রেহানা শামীম, নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র)
নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে অনেক বাঙালি থাকে। থাকে কুইনসেও; বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটসে গেলে বোঝা যায়, কতই-না বাঙালি দোকানপাট। কেউ যদি দেশ থেকে সরাসরি এ এলাকায় এসে হাজির হয়, তাহলে ইংরেজি না জানলেও চলবে। এখানে দোকানপাট থেকে শুরু করে বেশির ভাগ অফিসেরই মালিকানা বাঙালিদের। রয়েছে ল ফার্ম, কাপড়ের দোকান, গ্রোসারি শপ, রেস্তোরাঁ। নির্দ্বিধায় বাংলা বলতে পারবেন এখানে।
আবার পারসনস বুলেভার্ডেও রয়েছে বাঙালি বসতি। এখন বাঙালি কুইনসেও ছড়িয়ে পড়ছে, সেটা এই দুই জায়গায় বাঙালিদের সমাগম থেকেই বোঝা যায়। নিউইয়র্কের সবখানেই বাঙালিদের চলাচল। তবে কুইনস আর ব্রুকলিনেই বেশি বাঙালির বসবাস। ব্রুংসেও বাঙালি অনেক।
এই বাঙালিদের জীবনে ঈদ আসে আনন্দে সওয়ার হয়ে। গত শতাব্দীর আশির দশকে যখন এখানে এসেছিলাম, তখন যে এলাকায় থাকতাম, সেখানে ছিল বাঙালিদের ঘনবসতি। তখন বাচ্চারা ছিল ছোট। বাঙালিরা ঈদের দিন একে অপরের বাড়ি যেত, সবাই মিলে পার্কে গিয়ে আনন্দ ভ্রমণে মেতে উঠত। এক বাড়িতে আড্ডা বসলে পাড়ার সবাই এসে হাজির হতো সেখানে। জমিয়ে আড্ডা হতো, গল্প হতো। কিন্তু স্কুল থাকত খোলা। অফিসও খোলা। তাই ঈদের দিন স্কুল ছুটির পর কিংবা অফিস ছুটি হলেই শুরু হতো ঈদের আনন্দ।
সময় বদলে গেছে। নিউইয়র্ক শহরে আরও অনেক বাঙালি এসেছেন। নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। বাঙালিদের পছন্দের ফ্যাশনেবল কাপড়-চোপড়ও এখন নিউইয়র্কে পাওয়া যায়। আবার এমনও হয়, প্রতি সপ্তাহেই তো পরিচিত কেউ না কেউ দেশে যায়, ফলে তাদের মাধ্যমে দেশ থেকেও ঈদের কাপড় কিনে আনা হয়।
আগে নির্দিষ্ট কিছু মসজিদে কিংবা মাঠে নামাজ হতো, এখন মুসলমানের সংখ্যা অনেক। ফলে বাড়ির কাছেপিঠে যে মসজিদ, সেখানে ভিড় বাড়ছে। আমরা থাকি কুইনস ভিলেজে। আমাদের পরিবারের পুরুষেরা কুইনস ভিলেজের মসজিদুল আল্লাহতে যায়। পারসনস বুলভার্ডের আশপাশের মানুষ নামাজ পড়েন জ্যামাইকা মসজিদ আয়োজিত টমাস এডিসন হাইস্কুলের মাঠে।
এখানে রান্নাবান্না বাংলাদেশের মতোই। সব ধরনের খাবারই তো পাওয়া যায়। তাই পোলাও, কোরমা, ঝাল মাংস, রোস্ট রান্না হয়। সেমাইয়ের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।
এখন অবশ্য দিন পাল্টেছে। ঈদের দিন স্কুল ছুটি থাকে। বড়রা কাজ বদল করে নেয়। ‘ক্রিসমাসের দিন কাজ করে দেব’ বলে অন্যদের সঙ্গে কাজ অদলবদল করে নেয়।
এখন ঈদের আয়োজন করা সহজ হয়ে গেছে। ভাবি, প্রায় চল্লিশ বছর আগে যখন ঈদ উদযাপন করতাম, তখন হাতের কাছে প্রায় কিছুই ছিল না, তখন সেই দিনগুলোকে সুদূর অতীত বলে মনে হতো।ঈদের দিন একধরনের পুনর্মিলনী হয়, যা উৎফুল্ল করে তোলে মনকে।
নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে অনেক বাঙালি থাকে। থাকে কুইনসেও; বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটসে গেলে বোঝা যায়, কতই-না বাঙালি দোকানপাট। কেউ যদি দেশ থেকে সরাসরি এ এলাকায় এসে হাজির হয়, তাহলে ইংরেজি না জানলেও চলবে। এখানে দোকানপাট থেকে শুরু করে বেশির ভাগ অফিসেরই মালিকানা বাঙালিদের। রয়েছে ল ফার্ম, কাপড়ের দোকান, গ্রোসারি শপ, রেস্তোরাঁ। নির্দ্বিধায় বাংলা বলতে পারবেন এখানে।
আবার পারসনস বুলেভার্ডেও রয়েছে বাঙালি বসতি। এখন বাঙালি কুইনসেও ছড়িয়ে পড়ছে, সেটা এই দুই জায়গায় বাঙালিদের সমাগম থেকেই বোঝা যায়। নিউইয়র্কের সবখানেই বাঙালিদের চলাচল। তবে কুইনস আর ব্রুকলিনেই বেশি বাঙালির বসবাস। ব্রুংসেও বাঙালি অনেক।
এই বাঙালিদের জীবনে ঈদ আসে আনন্দে সওয়ার হয়ে। গত শতাব্দীর আশির দশকে যখন এখানে এসেছিলাম, তখন যে এলাকায় থাকতাম, সেখানে ছিল বাঙালিদের ঘনবসতি। তখন বাচ্চারা ছিল ছোট। বাঙালিরা ঈদের দিন একে অপরের বাড়ি যেত, সবাই মিলে পার্কে গিয়ে আনন্দ ভ্রমণে মেতে উঠত। এক বাড়িতে আড্ডা বসলে পাড়ার সবাই এসে হাজির হতো সেখানে। জমিয়ে আড্ডা হতো, গল্প হতো। কিন্তু স্কুল থাকত খোলা। অফিসও খোলা। তাই ঈদের দিন স্কুল ছুটির পর কিংবা অফিস ছুটি হলেই শুরু হতো ঈদের আনন্দ।
সময় বদলে গেছে। নিউইয়র্ক শহরে আরও অনেক বাঙালি এসেছেন। নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। বাঙালিদের পছন্দের ফ্যাশনেবল কাপড়-চোপড়ও এখন নিউইয়র্কে পাওয়া যায়। আবার এমনও হয়, প্রতি সপ্তাহেই তো পরিচিত কেউ না কেউ দেশে যায়, ফলে তাদের মাধ্যমে দেশ থেকেও ঈদের কাপড় কিনে আনা হয়।
আগে নির্দিষ্ট কিছু মসজিদে কিংবা মাঠে নামাজ হতো, এখন মুসলমানের সংখ্যা অনেক। ফলে বাড়ির কাছেপিঠে যে মসজিদ, সেখানে ভিড় বাড়ছে। আমরা থাকি কুইনস ভিলেজে। আমাদের পরিবারের পুরুষেরা কুইনস ভিলেজের মসজিদুল আল্লাহতে যায়। পারসনস বুলভার্ডের আশপাশের মানুষ নামাজ পড়েন জ্যামাইকা মসজিদ আয়োজিত টমাস এডিসন হাইস্কুলের মাঠে।
এখানে রান্নাবান্না বাংলাদেশের মতোই। সব ধরনের খাবারই তো পাওয়া যায়। তাই পোলাও, কোরমা, ঝাল মাংস, রোস্ট রান্না হয়। সেমাইয়ের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।
এখন অবশ্য দিন পাল্টেছে। ঈদের দিন স্কুল ছুটি থাকে। বড়রা কাজ বদল করে নেয়। ‘ক্রিসমাসের দিন কাজ করে দেব’ বলে অন্যদের সঙ্গে কাজ অদলবদল করে নেয়।
এখন ঈদের আয়োজন করা সহজ হয়ে গেছে। ভাবি, প্রায় চল্লিশ বছর আগে যখন ঈদ উদযাপন করতাম, তখন হাতের কাছে প্রায় কিছুই ছিল না, তখন সেই দিনগুলোকে সুদূর অতীত বলে মনে হতো।ঈদের দিন একধরনের পুনর্মিলনী হয়, যা উৎফুল্ল করে তোলে মনকে।
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫