Ajker Patrika

জুলাই আন্দোলন

পেটে বুলেট নিয়ে চলছেন সালেহ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৪১
সালেহ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
সালেহ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন সালেহ আহমেদ। শুরু থেকে আন্দোলনে তাঁর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতিটি হামলার সময় সামনে থেকে লড়েছেন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থ সম্পাদক সালেহ। দীর্ঘ লড়াইয়ে বড় কোনো আঘাত না পেলেও ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের ছোড়া গুলি পেটে বিদ্ধ হয় তাঁর। ওই দিন থেকে প্রায় এক মাস ছিলেন হাসপাতালের আইসিইউতে।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেও ভালো নেই জুলাই যোদ্ধা সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শরীর থেকে এখনো বুলেট বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এরই মধ্যে সংসারের অবলম্বন গবাদিপশু (গাভি) বিক্রি করে দিয়েছি। এই গাভির দুধ বিক্রি করে চলত সংসার ও দুই ছেলের লেখাপড়া। এখন সন্তানদের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই অবস্থায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’

সালেহ আহমেদের স্ত্রী হালিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বামী যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য। স্বামীকে নিয়ে আমি এখন যুদ্ধ করছি। অনেকে আমাকে সাহায্য করছেন। তাঁদের অবদান ভোলার মতো নয়। আমি বাড়িঘরের সব বিক্রি করে শেষ করেছি। সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন গাভিও বিক্রি করেছি। এ গাভির দুধ বিক্রি করে আমাদের সংসার এবং সন্তানদের লেখাপড়া চলত। এখন বাকি জীবন কীভাবে চলব, সেটা ভেবে দিশেহারা।’

গুলিবিদ্ধ সালেহ বলেন, ‘বুলেটের যন্ত্রণায় এখনো বিছানায় কাতরাচ্ছি। পেটে এখনো বুলেট আছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, অপারেশন করে গুলি বের করতে হবে। সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই। আমি সুস্থ হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আগের মতো বাঁচতে চাই।’

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম বলেন, ‘সালেহ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট সাবেক এমপি মো. আবু জাহিরের বাসা থেকে ছোড়া গুলি তাঁর পেটে বিদ্ধ হয়। তাঁকে চিকিৎসায় সহায়তা করায় সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে এবং অন্য আহতদের সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এখন তাঁর পরিবার এবং তাঁকে পুনর্বাসন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যাঁরা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে আমি দেখা করছি। সাধ্যমতো প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পারটেক্স এমডি রুবেল আজিজের ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

গণভবনকে বাস্তিল দুর্গের সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

১০০ গজ দূরেই ক্যাম্প, তবু সোহাগকে বাঁচাতে কেন এল না কেউ—যা বললেন আনসারপ্রধান

রাতের আঁধারে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত