নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন:
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।
এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।
এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেআগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে