অনলাইন ডেস্ক
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করপোরেট কোম্পানিগুলো ফিড (মুরগির খাবার) ও মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা করছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ)। এ কারণে ডিম ও মুরগির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। যত দিন পর্যন্ত সরকার এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে স্বস্তি আসবে না জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ খান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে বিপিএর সভাপতি সুমন হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করপোরেট কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ফিডের দাম বাড়িয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ফিডের দাম কমেছে, কিন্তু দেশের বাজারে তার কোনো প্রতিফলন নেই। যখন মুরগির বাচ্চা আমদানি করা হতো, তখন দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার দাম ছিল কম, কিন্তু দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির পরেই কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট গঠন করে এবং দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে দেশের প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং একচেটিয়া করপোরেট গ্রুপগুলোর হাতে পুরো পোলট্রি বাজার চলে যাচ্ছে।
তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বলেন, দেশে বছরে ৮০ লাখ টন ফিড উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি ফিডে যদি ৫ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়, তবে ১ টন ফিডে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত মুনাফা হয়। আর ৮০ লাখ টন ফিডে কোম্পানিগুলো বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে।
এ ছাড়া, দেশে বছরে প্রায় ১০৪ কোটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হয়। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা অতিরিক্ত নেয়, তবে কোম্পানিগুলো খামারিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। এভাবে, করপোরেট কোম্পানিগুলো ফিড ও মুরগির বাচ্চায় বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে।
প্রান্তিক খামারিরা ডিম ও মুরগির ৮০ শতাংশ উৎপাদন নিশ্চিত করে উল্লেখ করে সুমন হাওলাদার বলেন, কারসাজির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা করার পরেও কোম্পানিগুলো সরকারকে তাদের মনগড়া ক্ষতির গল্প শোনাচ্ছে। এই ধরনের অবস্থা শিল্পকে আরও বিভ্রান্তিকর এবং শঙ্কিত করে তুলবে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, যা দেশের খামারিদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেমন তারা উচ্চমূল্যে ফিড ও মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করে, ফলে খামারিরা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে উঠতে পারছেন না এবং তাঁদের ব্যবসায় হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে।
এটি শুধু খামারিদের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং দেশের খাদ্যনিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্যও বিপজ্জনক। যদি এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে পোলট্রি শিল্পের সংকট আরও প্রকট হবে এবং আমাদের দেশের খাদ্য ব্যবস্থা, কৃষি খাতের টেকসই উন্নতি এবং এখানে জড়িত পরোক্ষ প্রত্যক্ষভাবে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে।
সরকারের উচিত নীতিনির্ধারক পর্যায় করপোরেট গ্রুপসহ প্রান্তিক খামারিদের মতামত নেওয়া। এ ক্ষেত্রে করপোরেট কোম্পানিগুলোর ফিড মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙে প্রান্তিক খামারিদের জন্য একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা। ফিড ও মুরগির বাচ্চার বাজারে দামের অস্থিরতা রোধ করতে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু ডিম ও মুরগির দাম বাড়লে নয়, বরং ফিড ও মুরগির বাচ্চার দামও যদি বাড়ে, তাহলে সে ক্ষেত্রে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ জরুরি।
একবার করপোরেটদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে, তখন ডিম ও মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করপোরেট কোম্পানিগুলো ফিড (মুরগির খাবার) ও মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা করছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ)। এ কারণে ডিম ও মুরগির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। যত দিন পর্যন্ত সরকার এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে স্বস্তি আসবে না জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ খান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে বিপিএর সভাপতি সুমন হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করপোরেট কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ফিডের দাম বাড়িয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ফিডের দাম কমেছে, কিন্তু দেশের বাজারে তার কোনো প্রতিফলন নেই। যখন মুরগির বাচ্চা আমদানি করা হতো, তখন দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার দাম ছিল কম, কিন্তু দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির পরেই কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট গঠন করে এবং দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে দেশের প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং একচেটিয়া করপোরেট গ্রুপগুলোর হাতে পুরো পোলট্রি বাজার চলে যাচ্ছে।
তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বলেন, দেশে বছরে ৮০ লাখ টন ফিড উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি ফিডে যদি ৫ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়, তবে ১ টন ফিডে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত মুনাফা হয়। আর ৮০ লাখ টন ফিডে কোম্পানিগুলো বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে।
এ ছাড়া, দেশে বছরে প্রায় ১০৪ কোটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হয়। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা অতিরিক্ত নেয়, তবে কোম্পানিগুলো খামারিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। এভাবে, করপোরেট কোম্পানিগুলো ফিড ও মুরগির বাচ্চায় বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে।
প্রান্তিক খামারিরা ডিম ও মুরগির ৮০ শতাংশ উৎপাদন নিশ্চিত করে উল্লেখ করে সুমন হাওলাদার বলেন, কারসাজির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা করার পরেও কোম্পানিগুলো সরকারকে তাদের মনগড়া ক্ষতির গল্প শোনাচ্ছে। এই ধরনের অবস্থা শিল্পকে আরও বিভ্রান্তিকর এবং শঙ্কিত করে তুলবে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, যা দেশের খামারিদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেমন তারা উচ্চমূল্যে ফিড ও মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করে, ফলে খামারিরা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে উঠতে পারছেন না এবং তাঁদের ব্যবসায় হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে।
এটি শুধু খামারিদের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং দেশের খাদ্যনিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্যও বিপজ্জনক। যদি এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে পোলট্রি শিল্পের সংকট আরও প্রকট হবে এবং আমাদের দেশের খাদ্য ব্যবস্থা, কৃষি খাতের টেকসই উন্নতি এবং এখানে জড়িত পরোক্ষ প্রত্যক্ষভাবে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে।
সরকারের উচিত নীতিনির্ধারক পর্যায় করপোরেট গ্রুপসহ প্রান্তিক খামারিদের মতামত নেওয়া। এ ক্ষেত্রে করপোরেট কোম্পানিগুলোর ফিড মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙে প্রান্তিক খামারিদের জন্য একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা। ফিড ও মুরগির বাচ্চার বাজারে দামের অস্থিরতা রোধ করতে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু ডিম ও মুরগির দাম বাড়লে নয়, বরং ফিড ও মুরগির বাচ্চার দামও যদি বাড়ে, তাহলে সে ক্ষেত্রে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ জরুরি।
একবার করপোরেটদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে, তখন ডিম ও মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার তৃতীয় ধাপের প্রথম দিন শেষ হয়েছে। বৈঠকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত মিলেছে। তবে কোন স্তরে কমবে, সে আলোচনা এখনো হয়নি। আলোচনার আরও দুই দিন বাকি।
২ মিনিট আগেপুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি...
৩ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ অর্থনীতিকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করছে এজেন্ট ব্যাংকিং। হিসাব, আমানত এবং লেনদেনে এ খাতে প্রবৃদ্ধি এখন চোখে পড়ার মতো। তবে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে এর অবকাঠামোয়। কমে যাচ্ছে এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা। অর্থাৎ এই খাত একদিকে বিস্তৃতি পাচ্ছে, অন্যদিকে সংকুচিত হচ্ছে এর নেটওয়ার্ক...
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক নিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হচ্ছে এই সংলাপ।
১২ ঘণ্টা আগে