অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে সরকার। গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আধুনিকায়নে এ অর্থ ব্যয় হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আধুনিকায়নে এ অর্থ ব্যয় হবে। এর মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা প্রায় ২০ লাখ তরুণসহ সবার জন্য মানসম্মত কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এই অর্থায়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এটি বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে, পরিবহন খরচ ও সময় কমাতে সাহায্য করবে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় থাকা দুর্বল জনগোষ্ঠীকেও এটি কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করবে।’
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’—এর জন্য বিশ্বব্যাংক ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এই প্রকল্প বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়িয়ে এবং পরিবহন খরচ ও সময় কমিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। বন্দরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলবায়ু সহনশীল বাঁধ ও সংযোগ চ্যানেল অন্যতম। গভীর সমুদ্রবন্দরটি বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ তৈরি করবে। এতে বন্দরে জাহাজ ভিড়ে থাকার সময় কমবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় হতে পারে।
বে টার্মিনাল বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ কনটেইনার পরিবহন করবে। এটি ১০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সহজ সংযোগ স্থাপন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা বাণিজ্য এবং বন্দর পরিচালনায় নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া, সামাজিক সুরক্ষা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় আরও ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এর নাম ‘স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইমপ্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন, অ্যান্ড টার্গেটিং (এসএসপিআইআরআইটি)।’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা ও জীবিকা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে তরুণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নারী এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শ্রমিকেরা এর আওতায় আসবেন।
সহায়তা যাতে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং সম্ভাব্য জলবায়ু বা অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করা যায়, সে জন্য বিতরণ ব্যবস্থাকে আধুনিক করা হবে। সুবিধাভোগীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করার জন্য একটি জাতীয় ডেটাবেইস তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় রোজগারের ক্ষমতা বাড়বে। দরিদ্র পরিবার, বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের উন্নয়নের জন্য এই কৌশল গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের জলবায়ু সহনশীলতা ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ড. গেয়েল মার্টিন সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার উপস্থিত ছিলেন। এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদবিহীন ঋণ ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে সরকার। গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আধুনিকায়নে এ অর্থ ব্যয় হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আধুনিকায়নে এ অর্থ ব্যয় হবে। এর মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা প্রায় ২০ লাখ তরুণসহ সবার জন্য মানসম্মত কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এই অর্থায়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এটি বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে, পরিবহন খরচ ও সময় কমাতে সাহায্য করবে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় থাকা দুর্বল জনগোষ্ঠীকেও এটি কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করবে।’
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’—এর জন্য বিশ্বব্যাংক ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এই প্রকল্প বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়িয়ে এবং পরিবহন খরচ ও সময় কমিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। বন্দরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলবায়ু সহনশীল বাঁধ ও সংযোগ চ্যানেল অন্যতম। গভীর সমুদ্রবন্দরটি বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ তৈরি করবে। এতে বন্দরে জাহাজ ভিড়ে থাকার সময় কমবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় হতে পারে।
বে টার্মিনাল বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ কনটেইনার পরিবহন করবে। এটি ১০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সহজ সংযোগ স্থাপন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা বাণিজ্য এবং বন্দর পরিচালনায় নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া, সামাজিক সুরক্ষা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় আরও ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এর নাম ‘স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইমপ্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন, অ্যান্ড টার্গেটিং (এসএসপিআইআরআইটি)।’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা ও জীবিকা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে তরুণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নারী এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শ্রমিকেরা এর আওতায় আসবেন।
সহায়তা যাতে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং সম্ভাব্য জলবায়ু বা অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করা যায়, সে জন্য বিতরণ ব্যবস্থাকে আধুনিক করা হবে। সুবিধাভোগীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করার জন্য একটি জাতীয় ডেটাবেইস তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় রোজগারের ক্ষমতা বাড়বে। দরিদ্র পরিবার, বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের উন্নয়নের জন্য এই কৌশল গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের জলবায়ু সহনশীলতা ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ড. গেয়েল মার্টিন সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার উপস্থিত ছিলেন। এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদবিহীন ঋণ ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
বিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। নতুন বিপণন মৌসুমে (১ জুলাই থেকে শুরু) শস্য রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করেছে তারা। বিশেষ করে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের মতো বড় বাজারগুলোকে এবার টার্গেট করছে।
৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসন বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল গ্রাফাইটের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে ইভি তৈরির খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তেল শোধনাগারটি পরিচালনা করে নায়ারা এনার্জি লিমিটেড, যার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের।
১৮ ঘণ্টা আগেরপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৯ ঘণ্টা আগে