Ajker Patrika

অন্ধত্ব-দারিদ্র্য রুখতে পারেনি লিমাকে

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ৪৮
Thumbnail image

জন্ম থেকেই অন্ধ। সেই সঙ্গে আছে দারিদ্র্য। কিন্তু দমে যায়নি কিশোরী লিমা খাতুন। সে এবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার তাহের শামছুন্নাহার উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে শ্রুতলেখকের সাহায্যে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। 
লিমা চণ্ডীছড়া চা-বাগানের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবার নাম মো. দেলোয়ার মিয়া। তার বড় বোনও এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। সে বড় বোনের পড়া শুনে শুনে নিজের পড়া শিখেছে। তার ইচ্ছা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। 

গত রোববার বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা শেষে লিমা জানায়, তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। তার পুরো পড়াশোনাটা করতে হয় শুনে শুনে। সে কাজে তার বড় বোন সহায়তা করেছে। আর পরীক্ষায় তার কথা শুনে আরেকজনকে লিখতে হয়। পুরো উল্টো। এতে স্বাভাবিকদের তুলনায় কিছুটা গতি হারায় সে। তবে পরীক্ষা ভালো হয়েছে। 

লিমার শ্রুতলেখক নন্দিনী একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বলে, ‘লিমা আপার প্রস্তুতি ভালো ছিল, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আমারও পরীক্ষার ভীতি কমেছে।’ 

পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব নুরুল ইসলাম জানান, যারা শ্রুতলেখক হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের পরীক্ষার্থীর চেয়ে নিচের ক্লাসের হতে হয়। এখানে তাই করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ২০ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হচ্ছে। 

লিমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, ‘দৃষ্টিহীন লিমার আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আমি আর্থিক সহায়তা দিয়ে ফরম পূরণ করিয়েছি। তার আরও এক বোন পরীক্ষা দিচ্ছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত