Ajker Patrika

বন্ধ কলেজেও থেমে নেই ফি আদায়, ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, ১৬: ০৩
বন্ধ কলেজেও থেমে নেই ফি আদায়, ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা

সুনামগঞ্জ: করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ফি বাবদ ৬০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিরুদ্ধে। গত ১৪ জুন কলেজের অধ্যক্ষ পরাগ কান্তি দেব স্বাক্ষরিত নোটিশে এই ফি নির্ধারণ করা হয়। নোটিশে জানানো হয়, ‘২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, তাঁদের অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক ছাত্রীকে ৬০০/– (ছয়শত টাকা) শিওরক্যাশের মাধ্যমে আগামী ২৪ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে জমা দিতে হবে।’ 

সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, 'করোনাকালীন বিনা কারণে ফি নেওয়ার বিষয়টি বড় কষ্টের। সরকারি কলেজে মেয়েকে পড়াচ্ছি, অ্যাসাইনমেন্টের কাগজ-কলম সব আমরাই দেব। আর শিক্ষকদের বেতন সরকার দিচ্ছেই। এর পরেও কেন অ্যাসাইনমেন্ট জমা বা মূল্যায়নের ফি চাওয়া হচ্ছে?'
সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ বলেন, 'অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ফি রাখার নির্দেশনা নেই। আমরাও আমাদের কলেজে রাখিনি।' 

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ্র বলেন, 'সরকারি কলেজে পরিবহন–সুবিধা দেওয়ায় পরিবহন খাতে ৩০০ টাকা এবং অত্যাবশ্যক কর্মচারী খাতে ৭০০ টাকাসহ কলেজে ভর্তির সময় মানবিক বিভাগের ছাত্রদের জন্য ২ হাজার ২০৩ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের জন্য ২ হাজার ৩০৩ টাকা রাখা হয়েছে। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মানবিক বিভাগে ১ হাজার ৯৬৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ৬৩ টাকা রাখা হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমসহ সব খরচ এই ভর্তির টাকা থেকেই করা যাচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টাকা গ্রহণের কোনো নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক দেওয়া হয়নি। কারও রাখারও কথা নয়।' 

ফি আদায় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর পরাগ কান্তি দেব বলেন, `একাদশে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অভিভাবকদের ওপর চাপ কমাতে অন্য কলেজ থেকে কিছুটা কম ১ হাজার ৬৫০ টাকা রাখা হয়েছিল। এ জন্য অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক ছাত্রীকে ৬০০ টাকা দিতে বলা হয়েছে। ভর্তির সময় এই টাকা রাখলে এখন আর সেটা নতুন করে দিতে হতো না। অভিভাবক বা শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে আমরা আগে এটি রাখিনি। তাঁদের আপত্তি থাকলে পরের বছর থেকে ভর্তির সময়ই আমরা এই ফি নেব। ভর্তির সময় নিলে কলেজের জন্যও ভালোই হয়। কেননা, ভর্তির সময় টাকা নিলে সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই নেওয়া যায়। পরে অনেকেই পরীক্ষা বা অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশ নেয় না। ফলে টাকাও পাওয়া যায় না।'

উল্লেখ্য, এ বছর সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। 
 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্বে চাকরির বাজারে কম দামি ১২ ডিগ্রি, কদর বাড়ানোর উপায় কী

চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযোগ শ্রমিক-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে

শাকিব খানের নামের সঙ্গে মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রাজশাহীর ৭ বন্দীর সাজা মওকুফ

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু ‘বিষক্রিয়ায়’, কেয়ারটেকার চাচাকে সন্দেহ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত