Ajker Patrika

বহুল আলোচিত রায়হান হত্যার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

সিলেট প্রতিনিধি
বহুল আলোচিত রায়হান হত্যার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল মোমেনের আদালতে পুলিশ অভিযোগপত্র উপস্থাপন করলে শুনানি শেষে আদালত তা গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ। 

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কড়া নিরাপত্তায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ পুলিশসদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতে উপস্থাপন করা হয় এক হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন। 

এ সময় আদালতে রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী উপস্থিত ছিলেন।

বিচারক পিবিআইএর দেওয়া অভিযোগপত্রে কোন নারাজি থাকলে তা আদালতে জানাতে বললে তাঁরা অভিযোগপত্র নিয়ে কোন আপত্তি জানাননি। পরে বিচারক অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়ার আদেশ দেন। এ সময় মামলার পলাতক আসামী আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। 

গত ৫ মে পাঁচ পুলিশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইএর পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান। 

এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে উপস্থিত থাকলেও নোমান এখনো পলাতক রয়েছেন। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। 

রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারে দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি। 

নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম জানান, অভিযোগপত্রে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। তবে রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্য ও তাঁদের সহযোগীকে অভিযুক্ত করায় আমার পরিবার খুশি। দ্রুত আসামিদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত