Ajker Patrika

বর্তমান সরকারের আমলেও সিলেট বৈষম্যের শিকার: সাবেক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট 
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ০৬
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও সিলেটবাসী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার বিকেলে নগরের কুমারপাড়ার নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেছেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দ্রুত এসব বৈষম্য দূর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রমজানের পর গণ-আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ আটকে রয়েছে অভিযোগ করে সাবেক এই মেয়র জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘কোন কারণে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না? ১৭ বছরেও যাচাই-বাছাই শেষ হচ্ছে না কেন? কেন এত বিলম্ব? তা জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক। আর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, ঢাকা থেকে সিলেটে আসার সড়ক লালাবাজার এসে কেন জাফলংয়ের দিকে চলে যায়? লালাবাজার থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত সড়ক এক্সটেনশন করে রিভার্স করা হোক। তাতে যানজট কমবে।’

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়ক কখনো আমাদের বলা হয়েছে ছয় লেন, আবার কখনো বলা হয়েছে চার লেন। আমার কাছে যে তথ্য আছে তাতে দেখা যায়, প্রকল্পটি একনেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এটি মাঠপর্যায়ে প্রেরণ করা হয়। এর মানে প্রকল্পটি যেন অর্থবছর থেকে বাদ পড়ে যায়, সেজন্য কখনো মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়, কখনো একনেকে পাঠানো হয়, কখনো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ১৭ বছরেও কেন এই যাচাই-বাছাই শেষ হচ্ছে না? বাংলাদেশের সব জায়গায় বিমানবন্দরের সড়ক ছয় লেন, চার লেন হয়ে গেছে। শুধু সিলেট এখনো বঞ্চিত। আমার দাবি হলো, অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্পে ১৭টি এলএ প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে, ৬টি নোটিশ করা হয়েছে। ১১টি হতে পারলে বাকি ৬ টির জন্য আর কত বছর লাগবে? এ ছাড়া সিলেট-তামাবিল প্রকল্পে ৩০টি এলএ প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ে ৭ টির প্রস্তাব করা হলেও ৩ টির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। কোনো নোটিশ প্রদান করা হয়নি। আমরা কী এই অবস্থার মধ্যে থাকব?’

সাবেক মেয়র বলেন, সিলেট পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা। কিন্তু এখানকার সড়কগুলো মোটেও মানসম্মত নয়। ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে পাহাড় ঘেঁষে তামাবিল-জাফলং পর্যন্ত একটি পর্যটন সড়ক করা হলে পর্যটক বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেত। কিন্তু এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রসঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার কাছে আমি একটি আবেদন দিয়েছিলাম। আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ৩০ অক্টোবর বিউবোর সচিব ও চেয়ারম্যানের উদ্দেশে লিখলেন—প্রতিবেদনসহ উপস্থাপন করুন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই প্রতিবেদনের কোনো খবর নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত