জুলাই আন্দোলন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন সালেহ আহমেদ। শুরু থেকে আন্দোলনে তাঁর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতিটি হামলার সময় সামনে থেকে লড়েছেন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থ সম্পাদক সালেহ। দীর্ঘ লড়াইয়ে বড় কোনো আঘাত না পেলেও ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের ছোড়া গুলি পেটে বিদ্ধ হয় তাঁর। ওই দিন থেকে প্রায় এক মাস ছিলেন হাসপাতালের আইসিইউতে।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেও ভালো নেই জুলাই যোদ্ধা সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শরীর থেকে এখনো বুলেট বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এরই মধ্যে সংসারের অবলম্বন গবাদিপশু (গাভি) বিক্রি করে দিয়েছি। এই গাভির দুধ বিক্রি করে চলত সংসার ও দুই ছেলের লেখাপড়া। এখন সন্তানদের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই অবস্থায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’
সালেহ আহমেদের স্ত্রী হালিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বামী যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য। স্বামীকে নিয়ে আমি এখন যুদ্ধ করছি। অনেকে আমাকে সাহায্য করছেন। তাঁদের অবদান ভোলার মতো নয়। আমি বাড়িঘরের সব বিক্রি করে শেষ করেছি। সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন গাভিও বিক্রি করেছি। এ গাভির দুধ বিক্রি করে আমাদের সংসার এবং সন্তানদের লেখাপড়া চলত। এখন বাকি জীবন কীভাবে চলব, সেটা ভেবে দিশেহারা।’
গুলিবিদ্ধ সালেহ বলেন, ‘বুলেটের যন্ত্রণায় এখনো বিছানায় কাতরাচ্ছি। পেটে এখনো বুলেট আছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, অপারেশন করে গুলি বের করতে হবে। সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই। আমি সুস্থ হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আগের মতো বাঁচতে চাই।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম বলেন, ‘সালেহ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট সাবেক এমপি মো. আবু জাহিরের বাসা থেকে ছোড়া গুলি তাঁর পেটে বিদ্ধ হয়। তাঁকে চিকিৎসায় সহায়তা করায় সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে এবং অন্য আহতদের সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এখন তাঁর পরিবার এবং তাঁকে পুনর্বাসন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যাঁরা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে আমি দেখা করছি। সাধ্যমতো প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি।’
হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন সালেহ আহমেদ। শুরু থেকে আন্দোলনে তাঁর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতিটি হামলার সময় সামনে থেকে লড়েছেন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থ সম্পাদক সালেহ। দীর্ঘ লড়াইয়ে বড় কোনো আঘাত না পেলেও ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের ছোড়া গুলি পেটে বিদ্ধ হয় তাঁর। ওই দিন থেকে প্রায় এক মাস ছিলেন হাসপাতালের আইসিইউতে।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেও ভালো নেই জুলাই যোদ্ধা সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শরীর থেকে এখনো বুলেট বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এরই মধ্যে সংসারের অবলম্বন গবাদিপশু (গাভি) বিক্রি করে দিয়েছি। এই গাভির দুধ বিক্রি করে চলত সংসার ও দুই ছেলের লেখাপড়া। এখন সন্তানদের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই অবস্থায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’
সালেহ আহমেদের স্ত্রী হালিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বামী যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য। স্বামীকে নিয়ে আমি এখন যুদ্ধ করছি। অনেকে আমাকে সাহায্য করছেন। তাঁদের অবদান ভোলার মতো নয়। আমি বাড়িঘরের সব বিক্রি করে শেষ করেছি। সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন গাভিও বিক্রি করেছি। এ গাভির দুধ বিক্রি করে আমাদের সংসার এবং সন্তানদের লেখাপড়া চলত। এখন বাকি জীবন কীভাবে চলব, সেটা ভেবে দিশেহারা।’
গুলিবিদ্ধ সালেহ বলেন, ‘বুলেটের যন্ত্রণায় এখনো বিছানায় কাতরাচ্ছি। পেটে এখনো বুলেট আছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, অপারেশন করে গুলি বের করতে হবে। সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই। আমি সুস্থ হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আগের মতো বাঁচতে চাই।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম বলেন, ‘সালেহ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট সাবেক এমপি মো. আবু জাহিরের বাসা থেকে ছোড়া গুলি তাঁর পেটে বিদ্ধ হয়। তাঁকে চিকিৎসায় সহায়তা করায় সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে এবং অন্য আহতদের সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এখন তাঁর পরিবার এবং তাঁকে পুনর্বাসন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যাঁরা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে আমি দেখা করছি। সাধ্যমতো প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি।’
পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
১৭ মিনিট আগেতারা প্রতারকচক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুয়া রেজিস্ট্রারে বিয়ে দেন বলে অভিযোগ আছে। ফলে কাবিননামা দিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না অনেকে। এরা দুজন মোহনপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলেও ঘুরঘুর করেন আদালতপাড়ায়। বিয়ে করতে আসা তরুণ-তরুণীদের টার্গেট করে নিয়ে যান। শহরে শাওনের ব্যক্তিগত চেম্বারও আছে।
৩৬ মিনিট আগেগত ১১ জুলাই বিকেল চারটার দিকে চাঁদা আদায়ের সময় বাধা দিলে চালক দেলোয়ার হোসেন (৪৫), রাফিদ মিয়া (১৬) ও রাকিব সরকারকে (২৩) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত হন রাফিদ। দেলোয়ার হোসেনকে মারধরের পর তাঁর কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং জোরপূর্বক ইসলাম উদ্দিনের চালের গুদামে আটকে রাখা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিহতের স্বজনদের অভিযোগ, দুলাল ও তাঁর সহযোগীরা সাজিদকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন শেষে হত্যা করে পালিয়ে যান। তাঁকে পাঁচ দিন ধরে নির্যাতন করেছেন। তাঁকে বাঁচাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছিল। স্বজনদের কাছে টাকা না থাকায় দুলাল বাড়ির দলিল নিতে চেয়েছিল। গতকাল রোববার তাঁর বাড়িতে গেলেও সাজিদকে দেখতে...
১ ঘণ্টা আগে