নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ৩০টির বেশি মার্কিন পণ্যের আমদানি শুল্ক পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এগুলোর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অন্তত ১০টি এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিড) প্রায় ২০টি পণ্যের শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছে। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার ডাকা বৈঠকে এসব সুপারিশ আলোচনা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রস্তুত করা খসড়া সুপারিশ আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উত্থাপন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।
এনবিআরের পণ্যের তালিকায় আছে ভাল্ভ, ইলেকট্রিক কিছু পণ্য, মাংস, জেনারেটর ও স্ট্র্যাপ। শুধু আমদানি শুল্ক নয়; ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, অগ্রিম করও পর্যালোচনার প্রস্তাব রয়েছে। তবে কী পরিমাণ শুল্ক-কর কমানো বা নির্ধারণ করা হবে, সেই বিষয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন পণ্যের ওপর বাংলাদেশে ৭৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সঠিক নয়। বেশির ভাগ পণ্যেই ৫ শতাংশের কাছাকাছি শুল্ক আছে। সামান্য কিছুটা বেশি হারে করারোপ করা হয় কয়েকটি পণ্যে, যেগুলো খুব বেশি আমদানি করা হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির জন্য কিছু পণ্যে শুল্ক-কর কমানোর হিসাব কষেছে এনবিআর।
এনবিআরের শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, গত তিন-চার বছরে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়েছে, তাতে মোট করারোপ করা হয়েছে ৫ শতাংশের কম। এ ছাড়া টুপিতে ৬০ শতাংশ ট্যারিফ আছে। কিন্তু টুপি তো আমরা আমদানিই করি না। তারপরও আমরা কিছু জিনিস রেডি করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনারেটর, স্ট্র্যাপ, মাংস—এটা একটা সেনসিটিভ আইটেম, ভাল্ভ ও কিছু ইলেকট্রিক পণ্য রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা (রেসিপ্রোক্যাল) করারোপ করেছে, এখানে কর ইস্যু নয়, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই প্রধান উদ্দেশ্য। ফলে আমদানি না বাড়ালে যতই শুল্ক-কর কমানো হোক, কোনো কাজে আসবে না। তবে ট্রাম্প প্রশাসনকে আলোচনার টেবিলে আনা এবং তাদের বোঝানোর জন্য আমাদের এই উদ্যোগ নেওয়া।’
এখানেই শেষ নয়, আরও কী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছে এনবিআর। এ লক্ষ্যে রোববার অভ্যন্তরীণ বৈঠকও করবে সংস্থাটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাকা বৈঠকেও অংশ নেবে এনবিআর।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামীকাল হয়তো আমরা একটা বৈঠক করব এনবিআর চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে। শুল্ক-করের বিষয়ে কী করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
তবে আমদানির ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের খুব বেশি করণীয় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে মেইন স্টেকহোল্ডার কাস্টমস। বেশির ভাগ পণ্যের জিরো থেকে ৫ শতাংশ এআইটি আছে। এর বেশি নেই। আমাদের দিক থেকে বেশি কিছু করার নেই।’
এদিকে আজ শনিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিডা। বৈঠকের বিষয়ে কাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ৩০টির বেশি মার্কিন পণ্যের আমদানি শুল্ক পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এগুলোর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অন্তত ১০টি এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিড) প্রায় ২০টি পণ্যের শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছে। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার ডাকা বৈঠকে এসব সুপারিশ আলোচনা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রস্তুত করা খসড়া সুপারিশ আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উত্থাপন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।
এনবিআরের পণ্যের তালিকায় আছে ভাল্ভ, ইলেকট্রিক কিছু পণ্য, মাংস, জেনারেটর ও স্ট্র্যাপ। শুধু আমদানি শুল্ক নয়; ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, অগ্রিম করও পর্যালোচনার প্রস্তাব রয়েছে। তবে কী পরিমাণ শুল্ক-কর কমানো বা নির্ধারণ করা হবে, সেই বিষয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন পণ্যের ওপর বাংলাদেশে ৭৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সঠিক নয়। বেশির ভাগ পণ্যেই ৫ শতাংশের কাছাকাছি শুল্ক আছে। সামান্য কিছুটা বেশি হারে করারোপ করা হয় কয়েকটি পণ্যে, যেগুলো খুব বেশি আমদানি করা হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির জন্য কিছু পণ্যে শুল্ক-কর কমানোর হিসাব কষেছে এনবিআর।
এনবিআরের শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, গত তিন-চার বছরে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়েছে, তাতে মোট করারোপ করা হয়েছে ৫ শতাংশের কম। এ ছাড়া টুপিতে ৬০ শতাংশ ট্যারিফ আছে। কিন্তু টুপি তো আমরা আমদানিই করি না। তারপরও আমরা কিছু জিনিস রেডি করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনারেটর, স্ট্র্যাপ, মাংস—এটা একটা সেনসিটিভ আইটেম, ভাল্ভ ও কিছু ইলেকট্রিক পণ্য রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা (রেসিপ্রোক্যাল) করারোপ করেছে, এখানে কর ইস্যু নয়, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই প্রধান উদ্দেশ্য। ফলে আমদানি না বাড়ালে যতই শুল্ক-কর কমানো হোক, কোনো কাজে আসবে না। তবে ট্রাম্প প্রশাসনকে আলোচনার টেবিলে আনা এবং তাদের বোঝানোর জন্য আমাদের এই উদ্যোগ নেওয়া।’
এখানেই শেষ নয়, আরও কী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছে এনবিআর। এ লক্ষ্যে রোববার অভ্যন্তরীণ বৈঠকও করবে সংস্থাটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাকা বৈঠকেও অংশ নেবে এনবিআর।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামীকাল হয়তো আমরা একটা বৈঠক করব এনবিআর চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে। শুল্ক-করের বিষয়ে কী করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
তবে আমদানির ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের খুব বেশি করণীয় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে মেইন স্টেকহোল্ডার কাস্টমস। বেশির ভাগ পণ্যের জিরো থেকে ৫ শতাংশ এআইটি আছে। এর বেশি নেই। আমাদের দিক থেকে বেশি কিছু করার নেই।’
এদিকে আজ শনিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিডা। বৈঠকের বিষয়ে কাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তেল শোধনাগারটি পরিচালনা করে নায়ারা এনার্জি লিমিটেড, যার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের।
১৩ ঘণ্টা আগেরপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৪ ঘণ্টা আগেটানা ৯ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে প্রতিবছর কিছুটা প্রবৃদ্ধি থাকলেও তা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে থাকছে। প্রস্তাবিত ও সংশোধিত, উভয় লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে বড় ফারাক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পর থেকে কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি...
১ দিন আগে১১ বছরের সফল যাত্রা সম্পন্ন করল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। দেশের অন্যতম বেসরকারি এই বিমান সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ বছরে পা রাখল। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আজ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে একটি নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে