জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সূচকে দিন দিন খারাপ হতে থাকে ব্যাংকটির অবস্থা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা তখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশই এখন খেলাপির খাতায়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণও বাড়ছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকের এমন দশার কারণে বর্তমান এমডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রূপালী ব্যাংকে পেশাদার ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ে সময়ে ব্যাংকটি বিভিন্ন সংকটে পড়লেও তাঁদের পেশাদারত্বে ভর করে মোটামুটি সফলতার সঙ্গেই এগিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের পুরো কর্মজীবন এই ব্যাংকে কাটালেও তাঁর নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেক কিছুই ব্যাংকটির শীর্ষ ওই পদকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
রূপালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বর্তমান এমডির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৯০ সালে অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই তথ্য তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও (এফআইডি) দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকটির মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১-এর জনবল ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ার কারণে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে অফিসার পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮, ২০০০, ২০০১ ও ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। যেখানে ১২ বছর ধরে ব্যাংকে অফিসার নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেখানে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কীভাবে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ডিএমডি পদে থাকা অবস্থায় রূপালী ব্যাংকের স্থায়ী পদ থেকে অবসরে যান। পরে অবসরোত্তর যে সুবিধা তিনি নিয়েছেন, তাতে ১৯৮৫ সাল থেকেই তাঁর কর্মকাল গণনা করা হয়। অর্থাৎ ১৯৯০ সালে কর্মকর্তা পদে নিয়োগের যে তথ্য এফআইডিতে তিনি দিয়েছেন, তার সত্যতা নেই। প্রকৃত সত্য হলো, তিনি ১৯৮৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংকে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অফিসার হন।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বিশেষ গোষ্ঠীর মাতামাতি ছাড়া কিছু না। কারও অমূলক কথায় কর্ণপাত করা সমীচীন হবে না। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতার বলেই আজ শীর্ষ পদে থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিতে পারছি। সামনে অনেক দূর যেতে চাই। এখন ব্যাংকটি ভালো চলছে।’
দুই পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (বিকম) দুই পরীক্ষাতেই তৃতীয় শ্রেণি নিয়ে পাস করেছেন। শিক্ষাজীবনে দুটি তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ার পরও ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
দুটি তৃতীয় শ্রেণি থাকার পরও রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডির নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগ নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। আমরা শিক্ষাগত যোগ্যতা, খেলাপি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অনুমোদন (অ্যাপ্রুভাল) দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাপ্রুভালের ওপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেয় এফআইডি। বিশেষ কেউ নন; যিনিই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁর শাস্তি হবে।’
এসব বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। আর জালিয়াতির বিষয়ে কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলব না।’
রূপালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১ অনুযায়ী, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে জুনিয়র অফিসার হিসেবে ২ বছরের চাকরিসহ ব্যাংকে ৬ বছরের কর্মের অভিজ্ঞতা জরুরি। কর্মকর্তা পদে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। আর রূপালী ব্যাংক (কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানাবলি, ১৯৮১ বলছে, সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে সরাসরি নিয়োগে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ২৫ বছর। কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমত স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার দুই পার্ট ডিপ্লোমা পাসসহ ন্যূনতম ৪ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার এক পার্ট পাসসহ ন্যূনতম ৫ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পার্ট-১ পাস করেন ১৯৯৯ সালে এবং পার্ট-২ ২০০৮ সালে। এ ক্ষেত্রেও নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সূচকে দিন দিন খারাপ হতে থাকে ব্যাংকটির অবস্থা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা তখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশই এখন খেলাপির খাতায়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণও বাড়ছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকের এমন দশার কারণে বর্তমান এমডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রূপালী ব্যাংকে পেশাদার ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ে সময়ে ব্যাংকটি বিভিন্ন সংকটে পড়লেও তাঁদের পেশাদারত্বে ভর করে মোটামুটি সফলতার সঙ্গেই এগিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের পুরো কর্মজীবন এই ব্যাংকে কাটালেও তাঁর নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেক কিছুই ব্যাংকটির শীর্ষ ওই পদকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
রূপালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বর্তমান এমডির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৯০ সালে অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই তথ্য তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও (এফআইডি) দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকটির মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১-এর জনবল ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ার কারণে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে অফিসার পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮, ২০০০, ২০০১ ও ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। যেখানে ১২ বছর ধরে ব্যাংকে অফিসার নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেখানে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কীভাবে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ডিএমডি পদে থাকা অবস্থায় রূপালী ব্যাংকের স্থায়ী পদ থেকে অবসরে যান। পরে অবসরোত্তর যে সুবিধা তিনি নিয়েছেন, তাতে ১৯৮৫ সাল থেকেই তাঁর কর্মকাল গণনা করা হয়। অর্থাৎ ১৯৯০ সালে কর্মকর্তা পদে নিয়োগের যে তথ্য এফআইডিতে তিনি দিয়েছেন, তার সত্যতা নেই। প্রকৃত সত্য হলো, তিনি ১৯৮৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংকে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অফিসার হন।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বিশেষ গোষ্ঠীর মাতামাতি ছাড়া কিছু না। কারও অমূলক কথায় কর্ণপাত করা সমীচীন হবে না। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতার বলেই আজ শীর্ষ পদে থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিতে পারছি। সামনে অনেক দূর যেতে চাই। এখন ব্যাংকটি ভালো চলছে।’
দুই পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (বিকম) দুই পরীক্ষাতেই তৃতীয় শ্রেণি নিয়ে পাস করেছেন। শিক্ষাজীবনে দুটি তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ার পরও ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
দুটি তৃতীয় শ্রেণি থাকার পরও রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডির নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগ নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। আমরা শিক্ষাগত যোগ্যতা, খেলাপি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অনুমোদন (অ্যাপ্রুভাল) দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাপ্রুভালের ওপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেয় এফআইডি। বিশেষ কেউ নন; যিনিই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁর শাস্তি হবে।’
এসব বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। আর জালিয়াতির বিষয়ে কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলব না।’
রূপালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১ অনুযায়ী, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে জুনিয়র অফিসার হিসেবে ২ বছরের চাকরিসহ ব্যাংকে ৬ বছরের কর্মের অভিজ্ঞতা জরুরি। কর্মকর্তা পদে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। আর রূপালী ব্যাংক (কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানাবলি, ১৯৮১ বলছে, সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে সরাসরি নিয়োগে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ২৫ বছর। কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমত স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার দুই পার্ট ডিপ্লোমা পাসসহ ন্যূনতম ৪ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার এক পার্ট পাসসহ ন্যূনতম ৫ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পার্ট-১ পাস করেন ১৯৯৯ সালে এবং পার্ট-২ ২০০৮ সালে। এ ক্ষেত্রেও নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সূচকে দিন দিন খারাপ হতে থাকে ব্যাংকটির অবস্থা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা তখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশই এখন খেলাপির খাতায়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণও বাড়ছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকের এমন দশার কারণে বর্তমান এমডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রূপালী ব্যাংকে পেশাদার ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ে সময়ে ব্যাংকটি বিভিন্ন সংকটে পড়লেও তাঁদের পেশাদারত্বে ভর করে মোটামুটি সফলতার সঙ্গেই এগিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের পুরো কর্মজীবন এই ব্যাংকে কাটালেও তাঁর নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেক কিছুই ব্যাংকটির শীর্ষ ওই পদকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
রূপালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বর্তমান এমডির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৯০ সালে অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই তথ্য তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও (এফআইডি) দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকটির মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১-এর জনবল ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ার কারণে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে অফিসার পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮, ২০০০, ২০০১ ও ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। যেখানে ১২ বছর ধরে ব্যাংকে অফিসার নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেখানে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কীভাবে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ডিএমডি পদে থাকা অবস্থায় রূপালী ব্যাংকের স্থায়ী পদ থেকে অবসরে যান। পরে অবসরোত্তর যে সুবিধা তিনি নিয়েছেন, তাতে ১৯৮৫ সাল থেকেই তাঁর কর্মকাল গণনা করা হয়। অর্থাৎ ১৯৯০ সালে কর্মকর্তা পদে নিয়োগের যে তথ্য এফআইডিতে তিনি দিয়েছেন, তার সত্যতা নেই। প্রকৃত সত্য হলো, তিনি ১৯৮৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংকে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অফিসার হন।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বিশেষ গোষ্ঠীর মাতামাতি ছাড়া কিছু না। কারও অমূলক কথায় কর্ণপাত করা সমীচীন হবে না। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতার বলেই আজ শীর্ষ পদে থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিতে পারছি। সামনে অনেক দূর যেতে চাই। এখন ব্যাংকটি ভালো চলছে।’
দুই পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (বিকম) দুই পরীক্ষাতেই তৃতীয় শ্রেণি নিয়ে পাস করেছেন। শিক্ষাজীবনে দুটি তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ার পরও ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
দুটি তৃতীয় শ্রেণি থাকার পরও রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডির নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগ নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। আমরা শিক্ষাগত যোগ্যতা, খেলাপি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অনুমোদন (অ্যাপ্রুভাল) দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাপ্রুভালের ওপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেয় এফআইডি। বিশেষ কেউ নন; যিনিই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁর শাস্তি হবে।’
এসব বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। আর জালিয়াতির বিষয়ে কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলব না।’
রূপালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১ অনুযায়ী, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে জুনিয়র অফিসার হিসেবে ২ বছরের চাকরিসহ ব্যাংকে ৬ বছরের কর্মের অভিজ্ঞতা জরুরি। কর্মকর্তা পদে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। আর রূপালী ব্যাংক (কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানাবলি, ১৯৮১ বলছে, সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে সরাসরি নিয়োগে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ২৫ বছর। কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমত স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার দুই পার্ট ডিপ্লোমা পাসসহ ন্যূনতম ৪ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার এক পার্ট পাসসহ ন্যূনতম ৫ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পার্ট-১ পাস করেন ১৯৯৯ সালে এবং পার্ট-২ ২০০৮ সালে। এ ক্ষেত্রেও নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সূচকে দিন দিন খারাপ হতে থাকে ব্যাংকটির অবস্থা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা তখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশই এখন খেলাপির খাতায়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণও বাড়ছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকের এমন দশার কারণে বর্তমান এমডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রূপালী ব্যাংকে পেশাদার ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ে সময়ে ব্যাংকটি বিভিন্ন সংকটে পড়লেও তাঁদের পেশাদারত্বে ভর করে মোটামুটি সফলতার সঙ্গেই এগিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের পুরো কর্মজীবন এই ব্যাংকে কাটালেও তাঁর নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেক কিছুই ব্যাংকটির শীর্ষ ওই পদকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
রূপালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বর্তমান এমডির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৯০ সালে অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই তথ্য তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও (এফআইডি) দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকটির মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১-এর জনবল ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ার কারণে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে অফিসার পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮, ২০০০, ২০০১ ও ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। যেখানে ১২ বছর ধরে ব্যাংকে অফিসার নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেখানে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কীভাবে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ডিএমডি পদে থাকা অবস্থায় রূপালী ব্যাংকের স্থায়ী পদ থেকে অবসরে যান। পরে অবসরোত্তর যে সুবিধা তিনি নিয়েছেন, তাতে ১৯৮৫ সাল থেকেই তাঁর কর্মকাল গণনা করা হয়। অর্থাৎ ১৯৯০ সালে কর্মকর্তা পদে নিয়োগের যে তথ্য এফআইডিতে তিনি দিয়েছেন, তার সত্যতা নেই। প্রকৃত সত্য হলো, তিনি ১৯৮৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংকে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অফিসার হন।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বিশেষ গোষ্ঠীর মাতামাতি ছাড়া কিছু না। কারও অমূলক কথায় কর্ণপাত করা সমীচীন হবে না। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতার বলেই আজ শীর্ষ পদে থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিতে পারছি। সামনে অনেক দূর যেতে চাই। এখন ব্যাংকটি ভালো চলছে।’
দুই পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (বিকম) দুই পরীক্ষাতেই তৃতীয় শ্রেণি নিয়ে পাস করেছেন। শিক্ষাজীবনে দুটি তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ার পরও ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
দুটি তৃতীয় শ্রেণি থাকার পরও রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডির নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগ নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। আমরা শিক্ষাগত যোগ্যতা, খেলাপি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অনুমোদন (অ্যাপ্রুভাল) দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাপ্রুভালের ওপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেয় এফআইডি। বিশেষ কেউ নন; যিনিই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁর শাস্তি হবে।’
এসব বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। আর জালিয়াতির বিষয়ে কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলব না।’
রূপালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১ অনুযায়ী, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে জুনিয়র অফিসার হিসেবে ২ বছরের চাকরিসহ ব্যাংকে ৬ বছরের কর্মের অভিজ্ঞতা জরুরি। কর্মকর্তা পদে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। আর রূপালী ব্যাংক (কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানাবলি, ১৯৮১ বলছে, সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে সরাসরি নিয়োগে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ২৫ বছর। কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমত স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার দুই পার্ট ডিপ্লোমা পাসসহ ন্যূনতম ৪ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার এক পার্ট পাসসহ ন্যূনতম ৫ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পার্ট-১ পাস করেন ১৯৯৯ সালে এবং পার্ট-২ ২০০৮ সালে। এ ক্ষেত্রেও নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।
ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস
২ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছর ধরে কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে রকমারি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিণত হয়েছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন সুপারস্টোরে। এখানে সাশ্রয়ী দামে দেশের ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিকস, লাইফস্টাইল, কসমেটিকস, স্টেশনারি, অফিসসামগ্রী, গিফট আইটেম ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যসহ পা
২ ঘণ্টা আগেওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাবেন।
শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে সনদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদ পেলে দ্রুত সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা রয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যাংকটির নাম হবে ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আকিজ হাউসে আয়োজিত ‘আকিজ রিসোর্স ডিজিটাল ইকোসিস্টেম: পরিবর্তনে নেতৃত্বদানকারী’ শীর্ষক এক প্রেস মিটে এসব তথ্য জানান আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন।
শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আকিজ রিসোর্স বিশ্বাস করে, ব্যাংকিং শুধু লেনদেন নয়, এটি মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার। আমাদের ঐতিহ্যের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংক তৈরি করতে চাই, যা প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।’
চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান বলেন, ‘আমরা এমন এক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসেন—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার ইঞ্জি. মো. ফিরোজ কবির বলেন, ‘আকিজ রিসোর্সের প্রযুক্তি টিম এরই মধ্যে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং অবকাঠামো তৈরি করছে। আমরা এমন একটি স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে ব্যাংকিং হবে দ্রুত, সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। ব্যাংকের দরজায় না গিয়েও গ্রাহক তাঁর সব আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, এটি হবে একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান। দেশি-বিদেশি পার্টনার থাকবে। তবে বিদেশিদের আনার জন্য আগামী ২ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় কম মনে হয়। যদিও তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু সময় বাড়ানো হলে বিদেশি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ব্যবসায় সংযুক্ত করাটা সুবিধাজনক হবে। আর নিরাপত্তার জন্য বিদেশে সেরা ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনা করছে—এমন সফটওয়্যার ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে।
আরও জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, বরং একটি ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে; যা মানুষ, ব্যবসা ও সমাজকে নিরাপদ প্রযুক্তির মাধ্যমে একত্রে সংযুক্ত করবে। শহরের পেশাজীবী থেকে শুরু করে গ্রামের উদ্যোক্তা—সবাই যেন দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির যাত্রায় যুক্ত হতে পারেন। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইসলামি ফাইন্যান্স খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি হবে এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেখানে প্রযুক্তি ও শরিয়াহ নীতির সমন্বয়ে তৈরি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক অভিজ্ঞতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিফ পিপল অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন এবং আই-বিওএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এস কে মো. জায়েদ বিন রশিদ।
ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাবেন।
শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে সনদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদ পেলে দ্রুত সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা রয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যাংকটির নাম হবে ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আকিজ হাউসে আয়োজিত ‘আকিজ রিসোর্স ডিজিটাল ইকোসিস্টেম: পরিবর্তনে নেতৃত্বদানকারী’ শীর্ষক এক প্রেস মিটে এসব তথ্য জানান আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন।
শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আকিজ রিসোর্স বিশ্বাস করে, ব্যাংকিং শুধু লেনদেন নয়, এটি মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার। আমাদের ঐতিহ্যের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংক তৈরি করতে চাই, যা প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।’
চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান বলেন, ‘আমরা এমন এক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসেন—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার ইঞ্জি. মো. ফিরোজ কবির বলেন, ‘আকিজ রিসোর্সের প্রযুক্তি টিম এরই মধ্যে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং অবকাঠামো তৈরি করছে। আমরা এমন একটি স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে ব্যাংকিং হবে দ্রুত, সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। ব্যাংকের দরজায় না গিয়েও গ্রাহক তাঁর সব আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, এটি হবে একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান। দেশি-বিদেশি পার্টনার থাকবে। তবে বিদেশিদের আনার জন্য আগামী ২ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় কম মনে হয়। যদিও তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু সময় বাড়ানো হলে বিদেশি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ব্যবসায় সংযুক্ত করাটা সুবিধাজনক হবে। আর নিরাপত্তার জন্য বিদেশে সেরা ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনা করছে—এমন সফটওয়্যার ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে।
আরও জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, বরং একটি ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে; যা মানুষ, ব্যবসা ও সমাজকে নিরাপদ প্রযুক্তির মাধ্যমে একত্রে সংযুক্ত করবে। শহরের পেশাজীবী থেকে শুরু করে গ্রামের উদ্যোক্তা—সবাই যেন দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির যাত্রায় যুক্ত হতে পারেন। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইসলামি ফাইন্যান্স খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি হবে এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেখানে প্রযুক্তি ও শরিয়াহ নীতির সমন্বয়ে তৈরি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক অভিজ্ঞতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিফ পিপল অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন এবং আই-বিওএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এস কে মো. জায়েদ বিন রশিদ।
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৭ মে ২০২৪গত ১২ বছর ধরে কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে রকমারি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিণত হয়েছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন সুপারস্টোরে। এখানে সাশ্রয়ী দামে দেশের ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিকস, লাইফস্টাইল, কসমেটিকস, স্টেশনারি, অফিসসামগ্রী, গিফট আইটেম ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যসহ পা
২ ঘণ্টা আগেওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের শীর্ষ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রকমারি ডট কম নিয়ে এসেছে আলোচিত অফার ‘রকমারি টেন টেন’, যা ইতিমধ্যে গ্রাহকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
গত ১২ বছর ধরে কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে রকমারি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিণত হয়েছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন সুপারস্টোরে। এখানে সাশ্রয়ী দামে দেশের ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিকস, লাইফস্টাইল, কসমেটিকস, স্টেশনারি, অফিসসামগ্রী, গিফট আইটেম ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যসহ পাওয়া যাচ্ছে ৫ লক্ষাধিক প্রোডাক্ট।
অফারটিতে ৯৯৯ টাকার অর্ডারে বিকাশ পেমেন্টে ১০% ক্যাশব্যাক এবং Zays থেকে ৩০০ টাকার গিফট ভাউচার থাকছে। রকমারি জানায়, ৫ লক্ষাধিক পণ্যের ওপর প্রযোজ্য এই সীমিত সময়ের অফার গ্রাহকদের কেনাকাটায় এনেছে সাশ্রয় ও আনন্দের সুন্দর মেলবন্ধন।
রকমারি ডট কমের কো-ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর এহতেশামুল শামস রাকিব বলেন, ‘আমরা চাই, রকমারিতে প্রতিটি কেনাকাটা হোক এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা। ‘‘রকমারি টেন টেন’’ সেই ভাবনারই সম্প্রসারণ—যেখানে সাশ্রয়, উপহার ও সন্তুষ্টি মিলেছে একসঙ্গে।’
অফারটি চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত, শুধু রকমারিতে।
দেশের শীর্ষ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রকমারি ডট কম নিয়ে এসেছে আলোচিত অফার ‘রকমারি টেন টেন’, যা ইতিমধ্যে গ্রাহকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
গত ১২ বছর ধরে কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে রকমারি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিণত হয়েছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন সুপারস্টোরে। এখানে সাশ্রয়ী দামে দেশের ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিকস, লাইফস্টাইল, কসমেটিকস, স্টেশনারি, অফিসসামগ্রী, গিফট আইটেম ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যসহ পাওয়া যাচ্ছে ৫ লক্ষাধিক প্রোডাক্ট।
অফারটিতে ৯৯৯ টাকার অর্ডারে বিকাশ পেমেন্টে ১০% ক্যাশব্যাক এবং Zays থেকে ৩০০ টাকার গিফট ভাউচার থাকছে। রকমারি জানায়, ৫ লক্ষাধিক পণ্যের ওপর প্রযোজ্য এই সীমিত সময়ের অফার গ্রাহকদের কেনাকাটায় এনেছে সাশ্রয় ও আনন্দের সুন্দর মেলবন্ধন।
রকমারি ডট কমের কো-ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর এহতেশামুল শামস রাকিব বলেন, ‘আমরা চাই, রকমারিতে প্রতিটি কেনাকাটা হোক এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা। ‘‘রকমারি টেন টেন’’ সেই ভাবনারই সম্প্রসারণ—যেখানে সাশ্রয়, উপহার ও সন্তুষ্টি মিলেছে একসঙ্গে।’
অফারটি চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত, শুধু রকমারিতে।
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৭ মে ২০২৪ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস
২ ঘণ্টা আগেওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার প্রতি ব্যারেল ৩ দশমিক ৩৯ ডলার বা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ৯৮ ডলারে। অপর দিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই, একধরনের অপরিশোধিত তেল) তেলের দাম ৩ দশমিক ৩১ ডলার বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬১ দশমিক ৮১ ডলার হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো, যারা রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা এখন বিকল্প উৎস খুঁজতে বাধ্য হবে। দীর্ঘদিন ধরে রুশ তেল কেনায় চীন ও ভারত পশ্চিমা ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
স্যাক্সো ব্যাংকের বিশ্লেষক ওলে হ্যানসেন বলেন, চীন ও ভারতের শোধনাগারগুলোকে এখন বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজতে হবে, নইলে তারা পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যাবে।
এর আগে ব্রিটেনও রসনেফট ও লুকঅয়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এনজি) আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ ১৯তম দফা নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি দুই ডলারের বেশি বেড়ে যায়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুত কমে যাওয়ায় দাম আরও বেড়ে গেছে।
ইউবিএস ব্যাংকের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টানোভো বলেন, তেলের বাজারে এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাব অনেকটাই নির্ভর করবে ভারতের অবস্থানের ওপর। কারণ, ভারত রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং রাশিয়া নতুন ক্রেতা খুঁজে পায় কি না, এটিই এখন ভাবার বিষয়।
রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জারির পর ভারত ছিল রুশ ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় শোধনাগারগুলো এখন রুশ তেল আমদানি কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের বেসরকারি তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ বা কমিয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে এ নিষেধাজ্ঞাগুলো তেলের প্রকৃত সরবরাহ বা রাশিয়ার রপ্তানি আয় কতটা প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
রিস্ট্যাড এনার্জির বিশ্লেষক ক্লাউদিও গ্যালিমবার্তি বলেন, গত সাড়ে তিন বছরে রাশিয়ার ওপর যত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশটির তেল উৎপাদন বা রাজস্বে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এদিকে ওপেক প্লাস দেশগুলোর উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে কিছুটা সীমিত করতে পারে।
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের তথ্য অনুযায়ী, আগামী মাসগুলোতে ব্রেন্ট তেলের দাম ৬০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। এদিকে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিজেলজাত পণ্যের মজুত কমেছে—যা বাজারে চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার প্রতি ব্যারেল ৩ দশমিক ৩৯ ডলার বা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ৯৮ ডলারে। অপর দিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই, একধরনের অপরিশোধিত তেল) তেলের দাম ৩ দশমিক ৩১ ডলার বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬১ দশমিক ৮১ ডলার হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো, যারা রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা এখন বিকল্প উৎস খুঁজতে বাধ্য হবে। দীর্ঘদিন ধরে রুশ তেল কেনায় চীন ও ভারত পশ্চিমা ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
স্যাক্সো ব্যাংকের বিশ্লেষক ওলে হ্যানসেন বলেন, চীন ও ভারতের শোধনাগারগুলোকে এখন বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজতে হবে, নইলে তারা পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যাবে।
এর আগে ব্রিটেনও রসনেফট ও লুকঅয়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এনজি) আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ ১৯তম দফা নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি দুই ডলারের বেশি বেড়ে যায়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুত কমে যাওয়ায় দাম আরও বেড়ে গেছে।
ইউবিএস ব্যাংকের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টানোভো বলেন, তেলের বাজারে এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাব অনেকটাই নির্ভর করবে ভারতের অবস্থানের ওপর। কারণ, ভারত রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং রাশিয়া নতুন ক্রেতা খুঁজে পায় কি না, এটিই এখন ভাবার বিষয়।
রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জারির পর ভারত ছিল রুশ ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় শোধনাগারগুলো এখন রুশ তেল আমদানি কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের বেসরকারি তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ বা কমিয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে এ নিষেধাজ্ঞাগুলো তেলের প্রকৃত সরবরাহ বা রাশিয়ার রপ্তানি আয় কতটা প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
রিস্ট্যাড এনার্জির বিশ্লেষক ক্লাউদিও গ্যালিমবার্তি বলেন, গত সাড়ে তিন বছরে রাশিয়ার ওপর যত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশটির তেল উৎপাদন বা রাজস্বে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এদিকে ওপেক প্লাস দেশগুলোর উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে কিছুটা সীমিত করতে পারে।
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের তথ্য অনুযায়ী, আগামী মাসগুলোতে ব্রেন্ট তেলের দাম ৬০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। এদিকে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিজেলজাত পণ্যের মজুত কমেছে—যা বাজারে চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৭ মে ২০২৪ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস
২ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছর ধরে কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে রকমারি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিণত হয়েছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন সুপারস্টোরে। এখানে সাশ্রয়ী দামে দেশের ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিকস, লাইফস্টাইল, কসমেটিকস, স্টেশনারি, অফিসসামগ্রী, গিফট আইটেম ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যসহ পা
২ ঘণ্টা আগেপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ এ তথ্য জানান।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধনের সময় করদাতার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয়। প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি বহাল থাকায় বিদেশে থাকা অনেক করদাতা ই-রিটার্ন দাখিলে সমস্যায় পড়ছিলেন। এই সমস্যা সমাধানে এখন তাঁদের নিজস্ব ই-মেইলে ওটিপি পাঠানোর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, বিদেশে থাকা করদাতারা এখন তাঁদের পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসা-সিলের কপি, ই-মেইল ঠিকানা ও ছবি সংযুক্ত করে [email protected] ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে পারবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর এনবিআর থেকে তাঁদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা সহজেই ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
২০২৫-২৬ করবর্ষে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হয়েছে। এ বছর ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অনলাইন রিটার্ন দাখিলপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কাগজবিহীন ও ঝামেলামুক্ত। করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে acknowledgment slip ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব করদাতাকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ এ তথ্য জানান।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধনের সময় করদাতার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয়। প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি বহাল থাকায় বিদেশে থাকা অনেক করদাতা ই-রিটার্ন দাখিলে সমস্যায় পড়ছিলেন। এই সমস্যা সমাধানে এখন তাঁদের নিজস্ব ই-মেইলে ওটিপি পাঠানোর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, বিদেশে থাকা করদাতারা এখন তাঁদের পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসা-সিলের কপি, ই-মেইল ঠিকানা ও ছবি সংযুক্ত করে [email protected] ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে পারবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর এনবিআর থেকে তাঁদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা সহজেই ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
২০২৫-২৬ করবর্ষে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হয়েছে। এ বছর ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অনলাইন রিটার্ন দাখিলপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কাগজবিহীন ও ঝামেলামুক্ত। করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে acknowledgment slip ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব করদাতাকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৭ মে ২০২৪ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস
২ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছর ধরে কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে রকমারি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিণত হয়েছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন সুপারস্টোরে। এখানে সাশ্রয়ী দামে দেশের ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিকস, লাইফস্টাইল, কসমেটিকস, স্টেশনারি, অফিসসামগ্রী, গিফট আইটেম ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যসহ পা
২ ঘণ্টা আগেওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে