শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে, সিলেট বিভাগের ৩২.৭ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। গবেষণাটি ওই বিভাগের শিশুদের অপুষ্টির চিত্র বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলাগুলো চিহ্নিত করেছে।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন উপলক্ষে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ‘সি’ ব্লকের ৩১২ নম্বর কক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল বাতেন ও বিভাগীয় পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ কামরুন নেছার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন। সঞ্চালনা করেন সহপ্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন।
গবেষণা থেকে জানা যায়, সিলেট বিভাগের শিশুদের পুষ্টির সার্বিক অবস্থার মধ্যে ৩২.৭ শতাংশ শিশু বয়সের তুলনায় উচ্চতায় কম, ১২. ৭ শতাংশ উচ্চতার তুলনায় ওজনে কম ও ২৫.৫ শতাংশ শিশু বয়সের তুলনায় ওজনে কম সমস্যায় ভুগছে। যা সারা দেশের গড় শতাংশ থেকে বেশি।
এ ছাড়া বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জের শিশুদের ‘বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম (৪১.২ %) ’ ও ‘কম ওজন (২৯.৭ %) ’-এর সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সিলেট জেলায় শিশুদের ‘উচ্চতার তুলনায় ওজন কম (১৪.৫ %) ’-এর সমস্যা তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে মৌলভীবাজার জেলায় অপুষ্টির সমস্যা তুলনামূলক কম।
গবেষণার সহপ্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের সার্বিক অপুষ্টির হার কমলেও সিলেটে অপুষ্টির সমস্যা সে হারে কমছে না। বাংলাদেশে শিশুদের পুষ্টির পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি হলেও কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে এখনো এটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান।
বিশেষ করে, সিলেট বিভাগের শিশুদের পুষ্টিহীনতার হার এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। অপুষ্টি শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় সিলেট বিভাগের চার জেলায় শিশুদের অপুষ্টির হার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ‘‘বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম’’, ‘‘উচ্চতার তুলনায় ওজন কম’’, ‘‘বয়সের তুলনায় ওজন কম’’ ও ‘‘কম ওজন’’ অপুষ্টির এই প্রধান সূচকগুলোর আলোকে গবেষণাটি করা হয়। এ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা কিছু সুপারিশ করেছি।’
গবেষক দলের সদস্যরা জানান, সিলেট বিভাগের শিশুদের অপুষ্টির হার কমাতে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, এনজিও ও কমিউনিটি নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত পুষ্টি সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা জরুরি। বিশেষ করে, পুষ্টিবিষয়ক জনসচেতনতা বাড়ানো, শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিতকরণ, মা ও শিশুর জন্য স্বাস্থ্যসেবার সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ও নিয়মিত পুষ্টি মূল্যায়ন ক্যাম্প পরিচালনা করা প্রয়োজন।
গবেষণার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ‘রিসার্চ গ্র্যান্ট ফর উইমেন’ তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হয়। এই জরিপে ১ হাজার ৪৫০টি বসতবাড়ি থেকে ১ হাজার ৬২৫টি শিশুর পারিবারিক অবস্থার ও পুষ্টিসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণাটি পরিচালনায় আইসিডিডিআরবির শিশু পুষ্টিবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেনের সহযোগিতায়, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ কামরুন নেছা (প্রধান গবেষক) ও অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের (সহপ্রধান গবেষক) নেতৃত্বে তথ্য সংগ্রহ ও ক্ষুদ্র এলাকা নিরূপণ পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণাটিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও গবেষণা সহকারী হিসেবে অবদান রেখেছেন শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদ বাবু, সুমাইয়া তাসনিম, ফখরুল ইসলাম, প্রসেনজিৎ বসাক, মো. সাব্বির হোসেইন ও মাহফুজ জিয়াদ। গবেষণার জরিপে ৩০ জন মাঠকর্মী প্রায় ৫ মাস তথ্য সংগ্রহে নিযুক্ত ছিলেন।
‘দ্য অ্যাসেসমেন্ট অব ভালনারেবল এরিয়াস ইন সিলেট ডিভিশন ফর চাইল্ডহুড আন্ডার-নিউট্রিশন’ শিরোনামে শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগ ও আইসিডিডিআরবির যৌথ পরিচালনায় গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণাটি বিভাগের চার জেলার ৪১টি উপজেলা (গ্রাম-শহর), সিটি করপোরেশনসহ মোট ৯৩টি ক্লাস্টারে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর চালানো হয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে, সিলেট বিভাগের ৩২.৭ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। গবেষণাটি ওই বিভাগের শিশুদের অপুষ্টির চিত্র বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলাগুলো চিহ্নিত করেছে।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন উপলক্ষে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ‘সি’ ব্লকের ৩১২ নম্বর কক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল বাতেন ও বিভাগীয় পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ কামরুন নেছার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন। সঞ্চালনা করেন সহপ্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন।
গবেষণা থেকে জানা যায়, সিলেট বিভাগের শিশুদের পুষ্টির সার্বিক অবস্থার মধ্যে ৩২.৭ শতাংশ শিশু বয়সের তুলনায় উচ্চতায় কম, ১২. ৭ শতাংশ উচ্চতার তুলনায় ওজনে কম ও ২৫.৫ শতাংশ শিশু বয়সের তুলনায় ওজনে কম সমস্যায় ভুগছে। যা সারা দেশের গড় শতাংশ থেকে বেশি।
এ ছাড়া বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জের শিশুদের ‘বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম (৪১.২ %) ’ ও ‘কম ওজন (২৯.৭ %) ’-এর সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সিলেট জেলায় শিশুদের ‘উচ্চতার তুলনায় ওজন কম (১৪.৫ %) ’-এর সমস্যা তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে মৌলভীবাজার জেলায় অপুষ্টির সমস্যা তুলনামূলক কম।
গবেষণার সহপ্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের সার্বিক অপুষ্টির হার কমলেও সিলেটে অপুষ্টির সমস্যা সে হারে কমছে না। বাংলাদেশে শিশুদের পুষ্টির পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি হলেও কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে এখনো এটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান।
বিশেষ করে, সিলেট বিভাগের শিশুদের পুষ্টিহীনতার হার এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। অপুষ্টি শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় সিলেট বিভাগের চার জেলায় শিশুদের অপুষ্টির হার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ‘‘বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম’’, ‘‘উচ্চতার তুলনায় ওজন কম’’, ‘‘বয়সের তুলনায় ওজন কম’’ ও ‘‘কম ওজন’’ অপুষ্টির এই প্রধান সূচকগুলোর আলোকে গবেষণাটি করা হয়। এ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা কিছু সুপারিশ করেছি।’
গবেষক দলের সদস্যরা জানান, সিলেট বিভাগের শিশুদের অপুষ্টির হার কমাতে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, এনজিও ও কমিউনিটি নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত পুষ্টি সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা জরুরি। বিশেষ করে, পুষ্টিবিষয়ক জনসচেতনতা বাড়ানো, শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিতকরণ, মা ও শিশুর জন্য স্বাস্থ্যসেবার সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ও নিয়মিত পুষ্টি মূল্যায়ন ক্যাম্প পরিচালনা করা প্রয়োজন।
গবেষণার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ‘রিসার্চ গ্র্যান্ট ফর উইমেন’ তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হয়। এই জরিপে ১ হাজার ৪৫০টি বসতবাড়ি থেকে ১ হাজার ৬২৫টি শিশুর পারিবারিক অবস্থার ও পুষ্টিসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণাটি পরিচালনায় আইসিডিডিআরবির শিশু পুষ্টিবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেনের সহযোগিতায়, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ কামরুন নেছা (প্রধান গবেষক) ও অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের (সহপ্রধান গবেষক) নেতৃত্বে তথ্য সংগ্রহ ও ক্ষুদ্র এলাকা নিরূপণ পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণাটিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও গবেষণা সহকারী হিসেবে অবদান রেখেছেন শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদ বাবু, সুমাইয়া তাসনিম, ফখরুল ইসলাম, প্রসেনজিৎ বসাক, মো. সাব্বির হোসেইন ও মাহফুজ জিয়াদ। গবেষণার জরিপে ৩০ জন মাঠকর্মী প্রায় ৫ মাস তথ্য সংগ্রহে নিযুক্ত ছিলেন।
‘দ্য অ্যাসেসমেন্ট অব ভালনারেবল এরিয়াস ইন সিলেট ডিভিশন ফর চাইল্ডহুড আন্ডার-নিউট্রিশন’ শিরোনামে শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগ ও আইসিডিডিআরবির যৌথ পরিচালনায় গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণাটি বিভাগের চার জেলার ৪১টি উপজেলা (গ্রাম-শহর), সিটি করপোরেশনসহ মোট ৯৩টি ক্লাস্টারে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর চালানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পদ থেকে বদলি করা হয়েছিল শফিকুল ইসলামকে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে বরং ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছেন তিনি। বিএমডিএর বিএনপিপন্থী ও দীর্ঘ সময় বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ...
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবনের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে রড। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদানও বন্ধ। অথচ সেই ভবন এবং পাশের প্রশাসনিক ভবনের সংস্কারসহ বেশ কিছু মালামাল ক্রয়ের টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কলেজটির প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন-১ মেরামতের..
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত মোখলেসুর রহমান সুমন (৩৬)। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিজ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
২ ঘণ্টা আগে