Ajker Patrika

সিলেট-২ আসনে পুনর্নির্বাচন না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ৪ প্রার্থীর 

সিলেট প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ৪ প্রার্থী। তারা হলেন—বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব মল্লিক।

আজ সোমবার দুপুরে সিলেট নগরের পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন নিয়ে তাদের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে এই চার প্রার্থী ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। তা না হলে তাঁরা আইনি লড়াইসহ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে গতকাল রোববার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে নিজেদের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে একসঙ্গে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তাঁরা।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সিলেট-২ আসনে নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬১টি। বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে আজ সোমবার সকালে একই রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে ৪৭টি ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও নানা অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের (বালাগঞ্জ-দক্ষিণ সুরমা ও ফেধুগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।

কই রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।বিএমএ মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের কয়েক দিন আগে নির্বাচনী এলাকায় কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের প্রকাশ্য ঘোষণা, প্রার্থীর নিজ এলাকার প্রবেশমুখে তোরণ নির্মাণসহ নানা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অহরহ ঘটেছে এবং এগুলোর ফটো ও ভিডিও আমাদের কাছে। আমার সভায় হামলা, আমার সকল কর্মীদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রিসাইডিং অফিসারদের অভিযোগ করি, সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে ফোনে জানাই এবং সংশ্লিষ্ট থানাতেও অভিযোগ করি। কিন্তু তাঁদের কার্যকরী কোনো উদ্যোগ ছিল না বিধায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। প্রায় ৪৭টি ভোট কেন্দ্রের আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে বিকেল ৩টার সময় নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোটের উৎসব শুরু করে। প্রতিকার না পেয়ে বিকেল প্রায় ৩টা ৪৫ মিনিটে আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেই এবং এই মর্মে একটি চিঠি প্রধান নির্বাচন বরাবর প্রেরণ করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত