Ajker Patrika

সিলেটে পানিবন্দী ৮ লাখের বেশি মানুষ

লবীব আহমদ, সিলেট
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪, ১০: ৩৭
সিলেটে পানিবন্দী ৮ লাখের বেশি মানুষ

টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটে আট লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার থেকে মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির দেখা দেয়। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২৩টি ওয়ার্ডের ৫০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ২ হাজার ৫০০ জন। জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৬টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রামের ৮ লাখ ২৫ হাজার ২৫৬ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৪৯ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। 

জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২২৩টি গ্রামে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ১ হাজার ৪৪০ জন। 

উপজেলার সব সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং, গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। 

কোম্পানীগঞ্জে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১১৩টি গ্রামের ৯৫ হাজার ৫০০ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ৭ হাজার ৩০৩ জন। উপজেলার বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক বাদে বাকি সব সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। আর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে বালাগঞ্জ উপজেলায় কম মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং জকিগঞ্জেও কম মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার সব এলাকা বন্যায় প্লাবিত। যাদের ঘরবাড়িতে বেশি পানি উঠেছে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আমরা বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসহায়তা দিচ্ছি।’ 

সিলেটে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কসিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটের তিনটি নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৬ সেমি. ও সিলেট পয়েন্টে ৩৭ সেমি, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৬২ সেমি., ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০০ সেমি, শেরপুর পয়েন্টে ২১ সেমি. ও সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ‘বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তাই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে। গত পাঁচ দিনে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১ হাজার ৬০০ মিলিমিটারের ওপরে বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ 

সিলেটে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কডুবেছে নগরী:
মহানগরীর উপশহর, মেন্দিবাগ, তালতলা, সোবহানীঘাট, মাছিমপুর, ছড়ারপার, যতরপুর, মিরাবাজার, জামতলা, কাজির বাজার, শেখঘাট, বেতের বাজারসহ নিম্নাঞ্চল এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। এসব এলাকার মানুষের বাসাবাড়িতে কারও হাঁটু সমান পানি আবার কারও বাসায় কোমর সমান পানি। অনেকের বাসায় পানি ওঠাতে চলে গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। আবার কেউ কেউ আত্মীয়ের বাসাবাড়িতে উঠেছেন। 

তালতলায় থাকা সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ঈদের দিন রাতে ঢুকে পড়া পানি এখনো রয়েছে স্টেশনটিতে। সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগরীতে পানি ঢুকলেই আমাদের অফিস ডুবে যায়। এখনো চার ফুট পানির নিচে রয়েছে আমাদের স্টেশন। তবুও আমাদের কার্যক্রম বন্ধ নেই।’ 

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ও ৫০ বছর বয়সী জায়েদা বেগম জানান, ‘আমি হোটেলে কাজ করি। আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য। স্বামী বয়স্ক ও অসুস্থ। আমি কাজ করে সংসার চালাই। ঈদের দিন রাতের বৃষ্টিতে ঘরে পানি উঠেছে। এখন ঘরে গলা পানি। পরে ওই দিন ফজরের ওয়াক্তে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। এখন এখানে খাবারদাবার নেই।

‘যার কারণে খুবই অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। হোটেল বন্ধ থাকায় সেখানেও যেতে পারছি না। একটি পাঁচতলার বাসায় পরিবার নিয়ে উঠেছি। শুনেছি যতরপুরের ওই দিকে একজন ত্রাণ বিতরণ করবে, সেখানে গিয়ে এই চিড়া-মুড়ি চেয়ে আনছি। তবুও তারা দিতে চাচ্ছে না। ঘরের ডেগ-বাসন সব পানির নিচে। কিসের ঈদ করব। ঈদ করছি না। আশ্রয়কেন্দ্রে গ্যাস নেই। এ কারণে রান্নাবান্নাও করতে পারছি না।’ 

নগরীর উপশহরের এইচ ব্লকের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি আমির হোসেন (৩৮) জানান, ‘ঈদের আগের দিন রাতের বৃষ্টিতে বাসায় পানি উঠে। এখন ঘরে কোমর পানি। আমার পরিবারে আটজন সদস্য। বাসায় কোমর পানি হওয়ায় এখন আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। উপশহরের প্রতিটি ব্লকেই পানি। যার কারণে যারা নিচতলায় থাকেন, তারা সবাই-ই এই পানিতে আক্রান্ত। 

আগের বারও পানি উঠছিল। এখন বৃষ্টি হলেই মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে, বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি। ঈদের নামাজ গিয়ে পড়তে হয়েছে হাঁটুসমান পানি ভেঙে গিয়ে। ঈদগাহে নামাজ পড়ার কথা থাকলেও প্রায় সব জায়গায়ই মানুষজন মসজিদে পড়ছেন। এবারের ঈদ আর সেই আনন্দ নিয়ে আসে নি। সারা দিন বৃষ্টি আর বাসায় পানি। খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছি আমরা। সুরমা নদীও ভরা। পানি যাওয়ার জায়গা নেই আর আমাদেরও বাঁচার উপায় নেই।’ 

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮টি ওয়ার্ডের ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। নগরীর ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ২২টিতে মানুষ উঠেছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যাকবলিত এলাকায় রান্না খাবার, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান।’ 

সিলেটে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কহাসপাতালে পানি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে পানি। তবে সবশেষ বুধবার হাসপাতালের মধ্যে থেকে পানি নেমে যায়। 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবারে পানি বাড়ার কারণে হাসপাতালে পানি ঢুকে পড়ে। এতে করে নিচতলায় থাকায় ইমার্জেন্সি বিভাগের সবকিছু ওপর তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বুধবার পানি কমে গেলে তা আবার নিচে নিয়ে আসা হয়। তবে এখনো হাসপাতালের রাস্তায় হাঁটু সমান পানি।’ 

মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু: 
জকিগঞ্জে বন্যার পানিতে কলাগাছের ভেলা করে মাছ ধরতে গিয়ে আব্দুল হালিম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মুহিদপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান জকিগঞ্জ থানার ওসি জাবেদ মাসুম। আব্দুল হালিম ওই গ্রামের মৃত রনই মিয়ার ছেলে ও পেশায় পিকআপচালক ছিলেন। 

পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ: 
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বন্ধের এই ঘোষণা দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সভা করে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন। এর আগে গত ৩০ মে সিলেটের সব কটি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। পরে ৭ জুন খুলে দেওয়া হয়। 

বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শনে মন্ত্রী: 
সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিবুর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান। 

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোটামুটি সিলেটের সব জায়গায়ই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। আমাদের সর্বশেষ রিপোর্টে ৬৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৯৪৯ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্রেই আমাদের নজরদারি রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নেই আমাদের ট্যাগ অফিসার রয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সবাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি। পানি অল্প একটু কমলেও আবার বৃষ্টিতে আর কমেনি। গত ২৯ মে থেকে সিলেটে ১ হাজার ৪৯৫ বস্তা শুকনো খাবার, ৬৩১ টন টন জিআর চাল, ২৭ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ৯ লাখ করে শিশুখাদ্য ও গোখাদ্য উপজেলা পর্যায়ে উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ইউএনওরা বণ্টন করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন:

বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তিকালে মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা: পুলিশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৮
বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তিকালে মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা: পুলিশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।

আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।

এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে: লক্ষ্মীপুরে এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৮
আজ সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।

এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা

 আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৯
টিএমএসএসের অফিসের মেঝেতে রাখা হাঁস। ছবি: আজকের পত্রিকা
টিএমএসএসের অফিসের মেঝেতে রাখা হাঁস। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।

হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’

উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হজের খরচ ১০০ ডলার কমাতে বিমানকে চিঠি দিয়েছে সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

নাটোর প্রতিনিধি
আজ সকালে নাটোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নাটোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’

আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।

পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত