নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৈরি পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর পরও ‘উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকেরা’ অযৌক্তিক দাবিতে বেশ কিছু কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার জন্য ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি কারখানায় ‘অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক’ অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছেন। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বলে বিজিএমইএ সভাপতি জানান।
ফারুক হাসান বলেন, ‘এসব কারখানার মালিকেরা মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাঁদের কাজ চলমান থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭। করোনা-পরবর্তী সময়ে অন্য কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
ফারুক হাসান আরও বলেন, শিল্পের উত্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। কারখানা বন্ধ হয়েছে নানান সংকটে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএর সদস্য হলেও কালের পরিক্রমায় এগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭ এবং পরে অন্য কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিল্পের অভ্যন্তরের গভীরতম সংকটের বিষয়টি গণমাধ্যমে সেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। কতখানি সংকটের মধ্যে থেকে, কতখানি অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে কারখানাগুলো চলছে, তা বন্ধ হওয়ার কারখানার পরিসংখ্যানই বলে দেয়। কোনো উদ্যোক্তাই চান না, তাঁর অক্লান্ত কষ্টে তিলে তিলে গড়া ওঠা শিল্পকারখানা বন্ধ হোক। কিন্তু বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কিছু বিষয় আছে, যার প্রভাব থেকে শিল্প চাইলেও বের হতে পারে না, শিল্পকে তা গ্রহণ করতেই হয়। এটাই এ শিল্পের কঠিন বাস্তবতা।
ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক—দ্বিমুখী চাপের মধ্যে থেকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিকগোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো এ ব্যাপারে আমাদের ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, মামলার কপিও আমাদের দিয়েছে।’
তৈরি পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর পরও ‘উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকেরা’ অযৌক্তিক দাবিতে বেশ কিছু কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার জন্য ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি কারখানায় ‘অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক’ অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছেন। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বলে বিজিএমইএ সভাপতি জানান।
ফারুক হাসান বলেন, ‘এসব কারখানার মালিকেরা মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাঁদের কাজ চলমান থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭। করোনা-পরবর্তী সময়ে অন্য কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
ফারুক হাসান আরও বলেন, শিল্পের উত্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। কারখানা বন্ধ হয়েছে নানান সংকটে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএর সদস্য হলেও কালের পরিক্রমায় এগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭ এবং পরে অন্য কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিল্পের অভ্যন্তরের গভীরতম সংকটের বিষয়টি গণমাধ্যমে সেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। কতখানি সংকটের মধ্যে থেকে, কতখানি অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে কারখানাগুলো চলছে, তা বন্ধ হওয়ার কারখানার পরিসংখ্যানই বলে দেয়। কোনো উদ্যোক্তাই চান না, তাঁর অক্লান্ত কষ্টে তিলে তিলে গড়া ওঠা শিল্পকারখানা বন্ধ হোক। কিন্তু বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কিছু বিষয় আছে, যার প্রভাব থেকে শিল্প চাইলেও বের হতে পারে না, শিল্পকে তা গ্রহণ করতেই হয়। এটাই এ শিল্পের কঠিন বাস্তবতা।
ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক—দ্বিমুখী চাপের মধ্যে থেকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিকগোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো এ ব্যাপারে আমাদের ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, মামলার কপিও আমাদের দিয়েছে।’
মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে এবার ট্রাম্প প্রশাসন হাত মেলাচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে। এমনকি দেশটির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে আসছে শিথিলতা, হচ্ছে প্রত্যাহারও।
৩০ মিনিট আগেআজ ২৯ জুলাই, মঙ্গলবার চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস। দেশের মুদ্রাবাজারে লেনদেন চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুসারে আজ ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে ডলারের দাম ওঠানামা করছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে মার্কিন বাজার থেকে অতিরিক্ত দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। বাণিজ্যিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সরকার একদিকে যেমন বৃহৎ পরিসরে সরকারি আমদানির অর্ডার বাড়াচ্ছে...
১১ ঘণ্টা আগেদেশের ওয়াক্ফ এস্টেটগুলোর দীর্ঘস্থায়ী সংকট নিরসন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ‘ওয়াক্ফ এস্টেটসমূহের সংকট উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় ও সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বাংলামোটরে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে