নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে জেরবার অবস্থা চলছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিটা দিনই দরপতন হয়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা। আর গত পাঁচ সপ্তাহে বাজার মূলধন হারিয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। প্রকট হচ্ছে আস্থাহীনতা।
বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভালো কোম্পানির অভাব, কারসাজি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে আস্থার সংকটে ধুঁকছে পুঁজিবাজার। অন্যদিকে সুদের হার বেশি হওয়ায় তারল্য কমেছে। বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে না গিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এসব কারণে পুঁজিবাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৬৯টি শেয়ারের, কমেছে ৩০১টির। আগের দরে লেনদেন হয়েছে ৩১টির। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এর প্রভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম।
গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তার আগের তিন সপ্তাহে মূলধন কমেছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। এতে পাঁচ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭২ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা।
সানী মাহমুদ নামের এক বিনিয়োগকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন এই ভেবে ধৈর্য ধরি যে বাজার ভালো হবে। কিন্তু বাজার তো ভালো হচ্ছে না। প্রতিদিনই শেয়ারের দাম কমছে। ফলে দিন যত যাচ্ছে লোকসানের পরিমাণ তত বাড়ছে। এই লোকসান থেকে বের হওয়ার কোনো পথ দেখছি না।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে ভালো শেয়ারের অপ্রাপ্ততা, অপর্যাপ্ততা। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। ভালো লভ্যাংশ দেয়, কোম্পানির ভালো ব্যবস্থাপনা, দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসায় ভালো করছে—এমন কোম্পানির খুব অভাব। ব্যাংক খাতের বাইরে বিনিয়োগের জন্য ১০-১২টির বেশি কোম্পানি আমি দেখি না। জাঙ্ক শেয়ার বা জেড গ্রুপের শেয়ার দিয়ে বাজার চালানো যায় না। তা ছাড়া সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ ঢুকছে না।’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কর্তাব্যক্তিদের প্রশ্রয়ে যাঁরা বাজারে প্লে করতেন, তাঁরা সামনে সেই সুবিধা পেতে থাকবেন, সেটা নিশ্চিত হতে পারছেন না। যার কারণে, তাঁরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।’
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, সুদের হার বেশি। বিপরীতে শেয়ারবাজার থেকে বেশি রিটার্ন আসছে না। এ কারণে নতুন করে বিনিয়োগে যাচ্ছেন না বড় বিনিয়োগকারীরা। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়ার, নিয়ম অনুযায়ী সেগুলো যাবেই। ঘটা করে ঘোষণা করার কারণে কিছুটা আতঙ্ক ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। আর শেয়ার কেনার পরে জেড ক্যাটাগরিতে চলে যাওয়ায় অনেকের বিনিয়োগ আটকে গেছে। ফলে সেক্টরাল মুভমেন্ট বা খাতভিত্তিক লেনদেন হচ্ছে না।
একই মত ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিওর। তিনি বলেন, সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহী হচ্ছেন না অনেকেই।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে জেরবার অবস্থা চলছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিটা দিনই দরপতন হয়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা। আর গত পাঁচ সপ্তাহে বাজার মূলধন হারিয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। প্রকট হচ্ছে আস্থাহীনতা।
বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভালো কোম্পানির অভাব, কারসাজি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে আস্থার সংকটে ধুঁকছে পুঁজিবাজার। অন্যদিকে সুদের হার বেশি হওয়ায় তারল্য কমেছে। বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে না গিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এসব কারণে পুঁজিবাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৬৯টি শেয়ারের, কমেছে ৩০১টির। আগের দরে লেনদেন হয়েছে ৩১টির। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এর প্রভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম।
গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তার আগের তিন সপ্তাহে মূলধন কমেছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। এতে পাঁচ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭২ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা।
সানী মাহমুদ নামের এক বিনিয়োগকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন এই ভেবে ধৈর্য ধরি যে বাজার ভালো হবে। কিন্তু বাজার তো ভালো হচ্ছে না। প্রতিদিনই শেয়ারের দাম কমছে। ফলে দিন যত যাচ্ছে লোকসানের পরিমাণ তত বাড়ছে। এই লোকসান থেকে বের হওয়ার কোনো পথ দেখছি না।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে ভালো শেয়ারের অপ্রাপ্ততা, অপর্যাপ্ততা। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। ভালো লভ্যাংশ দেয়, কোম্পানির ভালো ব্যবস্থাপনা, দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসায় ভালো করছে—এমন কোম্পানির খুব অভাব। ব্যাংক খাতের বাইরে বিনিয়োগের জন্য ১০-১২টির বেশি কোম্পানি আমি দেখি না। জাঙ্ক শেয়ার বা জেড গ্রুপের শেয়ার দিয়ে বাজার চালানো যায় না। তা ছাড়া সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ ঢুকছে না।’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কর্তাব্যক্তিদের প্রশ্রয়ে যাঁরা বাজারে প্লে করতেন, তাঁরা সামনে সেই সুবিধা পেতে থাকবেন, সেটা নিশ্চিত হতে পারছেন না। যার কারণে, তাঁরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।’
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, সুদের হার বেশি। বিপরীতে শেয়ারবাজার থেকে বেশি রিটার্ন আসছে না। এ কারণে নতুন করে বিনিয়োগে যাচ্ছেন না বড় বিনিয়োগকারীরা। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়ার, নিয়ম অনুযায়ী সেগুলো যাবেই। ঘটা করে ঘোষণা করার কারণে কিছুটা আতঙ্ক ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। আর শেয়ার কেনার পরে জেড ক্যাটাগরিতে চলে যাওয়ায় অনেকের বিনিয়োগ আটকে গেছে। ফলে সেক্টরাল মুভমেন্ট বা খাতভিত্তিক লেনদেন হচ্ছে না।
একই মত ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিওর। তিনি বলেন, সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহী হচ্ছেন না অনেকেই।
বিলাসবহুল ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড বারবেরি জানিয়েছে, খরচ কমাতে আগামী দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে, যা তাদের মোট কর্মীর প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড নিট ক্ষতির তথ্য প্রকাশের পর এই ঘোষণা এসেছে। গত বছর বারবেরি ২৭০ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বাণিজ্য সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করা জরুরি বলে মত দিয়েছেন উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘ভিয়েতনাম...
২ ঘণ্টা আগেসিগারেটের বর্তমান চার স্তরের করকাঠামো কমিয়ে তিন স্তরে নামিয়ে আনা এবং প্রতি শলাকার দাম ন্যূনতম ৯ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এখন রাজনৈতিকভাবে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ সুযোগে জনস্বার্থে করকাঠামোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা জরুরি।
২ ঘণ্টা আগেদেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম আয়োজিত স্থাপত্যবিষয়ক সম্মেলন ‘আর্কিটেকচার: হোয়ার টু গো’ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের খ্যাতনামা স্থপতি, একাডেমিশিয়ান ও উদ্ভাবনী তরুণ প্রজন্ম অংশ নেয়।
৬ ঘণ্টা আগে