চীনের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশ্বজুড়েই শঙ্কা বাড়ছিল। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংবাদ এবং বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেশটি জানিয়েছে, বিভিন্ন সূচক থেকে দেখা যাচ্ছে চীনা অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে এবং আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। যা বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে মূলত বছরের প্রথম ৭ মাসে মূল্য সংযোগ শিল্প খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ভোগ্য পণ্যের খুচরা বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কারণে।
এমনকি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনও চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেছে। যেমন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল যে—চলতি বছরে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু গত জুন মাসে তাঁরা সেই পূর্বাভাস সংশোধন করে বলছে, চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দৃঢ় করার পাশাপাশি চীন জ্বালানি এবং খাদ্য সরবরাহের মতো বিষয়েও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন গড়ে ৬৫ হাজার কোটি কেজি খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছে। পাশাপাশি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জ্বালানি খাতে উৎপাদন বাড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ প্রায়।
এ ছাড়া চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। চীনা প্রযুক্তিতে নির্মিত জেট লাইনার, ক্রুজ শিপসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী খাতে চীন যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে। এমনকি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতেও চীনের অগ্রগতি লক্ষণীয়। কেবল তাই নয়, চীন থেকে নতুন জ্বালানি প্রযুক্তির বিভিন্ন গাড়ি রপ্তানিও বেড়েছে।
এদিকে, কিছুদিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল—টানা চার দশকের বেশি সময় ধরে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। কিন্তু কোভিড মহামারিসহ অভ্যন্তরীণ নানা সংকটে পড়ে চীনের অর্থনীতি চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চীনে দ্রুত প্রবৃদ্ধি এনে দেওয়া অর্থনৈতিক মডেলটি ‘ভেঙে পড়ছে’।
অর্থনীতিবিদদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, চীনের অর্থনৈতিক সংকট দেশটির সামগ্রিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে। সংকট এতই গভীর যে চীনের অর্থনীতি ধীর প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করছে। এর কারণ, চীনের এখনকার জনমিতি প্রবৃদ্ধি সহায়ক নয় এবং দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর বিভক্তি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
চীনের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশ্বজুড়েই শঙ্কা বাড়ছিল। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংবাদ এবং বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেশটি জানিয়েছে, বিভিন্ন সূচক থেকে দেখা যাচ্ছে চীনা অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে এবং আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। যা বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে মূলত বছরের প্রথম ৭ মাসে মূল্য সংযোগ শিল্প খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ভোগ্য পণ্যের খুচরা বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কারণে।
এমনকি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনও চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেছে। যেমন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল যে—চলতি বছরে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু গত জুন মাসে তাঁরা সেই পূর্বাভাস সংশোধন করে বলছে, চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দৃঢ় করার পাশাপাশি চীন জ্বালানি এবং খাদ্য সরবরাহের মতো বিষয়েও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন গড়ে ৬৫ হাজার কোটি কেজি খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছে। পাশাপাশি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জ্বালানি খাতে উৎপাদন বাড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ প্রায়।
এ ছাড়া চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। চীনা প্রযুক্তিতে নির্মিত জেট লাইনার, ক্রুজ শিপসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী খাতে চীন যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে। এমনকি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতেও চীনের অগ্রগতি লক্ষণীয়। কেবল তাই নয়, চীন থেকে নতুন জ্বালানি প্রযুক্তির বিভিন্ন গাড়ি রপ্তানিও বেড়েছে।
এদিকে, কিছুদিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল—টানা চার দশকের বেশি সময় ধরে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। কিন্তু কোভিড মহামারিসহ অভ্যন্তরীণ নানা সংকটে পড়ে চীনের অর্থনীতি চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চীনে দ্রুত প্রবৃদ্ধি এনে দেওয়া অর্থনৈতিক মডেলটি ‘ভেঙে পড়ছে’।
অর্থনীতিবিদদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, চীনের অর্থনৈতিক সংকট দেশটির সামগ্রিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে। সংকট এতই গভীর যে চীনের অর্থনীতি ধীর প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করছে। এর কারণ, চীনের এখনকার জনমিতি প্রবৃদ্ধি সহায়ক নয় এবং দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর বিভক্তি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ গুণে। ২০২৪ সালের মার্চ শেষে যেখানে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৫৮৫ কোটি, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চ শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন।
৭ ঘণ্টা আগেআনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। এর মাধ্যমে ভারতের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ বাজারে নেপালের যাত্রার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। গত রোববার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে নেপাল। এই বিদ্যুৎ রপ্তানি ৫ বছরের একটি...
৭ ঘণ্টা আগেধীরে ধীরে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গতকাল সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে হরমুজ প্রণালি। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সামুদ্রিক বাণিজ্যপথে নৌযান চলাচলে ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ এবং নেভিগেশন বিভ্রাটের ঘটনা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাও এখন হুমকির মুখে।
১০ ঘণ্টা আগে