জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
গত বছর প্রথমবারের মতো ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর, শুরুর দিকে ডলারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলারের সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় আস্থা ফিরে পায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তার নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ থেকে আংশিক বেরিয়ে এখন পণ্য আমদানির শর্ত শিথিলে অগ্রসর হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে খোলা বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের জমার পরিমাণ ছিল ৯৪১ মিলিয়ন ডলার। এটি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে যথাক্রমে ছিল ৭৬৯ মিলিয়ন ও ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, অক্টোবর মাসে আগস্টের তুলনায় প্রায় ১৭২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ভল্টে রাখা ডলারের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় অক্টোবরে ভল্টে রাখা ডলার বেড়েছে ২১ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫ শতাংশ। যদিও ব্যাংকগুলোর ক্যাশ ডলার জমা রাখার সাধারণ সীমা সর্বোচ্চ ১১৮ মিলিয়ন ডলার। তবে এই পরিসংখ্যান দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ধীরে ধীরে উন্নতির চিত্র তুলে ধরে, যেখানে ডলারের সরবরাহ বাড়ার বিপরীতে সংকট কমে আসাকে ইঙ্গিত করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ক্রলিং পেগের সুফল এখন পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ডলারের বাজারে কোনো ‘হইচই’ নেই। এলসি বিল পরিশোধে ডলার সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে, পাশাপাশি ক্যাশ ডলারের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে পৌঁছানোর একটি ইতিবাচক পর্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আশাব্যঞ্জক এই পরিবর্তনগুলো এসেছে প্রধানত কিছু বিশেষ পদক্ষেপের কারণে। একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজারে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে কোনো ব্যাংক ম্যানিপুলেশন বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা না করে। অন্যদিকে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ওপর কড়া মনিটরিং পরিচালনা করেছে, যার মাধ্যমে ডলার পাচার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) হিসাবে ডলার জমা দিলে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে, ফলে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ডলার ব্যাংকে জমা করার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রায় আরএফসিডি হিসাব খুলে নাগরিকেরা তা ব্যাংকে জমা রাখছেন। বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের তথ্যমতে, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রা ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা রাখার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তার ওপর সুদের সুবিধা থাকায় মুনাফা অর্জন করার সুযোগও রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ ডলারের পরিমাণ বাড়ছে। অক্টোবর মাসে ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ডলার নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল, তা এখন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তবে সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু বকেয়া বিল এখনো রয়ে গেছে।’
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরও জানান, সরকারি ব্যাংকগুলোর বকেয়া বিল পুরোপুরি শোধ হলে দেশের ডলার বাজারে আরও বড় ধরনের স্বস্তি আসবে এবং পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে। এর মাধ্যমে ডলার-সংকট আরও কমে যাবে এবং ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ আরও বাড়বে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
প্রতিবেদন তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিমাণ যথাক্রমে ছিল ১ হাজার ৯৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং ১ হাজার ৮৩১ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, আগস্টের তুলনায় অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবে বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, তিন ক্যাটাগরির মোট হিসাবের মধ্যে অক্টোবরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ডলারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১ মিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ৭৪৭ মিলিয়ন ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী, এক মাসে প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলেও ব্যাংকগুলোর ডলার সরবরাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
গত বছর প্রথমবারের মতো ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর, শুরুর দিকে ডলারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলারের সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় আস্থা ফিরে পায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তার নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ থেকে আংশিক বেরিয়ে এখন পণ্য আমদানির শর্ত শিথিলে অগ্রসর হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে খোলা বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের জমার পরিমাণ ছিল ৯৪১ মিলিয়ন ডলার। এটি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে যথাক্রমে ছিল ৭৬৯ মিলিয়ন ও ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, অক্টোবর মাসে আগস্টের তুলনায় প্রায় ১৭২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ভল্টে রাখা ডলারের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় অক্টোবরে ভল্টে রাখা ডলার বেড়েছে ২১ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫ শতাংশ। যদিও ব্যাংকগুলোর ক্যাশ ডলার জমা রাখার সাধারণ সীমা সর্বোচ্চ ১১৮ মিলিয়ন ডলার। তবে এই পরিসংখ্যান দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ধীরে ধীরে উন্নতির চিত্র তুলে ধরে, যেখানে ডলারের সরবরাহ বাড়ার বিপরীতে সংকট কমে আসাকে ইঙ্গিত করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ক্রলিং পেগের সুফল এখন পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ডলারের বাজারে কোনো ‘হইচই’ নেই। এলসি বিল পরিশোধে ডলার সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে, পাশাপাশি ক্যাশ ডলারের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে পৌঁছানোর একটি ইতিবাচক পর্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আশাব্যঞ্জক এই পরিবর্তনগুলো এসেছে প্রধানত কিছু বিশেষ পদক্ষেপের কারণে। একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজারে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে কোনো ব্যাংক ম্যানিপুলেশন বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা না করে। অন্যদিকে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ওপর কড়া মনিটরিং পরিচালনা করেছে, যার মাধ্যমে ডলার পাচার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) হিসাবে ডলার জমা দিলে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে, ফলে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ডলার ব্যাংকে জমা করার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রায় আরএফসিডি হিসাব খুলে নাগরিকেরা তা ব্যাংকে জমা রাখছেন। বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের তথ্যমতে, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রা ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা রাখার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তার ওপর সুদের সুবিধা থাকায় মুনাফা অর্জন করার সুযোগও রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ ডলারের পরিমাণ বাড়ছে। অক্টোবর মাসে ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ডলার নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল, তা এখন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তবে সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু বকেয়া বিল এখনো রয়ে গেছে।’
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরও জানান, সরকারি ব্যাংকগুলোর বকেয়া বিল পুরোপুরি শোধ হলে দেশের ডলার বাজারে আরও বড় ধরনের স্বস্তি আসবে এবং পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে। এর মাধ্যমে ডলার-সংকট আরও কমে যাবে এবং ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ আরও বাড়বে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
প্রতিবেদন তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিমাণ যথাক্রমে ছিল ১ হাজার ৯৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং ১ হাজার ৮৩১ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, আগস্টের তুলনায় অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবে বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, তিন ক্যাটাগরির মোট হিসাবের মধ্যে অক্টোবরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ডলারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১ মিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ৭৪৭ মিলিয়ন ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী, এক মাসে প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলেও ব্যাংকগুলোর ডলার সরবরাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
গত বছর প্রথমবারের মতো ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর, শুরুর দিকে ডলারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলারের সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় আস্থা ফিরে পায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তার নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ থেকে আংশিক বেরিয়ে এখন পণ্য আমদানির শর্ত শিথিলে অগ্রসর হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে খোলা বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের জমার পরিমাণ ছিল ৯৪১ মিলিয়ন ডলার। এটি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে যথাক্রমে ছিল ৭৬৯ মিলিয়ন ও ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, অক্টোবর মাসে আগস্টের তুলনায় প্রায় ১৭২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ভল্টে রাখা ডলারের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় অক্টোবরে ভল্টে রাখা ডলার বেড়েছে ২১ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫ শতাংশ। যদিও ব্যাংকগুলোর ক্যাশ ডলার জমা রাখার সাধারণ সীমা সর্বোচ্চ ১১৮ মিলিয়ন ডলার। তবে এই পরিসংখ্যান দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ধীরে ধীরে উন্নতির চিত্র তুলে ধরে, যেখানে ডলারের সরবরাহ বাড়ার বিপরীতে সংকট কমে আসাকে ইঙ্গিত করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ক্রলিং পেগের সুফল এখন পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ডলারের বাজারে কোনো ‘হইচই’ নেই। এলসি বিল পরিশোধে ডলার সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে, পাশাপাশি ক্যাশ ডলারের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে পৌঁছানোর একটি ইতিবাচক পর্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আশাব্যঞ্জক এই পরিবর্তনগুলো এসেছে প্রধানত কিছু বিশেষ পদক্ষেপের কারণে। একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজারে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে কোনো ব্যাংক ম্যানিপুলেশন বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা না করে। অন্যদিকে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ওপর কড়া মনিটরিং পরিচালনা করেছে, যার মাধ্যমে ডলার পাচার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) হিসাবে ডলার জমা দিলে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে, ফলে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ডলার ব্যাংকে জমা করার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রায় আরএফসিডি হিসাব খুলে নাগরিকেরা তা ব্যাংকে জমা রাখছেন। বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের তথ্যমতে, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রা ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা রাখার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তার ওপর সুদের সুবিধা থাকায় মুনাফা অর্জন করার সুযোগও রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ ডলারের পরিমাণ বাড়ছে। অক্টোবর মাসে ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ডলার নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল, তা এখন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তবে সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু বকেয়া বিল এখনো রয়ে গেছে।’
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরও জানান, সরকারি ব্যাংকগুলোর বকেয়া বিল পুরোপুরি শোধ হলে দেশের ডলার বাজারে আরও বড় ধরনের স্বস্তি আসবে এবং পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে। এর মাধ্যমে ডলার-সংকট আরও কমে যাবে এবং ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ আরও বাড়বে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
প্রতিবেদন তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিমাণ যথাক্রমে ছিল ১ হাজার ৯৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং ১ হাজার ৮৩১ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, আগস্টের তুলনায় অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবে বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, তিন ক্যাটাগরির মোট হিসাবের মধ্যে অক্টোবরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ডলারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১ মিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ৭৪৭ মিলিয়ন ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী, এক মাসে প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলেও ব্যাংকগুলোর ডলার সরবরাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
গত বছর প্রথমবারের মতো ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর, শুরুর দিকে ডলারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলারের সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় আস্থা ফিরে পায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তার নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ থেকে আংশিক বেরিয়ে এখন পণ্য আমদানির শর্ত শিথিলে অগ্রসর হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে খোলা বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের জমার পরিমাণ ছিল ৯৪১ মিলিয়ন ডলার। এটি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে যথাক্রমে ছিল ৭৬৯ মিলিয়ন ও ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, অক্টোবর মাসে আগস্টের তুলনায় প্রায় ১৭২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ভল্টে রাখা ডলারের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় অক্টোবরে ভল্টে রাখা ডলার বেড়েছে ২১ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫ শতাংশ। যদিও ব্যাংকগুলোর ক্যাশ ডলার জমা রাখার সাধারণ সীমা সর্বোচ্চ ১১৮ মিলিয়ন ডলার। তবে এই পরিসংখ্যান দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ধীরে ধীরে উন্নতির চিত্র তুলে ধরে, যেখানে ডলারের সরবরাহ বাড়ার বিপরীতে সংকট কমে আসাকে ইঙ্গিত করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ক্রলিং পেগের সুফল এখন পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ডলারের বাজারে কোনো ‘হইচই’ নেই। এলসি বিল পরিশোধে ডলার সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে, পাশাপাশি ক্যাশ ডলারের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে পৌঁছানোর একটি ইতিবাচক পর্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আশাব্যঞ্জক এই পরিবর্তনগুলো এসেছে প্রধানত কিছু বিশেষ পদক্ষেপের কারণে। একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজারে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে কোনো ব্যাংক ম্যানিপুলেশন বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা না করে। অন্যদিকে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ওপর কড়া মনিটরিং পরিচালনা করেছে, যার মাধ্যমে ডলার পাচার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) হিসাবে ডলার জমা দিলে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে, ফলে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ডলার ব্যাংকে জমা করার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রায় আরএফসিডি হিসাব খুলে নাগরিকেরা তা ব্যাংকে জমা রাখছেন। বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের তথ্যমতে, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রা ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা রাখার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তার ওপর সুদের সুবিধা থাকায় মুনাফা অর্জন করার সুযোগও রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ ডলারের পরিমাণ বাড়ছে। অক্টোবর মাসে ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ডলার নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল, তা এখন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তবে সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু বকেয়া বিল এখনো রয়ে গেছে।’
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরও জানান, সরকারি ব্যাংকগুলোর বকেয়া বিল পুরোপুরি শোধ হলে দেশের ডলার বাজারে আরও বড় ধরনের স্বস্তি আসবে এবং পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে। এর মাধ্যমে ডলার-সংকট আরও কমে যাবে এবং ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ আরও বাড়বে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
প্রতিবেদন তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিমাণ যথাক্রমে ছিল ১ হাজার ৯৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং ১ হাজার ৮৩১ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, আগস্টের তুলনায় অক্টোবর মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবে বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, তিন ক্যাটাগরির মোট হিসাবের মধ্যে অক্টোবরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ডলারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১ মিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ৭৪৭ মিলিয়ন ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী, এক মাসে প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলেও ব্যাংকগুলোর ডলার সরবরাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে।

ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক (ইপিআই) প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)। ইপিআই জরিপের দেখা যায়, ঢাকার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর)। ঢাকার অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি রূপান্তরিত পণ্য শুধু দেশীয় চাহিদা পূরণ করছে না, বিশ্বব্যাপীও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ইপিজেডে বিদেশি কিছু কারখানাও সরাসরি রপ্তানি করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো প্রমাণ দেয়, গত ছয় বছরে মানব চুল এবং কৃত্রিম চুলের রপ্তানি প্রায় সাড়ে চার গুণ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২০২০-২১ সালে রপ্তানি ৭৫.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৫.৭১ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা আরও ৮৫.৩৫ শতাংশ বেড়ে ১০.৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। পরের বছর ২০২২-২৩-এ রপ্তানি ১২.৩০ কোটি ডলারে পৌঁছায়, যদিও ২০২৩-২৪-এ বৈশ্বিক কারণে ৩.৯৫ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়। তবে এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি ২০.৯২ শতাংশ বাড়ে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর), দেশ থেকে মানব চুল ও উইগস রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ৫৫ শতাংশ বেশি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। নন-ট্র্যাডিশনাল পণ্যের মধ্যে মানব চুলের বাজারে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যেখানে ফার্মাসিটিউটিক্যাল খাতের রপ্তানি ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সেখানে মানব চুল খাতের উচ্চ প্রবৃদ্ধি দারুণ সম্ভাবনাই নির্দেশ করছে।
দেশে মানব চুলের প্রথম উদ্যোক্তা খিলগাঁওয়ের মতিউর রহমান। প্রায় তিন দশক আগে তিনি বাড়ি বাড়ি ও পারলারে ঘুরে চুল সংগ্রহ শুরু করেন। পরিবার ও সমাজ সমর্থন না করলেও তিনি থেমে যাননি। সংগ্রহ করা চুল প্রক্রিয়াজাত করে উইগস, হেয়ার এক্সটেনশনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। পরে প্রতিষ্ঠা করেন চুলের কারখানা ‘হেয়ারি’। গত ২৯ বছরে তাঁর ব্যবসাসহ এ খাতের সার্বিক বাজার, কারখানা ও হকার—সবই বেড়েছে। তাঁর নরসিংদীর কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন ৩০ জন।
তথ্যমতে, দেশীয় কারখানাগুলো মাসে গড়ে ২০ কেজি চুল সংগ্রহ করে। ৮ ইঞ্চি চুলের দাম ৮-৯ হাজার টাকা, বড় চুলের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ হাজার টাকা। বছরে দেশে সংগৃহীত চুলের পরিমাণ প্রায় ৫ টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। পণ্য তৈরিতে ৫০ শতাংশ মূল্য সংযোজন হলে চুলের সার্বিক বাজার দাঁড়ায় ৮ কোটি টাকার আশপাশে। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি পণ্য রপ্তানি হলে এর মূল্য পৌঁছায় ১৪ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়।
মানব চুল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় চার ধাপে। হকারদেরও ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মো. রাফসান জানি বলেন, তাঁরা সারা দিনে ১০০-১৫০ গ্রাম চুল সংগ্রহ করেন, যা ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এবং নিয়মিত আয় নিশ্চিত হয়।
বিশ্ববাজারেও এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ইউরোপ ও আমেরিকায় বাংলাদেশি চুল এবং উইগস রপ্তানি হচ্ছে। বৈশ্বিক মানব চুলের বাজারের আকার প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বছরে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে। ভারত মানব চুল রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষে, বৈশ্বিক চাহিদার ৮৫ শতাংশ সরবরাহ করছে। এক্সটেনশন ও উইগের বাজারের প্রধান দখল রয়েছে উত্তর আমেরিকার, যেখানে ২০২৪ সালে ৪৭.১৩ শতাংশ বাজার তাদের দখলেই ছিল।
তবে বাজার প্রসারে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। অনেক নারী মনে করেন, ফেলে দেওয়া চুল বিক্রি করলে অমঙ্গল হয়। দেশের নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের কারণে চুল কাটেন না। এ ছাড়া তৈরি পণ্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানো জটিল। এ ছাড়া কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান চুলকে মানব অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করে সরবরাহে অনীহা দেখায়। হাই ভ্যালুর পণ্য হওয়ায় হকারদের অগ্রিম টাকা দিতে হয় এবং অনেক উদ্যোক্তার পুঁজি সীমিত।
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি রূপান্তরিত পণ্য শুধু দেশীয় চাহিদা পূরণ করছে না, বিশ্বব্যাপীও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ইপিজেডে বিদেশি কিছু কারখানাও সরাসরি রপ্তানি করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো প্রমাণ দেয়, গত ছয় বছরে মানব চুল এবং কৃত্রিম চুলের রপ্তানি প্রায় সাড়ে চার গুণ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২০২০-২১ সালে রপ্তানি ৭৫.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৫.৭১ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা আরও ৮৫.৩৫ শতাংশ বেড়ে ১০.৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। পরের বছর ২০২২-২৩-এ রপ্তানি ১২.৩০ কোটি ডলারে পৌঁছায়, যদিও ২০২৩-২৪-এ বৈশ্বিক কারণে ৩.৯৫ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়। তবে এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি ২০.৯২ শতাংশ বাড়ে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর), দেশ থেকে মানব চুল ও উইগস রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ৫৫ শতাংশ বেশি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। নন-ট্র্যাডিশনাল পণ্যের মধ্যে মানব চুলের বাজারে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যেখানে ফার্মাসিটিউটিক্যাল খাতের রপ্তানি ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সেখানে মানব চুল খাতের উচ্চ প্রবৃদ্ধি দারুণ সম্ভাবনাই নির্দেশ করছে।
দেশে মানব চুলের প্রথম উদ্যোক্তা খিলগাঁওয়ের মতিউর রহমান। প্রায় তিন দশক আগে তিনি বাড়ি বাড়ি ও পারলারে ঘুরে চুল সংগ্রহ শুরু করেন। পরিবার ও সমাজ সমর্থন না করলেও তিনি থেমে যাননি। সংগ্রহ করা চুল প্রক্রিয়াজাত করে উইগস, হেয়ার এক্সটেনশনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। পরে প্রতিষ্ঠা করেন চুলের কারখানা ‘হেয়ারি’। গত ২৯ বছরে তাঁর ব্যবসাসহ এ খাতের সার্বিক বাজার, কারখানা ও হকার—সবই বেড়েছে। তাঁর নরসিংদীর কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন ৩০ জন।
তথ্যমতে, দেশীয় কারখানাগুলো মাসে গড়ে ২০ কেজি চুল সংগ্রহ করে। ৮ ইঞ্চি চুলের দাম ৮-৯ হাজার টাকা, বড় চুলের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ হাজার টাকা। বছরে দেশে সংগৃহীত চুলের পরিমাণ প্রায় ৫ টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। পণ্য তৈরিতে ৫০ শতাংশ মূল্য সংযোজন হলে চুলের সার্বিক বাজার দাঁড়ায় ৮ কোটি টাকার আশপাশে। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি পণ্য রপ্তানি হলে এর মূল্য পৌঁছায় ১৪ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়।
মানব চুল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় চার ধাপে। হকারদেরও ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মো. রাফসান জানি বলেন, তাঁরা সারা দিনে ১০০-১৫০ গ্রাম চুল সংগ্রহ করেন, যা ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এবং নিয়মিত আয় নিশ্চিত হয়।
বিশ্ববাজারেও এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ইউরোপ ও আমেরিকায় বাংলাদেশি চুল এবং উইগস রপ্তানি হচ্ছে। বৈশ্বিক মানব চুলের বাজারের আকার প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বছরে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে। ভারত মানব চুল রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষে, বৈশ্বিক চাহিদার ৮৫ শতাংশ সরবরাহ করছে। এক্সটেনশন ও উইগের বাজারের প্রধান দখল রয়েছে উত্তর আমেরিকার, যেখানে ২০২৪ সালে ৪৭.১৩ শতাংশ বাজার তাদের দখলেই ছিল।
তবে বাজার প্রসারে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। অনেক নারী মনে করেন, ফেলে দেওয়া চুল বিক্রি করলে অমঙ্গল হয়। দেশের নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের কারণে চুল কাটেন না। এ ছাড়া তৈরি পণ্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানো জটিল। এ ছাড়া কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান চুলকে মানব অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করে সরবরাহে অনীহা দেখায়। হাই ভ্যালুর পণ্য হওয়ায় হকারদের অগ্রিম টাকা দিতে হয় এবং অনেক উদ্যোক্তার পুঁজি সীমিত।

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক (ইপিআই) প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)। ইপিআই জরিপের দেখা যায়, ঢাকার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর)। ঢাকার অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
ট্রেনিং সেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, শারমিন রিনভী এবং সিনিয়র সদস্য মুনিমা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র সংবাদপত্রে উঠে আসবে। এ জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা ইআরএফ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। আজকে ইআরএফ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দৌলত আকতার মালা বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রথম কোর্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কোর্সের মাধ্যমে আমরা “ডেটা জার্নালিজম” সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করব। আমরা ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ট্রেনিংয়ের আয়োজন করব। আমাদের সহকর্মীদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাধানের পথ তৈরি করতে সহায়তা করবে ইআরএফ ইনস্টিটিউট।’
ট্রেনিংয়ের একটি সেশন পরিচালনা করেন ডেটা জার্নালিস্ট এবং শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ ইমরান। অন্যটি পরিচালনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫ জন সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ইআরএফ সদস্যদের বাইরেও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদেরও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইআরএফ কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
ট্রেনিং সেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, শারমিন রিনভী এবং সিনিয়র সদস্য মুনিমা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র সংবাদপত্রে উঠে আসবে। এ জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা ইআরএফ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। আজকে ইআরএফ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দৌলত আকতার মালা বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রথম কোর্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কোর্সের মাধ্যমে আমরা “ডেটা জার্নালিজম” সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করব। আমরা ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ট্রেনিংয়ের আয়োজন করব। আমাদের সহকর্মীদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাধানের পথ তৈরি করতে সহায়তা করবে ইআরএফ ইনস্টিটিউট।’
ট্রেনিংয়ের একটি সেশন পরিচালনা করেন ডেটা জার্নালিস্ট এবং শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ ইমরান। অন্যটি পরিচালনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫ জন সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ইআরএফ সদস্যদের বাইরেও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদেরও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইআরএফ কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক (ইপিআই) প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)। ইপিআই জরিপের দেখা যায়, ঢাকার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর)। ঢাকার অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক (ইপিআই) প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)। ইপিআই জরিপের দেখা যায়, ঢাকার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর)। ঢাকার অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে সেবা খাত, এ খাতের অবদান ৪৪ শতাংশ। জরিপের তথ্য অনুসারে দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশই হচ্ছে ঢাকার অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে।
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ প্রকাশের পর তার ওপর ফোকাস গ্রুপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সূচকে খাতভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিবর্তন ও প্রবণতা নিয়ে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জরিপ প্রকাশ করা হয়।
ডিসিসিআই জানিয়েছে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি-প্রকৃতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরা ও চলমান অবস্থার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার এই সূচক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর কার্যক্রম রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে সারা দেশে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জরিপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী। এতে বলা হয়, উৎপাদনশীল খাত ঢাকার অর্থনীতিতে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, পোশাক ও তৈরি পোশাক (রেডিমেড গার্মেন্টস) খাত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, যা উৎপাদনশীল খাতের মোটের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে খাদ্যপণ্য খাত ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, বস্ত্র খাত ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া মৌলিক ধাতু খাতের অংশ ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ওষুধ ও রাসায়নিক খাত ২ দশমিক ৭ শতাংশ, চামড়া ও সংশ্লিষ্ট পণ্য ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য অধাতব খনিজ পণ্যের অংশ ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে সেবা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশীদারত্ব রয়েছে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্যে, যা ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। এরপর রয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পরিবহন খাত ১৯ শতাংশ।
আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়ে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়। মোট ৬৫৪ জন উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদন খাত থেকে ৩৬৫ জন এবং সেবা খাত থেকে ২৮৯ জন। আটটি উৎপাদন শিল্প থেকে বাছাই করা হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যপণ্য, টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, ঔষধি রাসায়নিক ও উদ্ভিজ্জ পণ্য, রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য, অন্যান্য অধাতব খনিজ এবং মৌলিক ধাতু। এ ছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য, স্থল পরিবহন এবং রিয়েল এস্টেট কার্যক্রমসহ তিনটি সেবা খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জরিপ অনুসারে অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, আর্থিক খাত সুসংহতকরণ, ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সুদের হার হ্রাস, বাণিজ্য সহায়ক অবকাঠামো সেবা নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি বিষয়গুলোর সরকারের সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ পরিমাপের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশ কিছু সূচকের কার্যক্রম রয়েছে, যদিও এসব সূচক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে এবং কেন পরিবর্তিত হচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে না, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ডিসিসিআইর এই উদ্যোগ।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ত্রৈমাসিকভিত্তিকে প্রকাশিতব্য এ সূচকের মাধ্যমে বিশেষ করে শিল্প খাতে উৎপাদন, বিক্রয়, অর্ডার প্রবাহ, রপ্তানির প্রবণতা, কর্মসংস্থান, ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগের প্রবৃত্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া পাবে।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘ঢাকার অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরতে ঢাকার সমস্যাগুলোও তুলে আনতে হবে। আমাদের প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে সেই পুরোনো নিয়ম অনুসারে। আমরা ট্রেড লাইসেন্সের টাকা দিতে চাই, কিন্তু এটি ঘরে বসে যাতে করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথাগত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের হয়রানি থেকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। সিটি করপোরেশন কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টিতে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা গেলে সময় ও হয়রানি দুটোই হ্রাস হবে বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।
আবুল কাসেম খান আরও বলেন, অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক, এর অন্যতম কারণ হলো সরকার প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রমগুলো ভালোভাবে মূল্যায়ন করছে না। পাশাপাশি দীর্ঘসূত্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক সংস্কার প্রস্তাবকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) মহাপরিচালক মো. নূরুল আলম বলেন, গবেষণা কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহে আরও সচেতন হতে হবে, যা প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নে আরও সহায়ক হবে এবং শিল্প-সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা নির্ধারণের ওপর জোরারোপ করা আবশ্যক।
ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ এ গবেষণায় সংগৃহীত তথ্যের পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণে আরও মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি জরিপটির গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাপোর্ট টু সাসটেইন্যাবল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্টের (এসএসজিপি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ নেসার আহমেদ বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের আগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিদ্যমান সুবিধার বেশির ভাগই বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে, তাই এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে এ সুবিধাবঞ্চিত হওয়া পরিবেশ মোকাবিলায় আমাদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’ এ ছাড়া তিনি গবেষণার প্রশ্নপত্র সংশোধনের প্রস্তাব করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি অধিশাখা) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন বলেন, অর্থনীতি, শিল্প খাত, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ওপর বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থা থাকলেই, বিনিয়োগ প্রাপ্তির পাশাপাশি বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব। তিনি কৃষি খাতকে এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান, যা দেশের অন্যমত বড় খাতের অবস্থা নির্ণয়ে সহায়ক হবে।
বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহমেদ দেশের বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের গবেষণার তথ্যের সমন্বয়ের ওপর জোরারোপ করেন। সেই সঙ্গে এ গবেষণায় খাতভিত্তিক আরও বহুমুখী তথ্যের সংযোজনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা বলেন, এসএমইদের জন্য নীতিমালা ইতিমধ্যে বেশ সহজীকরণ করা হয়েছে, তবে ঋণপ্রাপ্তিতে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, উদ্যোক্তাদের থেকে এ ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সে অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ সহজতর হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠিত ফর্মুলা ব্যবহার করে এ গবেষণাটি পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, সেই সঙ্গে প্রসিদ্ধ কোনো জার্নালে পরিচালিত গবেষণার সারসংক্ষেপ প্রকাশের উদ্যোগী হওয়া জরুরি।
র্যাপিডের গবেষণা পরিচালক ড. মো. দীন ইসলাম বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পরিচালিত গবেষণার কার্যপদ্ধতি সংশোধন করা যেতে পারে।

প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক (ইপিআই) প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)। ইপিআই জরিপের দেখা যায়, ঢাকার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর)। ঢাকার অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে সেবা খাত, এ খাতের অবদান ৪৪ শতাংশ। জরিপের তথ্য অনুসারে দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশই হচ্ছে ঢাকার অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে।
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ প্রকাশের পর তার ওপর ফোকাস গ্রুপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সূচকে খাতভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিবর্তন ও প্রবণতা নিয়ে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জরিপ প্রকাশ করা হয়।
ডিসিসিআই জানিয়েছে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি-প্রকৃতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরা ও চলমান অবস্থার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার এই সূচক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর কার্যক্রম রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে সারা দেশে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জরিপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী। এতে বলা হয়, উৎপাদনশীল খাত ঢাকার অর্থনীতিতে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, পোশাক ও তৈরি পোশাক (রেডিমেড গার্মেন্টস) খাত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, যা উৎপাদনশীল খাতের মোটের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে খাদ্যপণ্য খাত ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, বস্ত্র খাত ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া মৌলিক ধাতু খাতের অংশ ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ওষুধ ও রাসায়নিক খাত ২ দশমিক ৭ শতাংশ, চামড়া ও সংশ্লিষ্ট পণ্য ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য অধাতব খনিজ পণ্যের অংশ ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে সেবা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশীদারত্ব রয়েছে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্যে, যা ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। এরপর রয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পরিবহন খাত ১৯ শতাংশ।
আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়ে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়। মোট ৬৫৪ জন উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদন খাত থেকে ৩৬৫ জন এবং সেবা খাত থেকে ২৮৯ জন। আটটি উৎপাদন শিল্প থেকে বাছাই করা হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যপণ্য, টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, ঔষধি রাসায়নিক ও উদ্ভিজ্জ পণ্য, রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য, অন্যান্য অধাতব খনিজ এবং মৌলিক ধাতু। এ ছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য, স্থল পরিবহন এবং রিয়েল এস্টেট কার্যক্রমসহ তিনটি সেবা খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জরিপ অনুসারে অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, আর্থিক খাত সুসংহতকরণ, ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সুদের হার হ্রাস, বাণিজ্য সহায়ক অবকাঠামো সেবা নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি বিষয়গুলোর সরকারের সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ পরিমাপের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশ কিছু সূচকের কার্যক্রম রয়েছে, যদিও এসব সূচক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে এবং কেন পরিবর্তিত হচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে না, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ডিসিসিআইর এই উদ্যোগ।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ত্রৈমাসিকভিত্তিকে প্রকাশিতব্য এ সূচকের মাধ্যমে বিশেষ করে শিল্প খাতে উৎপাদন, বিক্রয়, অর্ডার প্রবাহ, রপ্তানির প্রবণতা, কর্মসংস্থান, ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগের প্রবৃত্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া পাবে।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘ঢাকার অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরতে ঢাকার সমস্যাগুলোও তুলে আনতে হবে। আমাদের প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে সেই পুরোনো নিয়ম অনুসারে। আমরা ট্রেড লাইসেন্সের টাকা দিতে চাই, কিন্তু এটি ঘরে বসে যাতে করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথাগত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের হয়রানি থেকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। সিটি করপোরেশন কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টিতে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা গেলে সময় ও হয়রানি দুটোই হ্রাস হবে বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।
আবুল কাসেম খান আরও বলেন, অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক, এর অন্যতম কারণ হলো সরকার প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রমগুলো ভালোভাবে মূল্যায়ন করছে না। পাশাপাশি দীর্ঘসূত্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক সংস্কার প্রস্তাবকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) মহাপরিচালক মো. নূরুল আলম বলেন, গবেষণা কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহে আরও সচেতন হতে হবে, যা প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নে আরও সহায়ক হবে এবং শিল্প-সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা নির্ধারণের ওপর জোরারোপ করা আবশ্যক।
ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ এ গবেষণায় সংগৃহীত তথ্যের পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণে আরও মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি জরিপটির গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাপোর্ট টু সাসটেইন্যাবল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্টের (এসএসজিপি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ নেসার আহমেদ বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের আগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিদ্যমান সুবিধার বেশির ভাগই বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে, তাই এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে এ সুবিধাবঞ্চিত হওয়া পরিবেশ মোকাবিলায় আমাদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’ এ ছাড়া তিনি গবেষণার প্রশ্নপত্র সংশোধনের প্রস্তাব করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি অধিশাখা) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন বলেন, অর্থনীতি, শিল্প খাত, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ওপর বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থা থাকলেই, বিনিয়োগ প্রাপ্তির পাশাপাশি বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব। তিনি কৃষি খাতকে এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান, যা দেশের অন্যমত বড় খাতের অবস্থা নির্ণয়ে সহায়ক হবে।
বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহমেদ দেশের বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের গবেষণার তথ্যের সমন্বয়ের ওপর জোরারোপ করেন। সেই সঙ্গে এ গবেষণায় খাতভিত্তিক আরও বহুমুখী তথ্যের সংযোজনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা বলেন, এসএমইদের জন্য নীতিমালা ইতিমধ্যে বেশ সহজীকরণ করা হয়েছে, তবে ঋণপ্রাপ্তিতে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, উদ্যোক্তাদের থেকে এ ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সে অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ সহজতর হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠিত ফর্মুলা ব্যবহার করে এ গবেষণাটি পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, সেই সঙ্গে প্রসিদ্ধ কোনো জার্নালে পরিচালিত গবেষণার সারসংক্ষেপ প্রকাশের উদ্যোগী হওয়া জরুরি।
র্যাপিডের গবেষণা পরিচালক ড. মো. দীন ইসলাম বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পরিচালিত গবেষণার কার্যপদ্ধতি সংশোধন করা যেতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
স্থগিত ফান্ডগুলো হলো ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১। এগুলোর ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিআইসি ফান্ডগুলোর ব্যাংক ও ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট থেকে সব ধরনের ডেবিট লেনদেন, অনলাইন ট্রান্সফার ও ট্রেডিং কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাস্টি জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের অর্থ ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ পড়েছে।
বিএসইসির তদন্তে দেখা গেছে, এলআর গ্লোবাল ৬৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ অপব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে বন্ধ ও লোকসানে থাকা পদ্মা প্রিন্টার্সের ৫১ শতাংশ শেয়ার অস্বাভাবিক দামে কিনতে ২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড রাখে। এরপর নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরও ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘটনা ধরা পড়ে। বিএসইসি জানিয়েছে, এসব ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিনিয়োগ, যা বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ক্ষতির সমান।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামকে আজীবনের জন্য বাজার কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে ছয়টি ফান্ডে সুদসহ প্রায় ৯০ কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কোম্পানির পরিচালক জর্জ এম স্টক ৩ ও রেজাউর রহমান সোহাগ—প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসিসহ আরও ছয়জনকে সম্মিলিতভাবে ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
স্থগিত ফান্ডগুলো হলো ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১। এগুলোর ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিআইসি ফান্ডগুলোর ব্যাংক ও ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট থেকে সব ধরনের ডেবিট লেনদেন, অনলাইন ট্রান্সফার ও ট্রেডিং কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাস্টি জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের অর্থ ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ পড়েছে।
বিএসইসির তদন্তে দেখা গেছে, এলআর গ্লোবাল ৬৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ অপব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে বন্ধ ও লোকসানে থাকা পদ্মা প্রিন্টার্সের ৫১ শতাংশ শেয়ার অস্বাভাবিক দামে কিনতে ২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড রাখে। এরপর নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরও ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘটনা ধরা পড়ে। বিএসইসি জানিয়েছে, এসব ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিনিয়োগ, যা বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ক্ষতির সমান।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামকে আজীবনের জন্য বাজার কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে ছয়টি ফান্ডে সুদসহ প্রায় ৯০ কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কোম্পানির পরিচালক জর্জ এম স্টক ৩ ও রেজাউর রহমান সোহাগ—প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসিসহ আরও ছয়জনকে সম্মিলিতভাবে ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক (ইপিআই) প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)। ইপিআই জরিপের দেখা যায়, ঢাকার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর)। ঢাকার অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে