নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য পুননির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলার ৮৯ টাকায় বিক্রি হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলস ফর কালেকশন (বিসি) সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করার সময় ব্যাংকগুলো এই হার অনুসরণ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা এবং বিসি সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই দুই রেটের সমন্বয় করে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো ডলার বিক্রি করবে। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)-এর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ডলারের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে গত ১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে লেখা অপর এক চিঠিতে বাফেদার পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব করা হয়। বাফেদার প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এবিবির নেতাদের বাফেদার মধ্যে ২৫ মে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার ডলারের দাম চূড়ান্ত করার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করে দেয়।
বাংলাদেশে ব্যাংকে জমা দেওয়া একটি চিঠির বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, রোববার সকালে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আর এফ হোসেন স্বাক্ষরিত পাঠানো এক পত্রে ডলারের রেট নির্ধারণে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া প্রস্তাবে আন্তব্যাংক বিনিময় হার ৮৯ দশমিক ৮০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংস্থা দুটির অন্যান্য সুপারিশগুলো-আমদানিকারকদের জন্য এক ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হার ৮৯ দশমিক ৯৫ টাকা করতে আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের বিপরীতে ৮৮ দশমিক ৯৫ টাকা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের জন্য ৮৯ দশমিক ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোকে প্রতি ডলার ৯০ টাকার বেশি দর নির্ধারণ না করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।
জানা গেছে, গত ২৫ মে ডলারের বাজারে অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। সংগঠনটির প্রস্তাবে মধ্যে অন্যতম ছিল বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ করা, বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা, বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে আন্ত-ব্যাংক বিনিময় হার পুননির্ধারণ করা। আর সকল অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে ‘একক বিনিময় হারে’ লেনদেন করা এবং সেই হার আন্ত-ব্যাংকের মধ্যে লেনদেনের থেকে কমপক্ষে শূন্য দশমিক এক শতাংশের কম হবে। এই একক বিনিময় হার কঠোরভাবে তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাফেদার প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এডি ব্যাংকগুলো রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী কর্তন মূল্যের সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং রপ্তানির কাগজপত্র যাচাই করবে। এ ছাড়া একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির এলসি বিল ও সরকারি বাধ্যতামূলক পাওনা পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার বাড়তি চাহিদার তারল্য সরবরাহ করবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত এডি ব্যাংকগুলো নিজস্ব উৎস থেকে কেবল সরকারের বাণিজ্য ও বাধ্যতামূলক পাওনা বড়জোড় তিন মাসের জন্য পরিশোধ করবে। তবে এসব ব্যাংক সরকারের আন্তব্যাংক বাজার পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস হিসাবে ব্যবহার হবে না।
ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য পুননির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলার ৮৯ টাকায় বিক্রি হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলস ফর কালেকশন (বিসি) সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করার সময় ব্যাংকগুলো এই হার অনুসরণ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা এবং বিসি সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই দুই রেটের সমন্বয় করে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো ডলার বিক্রি করবে। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)-এর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ডলারের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে গত ১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে লেখা অপর এক চিঠিতে বাফেদার পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব করা হয়। বাফেদার প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এবিবির নেতাদের বাফেদার মধ্যে ২৫ মে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার ডলারের দাম চূড়ান্ত করার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করে দেয়।
বাংলাদেশে ব্যাংকে জমা দেওয়া একটি চিঠির বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, রোববার সকালে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আর এফ হোসেন স্বাক্ষরিত পাঠানো এক পত্রে ডলারের রেট নির্ধারণে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া প্রস্তাবে আন্তব্যাংক বিনিময় হার ৮৯ দশমিক ৮০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংস্থা দুটির অন্যান্য সুপারিশগুলো-আমদানিকারকদের জন্য এক ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হার ৮৯ দশমিক ৯৫ টাকা করতে আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের বিপরীতে ৮৮ দশমিক ৯৫ টাকা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের জন্য ৮৯ দশমিক ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোকে প্রতি ডলার ৯০ টাকার বেশি দর নির্ধারণ না করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।
জানা গেছে, গত ২৫ মে ডলারের বাজারে অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। সংগঠনটির প্রস্তাবে মধ্যে অন্যতম ছিল বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ করা, বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা, বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে আন্ত-ব্যাংক বিনিময় হার পুননির্ধারণ করা। আর সকল অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে ‘একক বিনিময় হারে’ লেনদেন করা এবং সেই হার আন্ত-ব্যাংকের মধ্যে লেনদেনের থেকে কমপক্ষে শূন্য দশমিক এক শতাংশের কম হবে। এই একক বিনিময় হার কঠোরভাবে তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাফেদার প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এডি ব্যাংকগুলো রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী কর্তন মূল্যের সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং রপ্তানির কাগজপত্র যাচাই করবে। এ ছাড়া একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির এলসি বিল ও সরকারি বাধ্যতামূলক পাওনা পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার বাড়তি চাহিদার তারল্য সরবরাহ করবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত এডি ব্যাংকগুলো নিজস্ব উৎস থেকে কেবল সরকারের বাণিজ্য ও বাধ্যতামূলক পাওনা বড়জোড় তিন মাসের জন্য পরিশোধ করবে। তবে এসব ব্যাংক সরকারের আন্তব্যাংক বাজার পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস হিসাবে ব্যবহার হবে না।
১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে বাজারে আসছে ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে, পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
২২ মিনিট আগেসভায় জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি শিল্প গত এক দশকে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগের হার বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণের ফলে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পূবালী ব্যাংক পিএলসি উপহারস্বরূপ বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (BCSIR) কর্মকর্তাদের জন্য একটি মাইক্রোবাস দিয়েছে। পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল
২ ঘণ্টা আগেএনআরবি ব্যাংক পিএলসি (৪ আগস্ট) সফলতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রমের ১২তম বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কেক কেটে ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই ডিবিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান এবং পরিচালকদের সঙ্গে
৩ ঘণ্টা আগে