Ajker Patrika

কোম্পানীগঞ্জে সেচ সংকটে ৩০০ একর জমির ধান

কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
কোম্পানীগঞ্জে সেচ সংকটে ৩০০ একর জমির ধান

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের হিঙ্গিকুড়ি বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সেচসংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০০ একর জমির বোরো ধানে পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া বিলের দুই পাশের বহু জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বিলের খাস কালেকশনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ আলী পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ ধরায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যার প্রতিকার চেয়ে আজ সোমবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হিঙ্গিকুড়ি বিলের পানি দিয়ে প্রতিবছর ইরি-বোরো মৌসুমে শিবনগর, ভাটরাই, জীবনপুর, সাঁতাল, নতুন জীবনপুর, নিগারের পাড় ও চন্দ্রনগর গ্রামের কৃষকেরা প্রায় তিন শ একর জমি চাষাবাদ করেন। প্রতিবার চাষাবাদ শেষ হলে মাঘ মাসের শেষের দিকে বিলের পানি ছেড়ে মাছ ধরা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার আগেই বিলের পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ ধরায় সেচসংকটে পড়েছেন কৃষকেরা। 

ভাটরাই গ্রামের আব্দুর রহমান, তাজউদ্দিন, তেরাব আলী, মাহমদ আলী, সাদ উল্লাহ, শিবনগর গ্রামের মনু মিয়া, নুর ইসলাম, কলাবাড়ী গ্রামের হাজী আমির উদ্দিন ও মোশাহিদ আলীসহ অনেক কৃষক জানান, কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের মানুষ হিঙ্গিকুড়ি বিলের পানি দিয়েই চাষাবাদ করে থাকেন। এবার ইরি-বোরো মৌসুমে বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় শতাধিক একর জমিতে চাষ করা যাচ্ছে না। সৈয়দ আলী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিলের পানি ছেড়ে দেওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। তাই প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। পানি না থাকলে ওই এলাকার শতাধিক একর জমির ফসল সেচসংকটে পড়বে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং অভিযোগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিলের পানি না শুকাতে সৈয়দ আলীকে ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত