভাবে দেখা হবে। তবে সাধারণভাবে আমার মনে হয় না কারও ভয়ের কোনো কারণ আছে।’
এ ধরনের আতঙ্ক চলতে থাকলে রাজস্ব আহরণে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে কি না—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এটা তো চলতে থাকবে না। রাজস্ব বিভাগে যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁরাই রাজস্ব আদায় করবেন। এটা তাঁদের কাজ। এত ঝামেলার মধ্যেও তাঁরা রাজস্ব আদায় করেছেন। আপনারা যে ভয়গুলো পাচ্ছেন, রাজস্ব আদায় হবে না, আতঙ্ক কাজ করছে, এগুলো কেটে যাবে। সবই ঠিক হয়ে যাবে।’
আন্দোলনের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুষিয়ে আনার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এগুলো খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রত্যেকে আমরা চেষ্টা করব, এটাকে কাভার করার জন্য।’
গত ৩০ জুন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আশ্বাস দেওয়ার দুদিন পর কয়েকটি আদেশ আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আছে, সেগুলো সরকারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা আপনাদের বুঝতে হবে।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওইখানে কি মাত্র পাঁচজন গিয়েছিলেন, আন্দোলনে কি মাত্র পাঁচজন সম্পৃক্ত ছিলেন? আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তাহলে আমি যেটা আশ্বাস দিয়েছি, সেটা তো ঠিকই আছে। যদি তাই হতো... আমরা যদি ও রকম...তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। সে রকম কিছু তো হয়নি।’
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটা আদায় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা আরও বাড়বে। আমাদের বুক অ্যাডজাস্টমেন্টগুলো নরমালি এক-দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায় সরকারি প্রকল্পে। তাতে আমার ধারণা, এটা আরও বাড়বে।’
এর আগে দুপুরে এনবিআর চেয়ারম্যান বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউস পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ই-চালান, ব্যাগেজ রুলস ও ডিটেনশন মেমো–এই তিন সফটওয়্যার আজ উদ্বোধন করলাম এখানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টম হাউসের অপারেশন পরিদর্শন করেছি। প্রত্যেকেই জানিয়েছে, সবাই ভালোভাবে কাজ করছে। কাস্টম হাউসের অপারেশন ভালোভাবে চলছে। আমাদের সবার ওপরে দেশ। প্রত্যেকে রাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেব। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ যদি রাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, আমরা রাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেব।’
নতুন বছরে নতুন উদ্যমে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি, এখানে যেন ব্যবসায়ীরা বিড়ম্বনার শিকার না হন।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলন কর্মসূচিতে যাঁরা ‘বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন’ করেছেন, তাঁদের বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা কাস্টম হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে আস্থার সংকট নিরসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্য আজ কর্মকর্তাদের কাছে চলে এলাম। তাঁদের অভয় দেওয়ার জন্য। প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাঁদের যে কাজকর্ম, সেগুলো যদি তাঁরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন; তাহলে আমি মনে করি না, তাঁদের ভয়ের কোনো কারণ আছে।’
আবদুর রহমান খান আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। সেটা হয়তো ভিন্নভাবে দেখা হবে। তবে সাধারণভাবে আমার মনে হয় না কারও ভয়ের কোনো কারণ আছে।’
এ ধরনের আতঙ্ক চলতে থাকলে রাজস্ব আহরণে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে কি না—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এটা তো চলতে থাকবে না। রাজস্ব বিভাগে যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁরাই রাজস্ব আদায় করবেন। এটা তাঁদের কাজ। এত ঝামেলার মধ্যেও তাঁরা রাজস্ব আদায় করেছেন। আপনারা যে ভয়গুলো পাচ্ছেন, রাজস্ব আদায় হবে না, আতঙ্ক কাজ করছে, এগুলো কেটে যাবে। সবই ঠিক হয়ে যাবে।’
আন্দোলনের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুষিয়ে আনার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এগুলো খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রত্যেকে আমরা চেষ্টা করব, এটাকে কাভার করার জন্য।’
গত ৩০ জুন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আশ্বাস দেওয়ার দুদিন পর কয়েকটি আদেশ আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আছে, সেগুলো সরকারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা আপনাদের বুঝতে হবে।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওইখানে কি মাত্র পাঁচজন গিয়েছিলেন, আন্দোলনে কি মাত্র পাঁচজন সম্পৃক্ত ছিলেন? আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তাহলে আমি যেটা আশ্বাস দিয়েছি, সেটা তো ঠিকই আছে। যদি তাই হতো... আমরা যদি ও রকম...তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। সে রকম কিছু তো হয়নি।’
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটা আদায় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা আরও বাড়বে। আমাদের বুক অ্যাডজাস্টমেন্টগুলো নরমালি এক-দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায় সরকারি প্রকল্পে। তাতে আমার ধারণা, এটা আরও বাড়বে।’
এর আগে দুপুরে এনবিআর চেয়ারম্যান বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউস পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ই-চালান, ব্যাগেজ রুলস ও ডিটেনশন মেমো–এই তিন সফটওয়্যার আজ উদ্বোধন করলাম এখানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টম হাউসের অপারেশন পরিদর্শন করেছি। প্রত্যেকেই জানিয়েছে, সবাই ভালোভাবে কাজ করছে। কাস্টম হাউসের অপারেশন ভালোভাবে চলছে। আমাদের সবার ওপরে দেশ। প্রত্যেকে রাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেব। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ যদি রাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, আমরা রাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেব।’
নতুন বছরে নতুন উদ্যমে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি, এখানে যেন ব্যবসায়ীরা বিড়ম্বনার শিকার না হন।’
মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত নীতি সুদ কমানোর প্রশ্নই উঠছে না—এমন বার্তাই দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য নতুন মুদ্রানীতিতে আগের মতোই ১০ শতাংশ নীতি সুদহার বা রেপো রেট বহাল রাখা হচ্ছে। আগের তিন দফার বৃদ্ধির পর যেটি এখন সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
৬ ঘণ্টা আগেশরিয়াহ পরিচালিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে চলা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির হোতা ছিলেন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী। বেনামি ঋণ বিতরণ, আমানতের অর্থ লোপাট, এমনকি জাকাত ফান্ডের অপব্যবহার—এমন কোনো অভিযোগ নেই, যা ওঠেনি তাঁর বিরুদ্ধে। এসব গুরুতর অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাংকের...
৬ ঘণ্টা আগেডলারের দরে ভিন্নমাত্রার ওঠানামা এখন স্পষ্ট। দেশে ডলারের চাহিদা কমতে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিচ্ছে উল্টো কৌশল, নিয়মিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ডলার কিনছে। সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে কিনেছে ৪৮৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রোববার ১৭১ মিলিয়ন, আর মঙ্গলবার এক দিনেই ৩১৩ মিলিয়ন ডলার।
৬ ঘণ্টা আগেআষাঢ়ের শুরু থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘের দখলে রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও পরপর দুটি বৃষ্টি বলয়ের ঘন বর্ষণ দীর্ঘদিন ধরেই নাকাল করছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি পাওয়া স্যাটেলাইট তথ্য অনুযায়ী, আবারও একটি বৃষ্টি বলয়ের ভেতর পড়তে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশ।
৬ ঘণ্টা আগে