প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার: সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনে অসহায় মৌলভীবাজারে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। এর মধ্যে করোনায় অতি উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলা সত্ত্বেও কারও মুখে নেই মাস্ক, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
আজ রোববার মৌলভীবাজার চৌমহনা পয়েন্টে দেখা যায় শতাধিক দিনমজুর কোদাল-টুকরি নিয়ে বসে আছেন কাজের সন্ধানে। কেউ যদি এসে নিয়ে যায় তখন মিলবে কাজ, আসবে টাকা। আর এই টাকা দিয়ে তাঁরা ক্রয় করবেন সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কাজ কম, মানুষ কাজে নিতে চান না ভয়ে। অনেকে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও কাজের সন্ধান না পেয়ে ফিরে যান বাড়ি। পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ না থাকায় অনেকেই বেকার দিন কাটাচ্ছেন। পরিচিতদের কাছ থেকে ঋণে টাকা এনে চালাচ্ছেন সংসার। আবার কেউ কেউ কোনো উপায় না পেয়ে সুদে টাকা আনতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে তাঁদের অভিযোগ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে তাঁরা কোনো সহযোগিতা পায়নি। তাঁদের অনেকের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হলেও দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন মৌলভীবাজার। মৌলভীবাজার জেলা করোনায় অতি উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও মাস্ক পরা এবং দূরত্ব বজায় রাখার নেই কোন প্রবণতা তাঁদের।
কথা হয় দিনমজুর ইলিয়াস মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, '৬ সদস্যের সংসার আমার। আমাদের সংসার চালাতে হয়, এ জন্য কাজ করি। করোনা ভয় পাইলে সংসার চালাব কি দিয়ে! প্রথম দিকে মাস্ক পড়তাম এখন আর পরি না। এর মধ্যে নাই কাজ। দুই দিন অপেক্ষা করে কাজ পাইছিলাম, চার শত টাকা রোজগার হয়ছিল। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। পাব কি না তারও ঠিক নাই। আমাদের এক একটা দিন অনেক কষ্টে যায়।'
দিনমজুর সাইদ মিয়া জানান, শহর এবং শহরের বাইরের মানুষজন এসে নানা ধরনের কাজের জন্য তাঁদের নিয়ে যান। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় জন্য আগের মতো তাঁদের নেন না বলে জানান তিনি।
কাজের সরঞ্জাম নিয়ে ৭/৮ জনের সঙ্গে থাকা আজম আলি জানান, কাজের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। বর্তমান আইন করার পর থেকে তাঁদের অর্ধেক লোককে বেকার থাকতে হয়। ভোর ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কাজ পাওয়া যায় না। খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের। পরবর্তীতে পেটের দায়ে ঋণ করে, সুদে টাকা এনে কোনো রকম দৈনন্দিন খরচ চালাচ্ছেন তাঁরা।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, 'লকডাউনে আমরা দফায় দফায় মানুষকে সহায়তা করেছি। কয়েক হাজার মানুষ এরই মধ্যে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ পেয়েছে। সবশেষ প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বেশ কিছু খাদ্যসহায়তা এসেছে, সেগুলোও আমরা বিতরণ করেছি। অধিক পরিমাণ মানুষকে সহায়তা করতে হচ্ছে, এ জন্য পর্যায়ক্রমে আমরা খাদ্য সহায়তা দিবো।'
মৌলভীবাজার: সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনে অসহায় মৌলভীবাজারে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। এর মধ্যে করোনায় অতি উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলা সত্ত্বেও কারও মুখে নেই মাস্ক, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
আজ রোববার মৌলভীবাজার চৌমহনা পয়েন্টে দেখা যায় শতাধিক দিনমজুর কোদাল-টুকরি নিয়ে বসে আছেন কাজের সন্ধানে। কেউ যদি এসে নিয়ে যায় তখন মিলবে কাজ, আসবে টাকা। আর এই টাকা দিয়ে তাঁরা ক্রয় করবেন সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কাজ কম, মানুষ কাজে নিতে চান না ভয়ে। অনেকে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও কাজের সন্ধান না পেয়ে ফিরে যান বাড়ি। পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ না থাকায় অনেকেই বেকার দিন কাটাচ্ছেন। পরিচিতদের কাছ থেকে ঋণে টাকা এনে চালাচ্ছেন সংসার। আবার কেউ কেউ কোনো উপায় না পেয়ে সুদে টাকা আনতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে তাঁদের অভিযোগ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে তাঁরা কোনো সহযোগিতা পায়নি। তাঁদের অনেকের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হলেও দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন মৌলভীবাজার। মৌলভীবাজার জেলা করোনায় অতি উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও মাস্ক পরা এবং দূরত্ব বজায় রাখার নেই কোন প্রবণতা তাঁদের।
কথা হয় দিনমজুর ইলিয়াস মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, '৬ সদস্যের সংসার আমার। আমাদের সংসার চালাতে হয়, এ জন্য কাজ করি। করোনা ভয় পাইলে সংসার চালাব কি দিয়ে! প্রথম দিকে মাস্ক পড়তাম এখন আর পরি না। এর মধ্যে নাই কাজ। দুই দিন অপেক্ষা করে কাজ পাইছিলাম, চার শত টাকা রোজগার হয়ছিল। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। পাব কি না তারও ঠিক নাই। আমাদের এক একটা দিন অনেক কষ্টে যায়।'
দিনমজুর সাইদ মিয়া জানান, শহর এবং শহরের বাইরের মানুষজন এসে নানা ধরনের কাজের জন্য তাঁদের নিয়ে যান। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় জন্য আগের মতো তাঁদের নেন না বলে জানান তিনি।
কাজের সরঞ্জাম নিয়ে ৭/৮ জনের সঙ্গে থাকা আজম আলি জানান, কাজের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। বর্তমান আইন করার পর থেকে তাঁদের অর্ধেক লোককে বেকার থাকতে হয়। ভোর ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কাজ পাওয়া যায় না। খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের। পরবর্তীতে পেটের দায়ে ঋণ করে, সুদে টাকা এনে কোনো রকম দৈনন্দিন খরচ চালাচ্ছেন তাঁরা।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, 'লকডাউনে আমরা দফায় দফায় মানুষকে সহায়তা করেছি। কয়েক হাজার মানুষ এরই মধ্যে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ পেয়েছে। সবশেষ প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বেশ কিছু খাদ্যসহায়তা এসেছে, সেগুলোও আমরা বিতরণ করেছি। অধিক পরিমাণ মানুষকে সহায়তা করতে হচ্ছে, এ জন্য পর্যায়ক্রমে আমরা খাদ্য সহায়তা দিবো।'
বিগত রমজান মাসের কোনো এক দিন ওই স্কুলছাত্রী টিউবওয়েল পারে গোসল করেন। এ সময় ওই দৃশ্য রায়হান রহমান তার মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে। পরে সুযোগ বুঝে রায়হান একদিন রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পড়ার ঘরের জানালার কাছে এসে ভিডিওটি তাকে দেখায় এবং তার সাথে শারীরিক সর্ম্পকের প্রস্তাব দেয়।
৫ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেইট এলাকায় পৌঁছালে রেলগেইটের সামনে যানজটে আটকে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
৩১ মিনিট আগেপিরোজপুরে উদ্বেগজনক হারে বিড়াল ও কুকুরে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু জেলা হাসপাতালে ছয় মাস ধরে জলাতঙ্ক টিকার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। টিকা চেয়ে কয়েকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানানো হলেও কোনো ফল মেলেনি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৫ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে রাজশাহী শহর থেকে স্ত্রী, দুই সন্তানসহ ৮ জুন কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছিলেন চাকরিজীবী শাহীনুর রহমান (৫৫)। দুপুরে ছেলে সিফাত রহমানকে (২০) নিয়ে সমুদ্রসৈকতের কলাতলীর সায়মন বিচে গোসলে নামেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে