নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে প্রধান আসামি করে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নিপু ছাড়াও ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ যে দুজনকে আটক করেছিল এজাহারে ওই দুজনের নামও রয়েছে। তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।’
তাঁরা হলেন বালুচর সোনার বাংলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আনহাজ আহমদ রনি (২৩) ও বালুচরের কামাল মিয়ার ছেলে আল মামুন মজুমদার (৩২)। দুজনই হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের ছাত্রলীগ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রাত ৯টায় নিহত আরিফের মা ও মামলার বাদী আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও মৃত্যুর আগে আরিফ যাঁদের নাম বলে গেছে, তাঁদের আসামি করা হয়েছে। ১৫ তারিখের হামলাও এরাই করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চাই।’
গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মা ও স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।
মা আঁখি বেগমের দাবি, পুলিশ সোমবার রাতেই মামলা দায়েরের পরপর ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরণ মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে হিরণ মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, এ ঘটনায় শোক জানিয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। আজ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, সংগঠনের সক্রিয় কর্মী আরিফ আহমেদ (১৯) নিজ বাসার সামনে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। উদিয়মান ছাত্রনেতা আরিফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানানো হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে প্রধান আসামি করে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নিপু ছাড়াও ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ যে দুজনকে আটক করেছিল এজাহারে ওই দুজনের নামও রয়েছে। তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।’
তাঁরা হলেন বালুচর সোনার বাংলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আনহাজ আহমদ রনি (২৩) ও বালুচরের কামাল মিয়ার ছেলে আল মামুন মজুমদার (৩২)। দুজনই হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের ছাত্রলীগ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রাত ৯টায় নিহত আরিফের মা ও মামলার বাদী আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও মৃত্যুর আগে আরিফ যাঁদের নাম বলে গেছে, তাঁদের আসামি করা হয়েছে। ১৫ তারিখের হামলাও এরাই করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চাই।’
গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মা ও স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।
মা আঁখি বেগমের দাবি, পুলিশ সোমবার রাতেই মামলা দায়েরের পরপর ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরণ মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে হিরণ মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, এ ঘটনায় শোক জানিয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। আজ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, সংগঠনের সক্রিয় কর্মী আরিফ আহমেদ (১৯) নিজ বাসার সামনে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। উদিয়মান ছাত্রনেতা আরিফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানানো হয়।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে টনসিলের অস্ত্রোপচারের পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মির্জাপুর মডার্ন হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির মৃত্যু হলে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও মালিক গা ঢাকা দেন।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছিলেন কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা এক পর্যটক। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে হোটেল সাউদ-বিসসংলগ্ন সৈকতে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
১ ঘণ্টা আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ভাই-বোন তাহনিয়া আশরাফ নাজিফা ও আরিয়ান আশরাফ নাফি-এর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। এ সময় তিনি শোকাহত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মাঠঘাট, ফসলি জমি, মাছের ঘের, পুকুর ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে