নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দাবি পূরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় পূর্বঘোষিত কলম বিরতি কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার রাজধানীতে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার এদিপ বিল্লাহ, উপ-কর কমিশনার মো. মোস্তফিজুর রহমান এবং সহকারী কর কমিশনার মো. ইশতিয়াক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। তবে সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের মধ্যেই এদিন রাজস্ব ভবনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ছিলেন বলে অনেকের মুখে শোনা গেছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি বাদানুবাদে না গেলেও ভবনের ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধা দেন; পরে ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেছেন, সকাল থেকেই এনবিআর ভবনের অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন। এ বিষয়টি তাদের মনে নানা ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখা এবং অর্থবছরের শেষ প্রান্তে রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে আমাদের মূল চারটি দাবি পূরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদান করার জন্য আমরা সরকারকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি। দাবি পূরণের ঘোষণা আসার সাথে সাথে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেব।’
পরিষদের চারটি দাবি হলো—জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে; রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এনবিআর কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় অধ্যাদেশে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধন’ আনা হবে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান কাঠামোতেই এনবিআরের সব কাজ চলবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। সংশোধন করে অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন ‘অনেক সময়সাপেক্ষ’ হওয়ার কথা তুলে ধরে এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় অব্যাহত থাকবে এবং কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যমান ব্যবস্থায় সব কাজ করবেন।
তবে তাতে ‘সন্তুষ্ট’ নয় জানিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেছে। সেদিন রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ বলেছে, অধ্যাদেশ বাতিলসহ তাদের চার দাবির বিষয়ে ‘সুনির্দিষ্ট আশ্বাস’ মেলেনি। দাবি আদায়ে ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আগামী শনিবার থেকে চলবে’।
১২ মে রাতে এনবিআর ভাগ করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। পরদিন থেকে অবস্থান ও কলম বিরতিসহ টানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটির কর্মীরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দাবি পূরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় পূর্বঘোষিত কলম বিরতি কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার রাজধানীতে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার এদিপ বিল্লাহ, উপ-কর কমিশনার মো. মোস্তফিজুর রহমান এবং সহকারী কর কমিশনার মো. ইশতিয়াক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। তবে সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের মধ্যেই এদিন রাজস্ব ভবনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ছিলেন বলে অনেকের মুখে শোনা গেছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি বাদানুবাদে না গেলেও ভবনের ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধা দেন; পরে ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেছেন, সকাল থেকেই এনবিআর ভবনের অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন। এ বিষয়টি তাদের মনে নানা ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখা এবং অর্থবছরের শেষ প্রান্তে রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে আমাদের মূল চারটি দাবি পূরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদান করার জন্য আমরা সরকারকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি। দাবি পূরণের ঘোষণা আসার সাথে সাথে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেব।’
পরিষদের চারটি দাবি হলো—জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে; রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এনবিআর কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় অধ্যাদেশে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধন’ আনা হবে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান কাঠামোতেই এনবিআরের সব কাজ চলবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। সংশোধন করে অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন ‘অনেক সময়সাপেক্ষ’ হওয়ার কথা তুলে ধরে এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় অব্যাহত থাকবে এবং কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যমান ব্যবস্থায় সব কাজ করবেন।
তবে তাতে ‘সন্তুষ্ট’ নয় জানিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেছে। সেদিন রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ বলেছে, অধ্যাদেশ বাতিলসহ তাদের চার দাবির বিষয়ে ‘সুনির্দিষ্ট আশ্বাস’ মেলেনি। দাবি আদায়ে ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আগামী শনিবার থেকে চলবে’।
১২ মে রাতে এনবিআর ভাগ করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। পরদিন থেকে অবস্থান ও কলম বিরতিসহ টানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটির কর্মীরা।
বিএআইএমএর সভাপতি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন জরুরি। জুটশিল্পের মতো এ শিল্পেও একটি টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। প্রতিবছর ভারত এপিআই শিল্পে উদ্যোক্তাদের প্রায় ২১ হাজার ৯৪০ কোটি রুপি সহায়তা দেয়।
৩৬ মিনিট আগেচীন থেকে তুরস্ক হয়ে ইউরোপ— এই রেলপথে নিয়মিত মালবাহী ট্রেনের ঐতিহাসিক চলাচল শুরু হলো। গত ৯ জুলাই চীনের চংকিং ও চেংদু শহর থেকে ২,০০০ টন কার্গোবোঝাই দুটি ট্রেন রওনা দিয়েছে। ‘মিডল করিডর’ নামে পরিচিত মধ্য এশিয়া, কাস্পিয়ান সাগর ও তুরস্ক পেরিয়ে ইউরোপমুখী এই রুট পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপের মধ্যে বিকল্প
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। নতুন বিপণন মৌসুমে (১ জুলাই থেকে শুরু) শস্য রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করেছে তারা। বিশেষ করে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের মতো বড় বাজারগুলোকে এবার টার্গেট করছে।
৮ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসন বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল গ্রাফাইটের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে ইভি তৈরির খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে