Ajker Patrika

সুনামগঞ্জে সন্তানের ‘গলায় দা ধরে’ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮: ৪২
Thumbnail image

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হিমাদ্রী দাস (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তবে ঘটনার চার দিন পরেও গ্রেপ্তার হননি আসামি।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একই গ্রামের হিমাদ্রী দাস হিমু (৪০) ওই নারীর ভাঙাচোরা বসতঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর ঘুমন্ত ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই দিন সরস্বতীপূজার রাত হওয়ায় ঘরের পাশে পূজামণ্ডপের সাউন্ড বক্সে গান বাজছিল। ফলে ওই নারী চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি। 

এ সময় হিমাদ্রী রান্নাঘর থেকে দা হাতে নিয়ে ওই নারীর ৫ বছরের ঘুমন্ত শিশুর গলায় চেপে ধরে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘চিৎকার করলে তোর ৫ বছরের শিশুকে খুন করে ফেলব।’ তখন ভয়ে ওই নারী কৌশলে লম্পট হিমাদ্রীর কাছ থেকে এক দিন সময় চেয়ে নেন। 

এরপর ওই নারীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাঁকে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের জন্য নানা প্রলোভন দেখান। ভুক্তভোগী নারীকে মামলা না করার ভয়ভীতিও দেখান। যার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কথোপকথনের ৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘থানায় অভিযোগ করার পর থেকে প্রাণসংশয়ে আছি। হিমাদ্রী এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। যেকোনো সময় আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে পারে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হিমাদ্রী দাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে তাঁর বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। 

হিমাদ্রী দাসের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আকুল দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের এপ্রিল মাসে রাতে রাস্তায় পেয়ে হিমাদ্রী দাস আমাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। মূলত এই হিমাদ্রী ইউপি সদস্য সহদেব দাসের অনুসারী। নির্বাচনী প্রচারে সে সব সময় সহদেবের সঙ্গে ছিলেন। কোনো কিছু ঘটলেই ইউপি সদস্য তাঁর পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। 

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগটি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আসামি পলাতক থাকায় ধরতে পারছি না। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত