বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
বহুদিন ধরে এলসির আড়ালে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ডলার পাচার চলছিল নির্বিঘ্নে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাজারদর যাচাইয়ের অনলাইন পদ্ধতি চালু করলে সেই গোপন পথ বন্ধ হয়। গত আড়াই বছরে এই নজরদারিতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার পাচার রোধ হয়েছে, যা রিজার্ভ রক্ষায় বড় অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আড়াই বছরে আমদানি খরচ ৯৪ বিলিয়ন থেকে নেমে ৭০-৭২ বিলিয়নে এসেছে। শুধু আমদানি কমার কারণে নয়, বরং এলসির দর যাচাই করে অতিরিক্ত মূল্য ঠেকানোয় ৩০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে।
বিএফআইইউর এক গবেষণায় দেখা যায়, কিছু পণ্যে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে এলসি খোলা হতো। ইউক্রেন যুদ্ধের পর ডলার-সংকট ঘনীভূত হলে এসব অনিয়ম স্পষ্ট হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করে অনলাইন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং ইউনিট, যারা এখন প্রতিটি এলসির পণ্যের প্রকৃত বাজারদর যাচাই করছে। এতে মর্জিমাফিক মূল্য নির্ধারণ বন্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একসময় অসাধু ব্যবসায়ীরা এলসিতে অতিমূল্য দেখিয়ে অতিরিক্ত ডলার বিদেশে পাঠাতেন, আবার রপ্তানিতে কম দাম দেখিয়ে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনা ঠেকাতেন। এর ফলে নিয়মিত ডলার পাচার হয়ে রিজার্ভে ধস নামে—যেখানে করোনা-পরবর্তী সময়ে তা ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, এখন তা নেমে এসেছে ২৩-২৫ বিলিয়নের ঘরে।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিএফআইইউ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বছর অর্থ পাচারের প্রধান পথ ছিল বাণিজ্যিক লেনদেন। ওভার ইনভয়েসের মাত্রা ২০ থেকে ২০০ শতাংশের মধ্যে ছিল, যা রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করে এবং বাজারে ডলারের সংকটকে ঘনীভূত করে।
এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর মনিটরিং, আমদানির শর্ত কঠোরকরণ এবং বিদেশযাত্রায় ডলার বহনে সীমা নির্ধারণসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের সংকট এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। এলসি খুলতে ব্যবসায়ীরা আর সমস্যার কথা জানান না। বরং আমাদের কঠোর বাজার মনিটরিংয়ের ফলে মিথ্যা ঘোষণার সুযোগ নেই বললেই চলে।’
আরিফ হোসেন খান আরও বলেন, ‘২০২২ সালের পর যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, বিশেষ করে আমদানি মূল্য যাচাই, রপ্তানি আয় যথাযথভাবে দেশে আনা নিশ্চিত করা এবং লেনদেনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় এখন বৈদেশিক লেনদেন অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ও নির্ভরযোগ্য।’
বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইন মূল্য যাচাইয়ের এই মনিটরিং ব্যবস্থাই এখন অর্থনীতির টার্নিং পয়েন্ট। ডলার পাচার কমে দেশে সঞ্চয় বাড়ছে, ব্যবসায় ফিরেছে আস্থা। প্রযুক্তি ও নজরদারির সমন্বয় যে অর্থনীতিকে বিপজ্জনক গলিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে, তার কার্যকর প্রমাণ এটি—যার ধারাবাহিকতা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বহুদিন ধরে এলসির আড়ালে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ডলার পাচার চলছিল নির্বিঘ্নে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাজারদর যাচাইয়ের অনলাইন পদ্ধতি চালু করলে সেই গোপন পথ বন্ধ হয়। গত আড়াই বছরে এই নজরদারিতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার পাচার রোধ হয়েছে, যা রিজার্ভ রক্ষায় বড় অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আড়াই বছরে আমদানি খরচ ৯৪ বিলিয়ন থেকে নেমে ৭০-৭২ বিলিয়নে এসেছে। শুধু আমদানি কমার কারণে নয়, বরং এলসির দর যাচাই করে অতিরিক্ত মূল্য ঠেকানোয় ৩০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে।
বিএফআইইউর এক গবেষণায় দেখা যায়, কিছু পণ্যে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে এলসি খোলা হতো। ইউক্রেন যুদ্ধের পর ডলার-সংকট ঘনীভূত হলে এসব অনিয়ম স্পষ্ট হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করে অনলাইন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং ইউনিট, যারা এখন প্রতিটি এলসির পণ্যের প্রকৃত বাজারদর যাচাই করছে। এতে মর্জিমাফিক মূল্য নির্ধারণ বন্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একসময় অসাধু ব্যবসায়ীরা এলসিতে অতিমূল্য দেখিয়ে অতিরিক্ত ডলার বিদেশে পাঠাতেন, আবার রপ্তানিতে কম দাম দেখিয়ে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনা ঠেকাতেন। এর ফলে নিয়মিত ডলার পাচার হয়ে রিজার্ভে ধস নামে—যেখানে করোনা-পরবর্তী সময়ে তা ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, এখন তা নেমে এসেছে ২৩-২৫ বিলিয়নের ঘরে।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিএফআইইউ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বছর অর্থ পাচারের প্রধান পথ ছিল বাণিজ্যিক লেনদেন। ওভার ইনভয়েসের মাত্রা ২০ থেকে ২০০ শতাংশের মধ্যে ছিল, যা রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করে এবং বাজারে ডলারের সংকটকে ঘনীভূত করে।
এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর মনিটরিং, আমদানির শর্ত কঠোরকরণ এবং বিদেশযাত্রায় ডলার বহনে সীমা নির্ধারণসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের সংকট এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। এলসি খুলতে ব্যবসায়ীরা আর সমস্যার কথা জানান না। বরং আমাদের কঠোর বাজার মনিটরিংয়ের ফলে মিথ্যা ঘোষণার সুযোগ নেই বললেই চলে।’
আরিফ হোসেন খান আরও বলেন, ‘২০২২ সালের পর যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, বিশেষ করে আমদানি মূল্য যাচাই, রপ্তানি আয় যথাযথভাবে দেশে আনা নিশ্চিত করা এবং লেনদেনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় এখন বৈদেশিক লেনদেন অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ও নির্ভরযোগ্য।’
বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইন মূল্য যাচাইয়ের এই মনিটরিং ব্যবস্থাই এখন অর্থনীতির টার্নিং পয়েন্ট। ডলার পাচার কমে দেশে সঞ্চয় বাড়ছে, ব্যবসায় ফিরেছে আস্থা। প্রযুক্তি ও নজরদারির সমন্বয় যে অর্থনীতিকে বিপজ্জনক গলিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে, তার কার্যকর প্রমাণ এটি—যার ধারাবাহিকতা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
‘মে ম্যাডনেস’ ক্যাম্পেইনে কার্টআপ ক্রেতারা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পছন্দের সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারবে খুব সহজেই। ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল, ইলেকট্রনিকস, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য পাওয়া যাবে এই মেগা ক্যাম্পেইনে।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ পণ্য ‘সুকুক’ চালু হয়েছিল ইসলামি আর্থিক মূল্যবোধকে মাথায় রেখে। এটি এমন একটি পণ্য, যেখানে সুদ নেই, দুর্নীতি নেই আর ঝুঁকিও তুলনামূলক কম। অনেকে একে ‘হালাল বন্ড’ বলেও চেনেন। বিশ্বের বহু দেশে যেখানে ইতিমধ্যেই সুকুক বড় বাজার তৈরি করেছে, সেখানে একেবারেই ব্যতিক্রম বাংলাদেশে।
১৩ ঘণ্টা আগেঅনিয়ন্ত্রিত কারণে কোনো তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রুগ্ণ হলে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং মালিকের জন্য একটি কার্যকর এক্সিট পলিসি প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বিজিএমইএর নির্বাচনী জোট ফোরাম।
২১ ঘণ্টা আগেতেলের বাজারে অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে সৌদি আরামকোর আয়েও। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ৪.৬% হ্রাস পেয়েছে। বিক্রি কমে যাওয়া ও ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেলের দাম পড়তির দিকে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওপেক+ দেশের উৎপাদন বাড়া
২১ ঘণ্টা আগে