নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরে ১৫ শতাংশ করে এসব সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে।
আজ রোববার এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিএএমডিএসআইএমই)। ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সভাটি রাজধানীর বিএএমডিএসআইএমইয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি শিল্প গত এক দশকে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগের হার বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণের ফলে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে এ খাতের বাজারের আকার ৫০১ থেকে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৮০০ বিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।
বিএএমডিএসআইএমইর সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা অনুসরণ করছে। বর্তমানে আমাদের বাজারের আকার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম প্রধান অংশ এ শিল্প। এই শিল্পের বাজারের আকার ২০৩০ সালে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে। শুধু স্থানীয় চাহিদা পূরণই নয়, সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতে পারব।’
তিনি জানান, ডায়াগনস্টিক যন্ত্র, চিকিৎসা ইমেজিং মেশিন, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, হাসপাতালে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, সুরক্ষা পোশাক ইত্যাদি আধুনিক চিকিৎসার অপরিহার্য। দেশের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। আন্তর্জাতিক সরবরাহব্যবস্থায় অস্থিরতা দেখা দিলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা হুমকিতে পড়বে। এসব উপকরণ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে দেশি এসবের উৎপাদনের হার ৫ থেকে ৭ শতাংশ। উন্নত প্রযুক্তি, নীতি সহায়তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।
বিএএমডিএসআইএমই জানিয়েছে, দেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে অপসো স্যালাইন এবং ১৯৯৯ সালে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এরপর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সনদ, যেমন—সিই মার্কিং, আইএসও ১৩৪৮৫, আইএসও ৯০০১, জিএমপি মানদণ্ড ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্যোগ্যতা (প্রি কোয়ালিফিকেশন) অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, রক্ত পরিবহন টিউব, পিপিইসহ নানা পণ্য ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
এ শিল্পটির অগ্রগতিতে কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। তারা বলছে, নীতি সহায়তার অভাব, উৎপাদন উপযোগী কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে উচ্চ শুল্ক, গবেষণা ও উদ্ভাবনে সীমিত বিনিয়োগ, খণ্ডিত বাজার কাঠামো, সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্যের অভাব এবং শুল্ক জালিয়াতি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গেটওয়ের নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) সাঈদ হোসেন চৌধুরী, এএনসির ডা. মোহাম্মদ সেলিম, গেটওয়েলের আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
দেশে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরে ১৫ শতাংশ করে এসব সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে।
আজ রোববার এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিএএমডিএসআইএমই)। ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সভাটি রাজধানীর বিএএমডিএসআইএমইয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি শিল্প গত এক দশকে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগের হার বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণের ফলে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে এ খাতের বাজারের আকার ৫০১ থেকে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৮০০ বিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।
বিএএমডিএসআইএমইর সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা অনুসরণ করছে। বর্তমানে আমাদের বাজারের আকার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম প্রধান অংশ এ শিল্প। এই শিল্পের বাজারের আকার ২০৩০ সালে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে। শুধু স্থানীয় চাহিদা পূরণই নয়, সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতে পারব।’
তিনি জানান, ডায়াগনস্টিক যন্ত্র, চিকিৎসা ইমেজিং মেশিন, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, হাসপাতালে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, সুরক্ষা পোশাক ইত্যাদি আধুনিক চিকিৎসার অপরিহার্য। দেশের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। আন্তর্জাতিক সরবরাহব্যবস্থায় অস্থিরতা দেখা দিলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা হুমকিতে পড়বে। এসব উপকরণ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে দেশি এসবের উৎপাদনের হার ৫ থেকে ৭ শতাংশ। উন্নত প্রযুক্তি, নীতি সহায়তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।
বিএএমডিএসআইএমই জানিয়েছে, দেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে অপসো স্যালাইন এবং ১৯৯৯ সালে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এরপর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সনদ, যেমন—সিই মার্কিং, আইএসও ১৩৪৮৫, আইএসও ৯০০১, জিএমপি মানদণ্ড ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্যোগ্যতা (প্রি কোয়ালিফিকেশন) অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, রক্ত পরিবহন টিউব, পিপিইসহ নানা পণ্য ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
এ শিল্পটির অগ্রগতিতে কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। তারা বলছে, নীতি সহায়তার অভাব, উৎপাদন উপযোগী কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে উচ্চ শুল্ক, গবেষণা ও উদ্ভাবনে সীমিত বিনিয়োগ, খণ্ডিত বাজার কাঠামো, সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্যের অভাব এবং শুল্ক জালিয়াতি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গেটওয়ের নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) সাঈদ হোসেন চৌধুরী, এএনসির ডা. মোহাম্মদ সেলিম, গেটওয়েলের আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
দেশের প্রশিক্ষিত রন্ধনশিল্পীরা (শেফ) এখন থেকে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সনদ। রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই) ও যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
৮ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে