Ajker Patrika

অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ, আটক ২ বৃদ্ধ

প্রতিনিধি, বিশ্বনাথ (সিলেট) 
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২১, ২২: ০৬
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ, আটক ২ বৃদ্ধ

সিলেটের বিশ্বনাথে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই বৃদ্ধকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই নারী। 

জানা যায়, নিহত নারী বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। বাবা দরিদ্র হওয়ায় তিনি লামাকাজি বাজারের নৈশপ্রহরী মির্জারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কমলা মিয়ার বাসায় বেশ কিছুদিন গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছেন। এর সুবাদে কমলা মিয়া তাঁর সত্তরোর্ধ্ব বেয়াই উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের রইছ আলীর সঙ্গে তাঁকে বিয়ে দেওয়ার ফন্দি আঁটেন। নানা প্রলোভন দেখিয়ে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ রইছ আলীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। 

বিয়ের চার দিনের মাথায় রইছ আলী জানতে পারেন, তাঁর নব-বিবাহিতা স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে দুই বেয়াই মিলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করান তাঁর। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রইছ আলী স্ত্রীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তাঁকে বাবার বাড়িতে রেখে যান দুই বেয়াই। এরপর ওই নারীর শারীরিক অবস্থা আরও নাজুক হয়ে যায়। পরে গত ২০ আগস্ট শুক্রবার তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় ফের হাসপাতালে পাঠান তাঁর বাবা। ওই দিন রাতেই কমলা মিয়া ও তাঁর বেয়াই রইছ আলীকে গ্রেপ্তার করে থানা–পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

নিহত নারীর বাবা জানান, মেয়েকে বাড়িতে রেখে চাকরি সূত্রে তিনি সিলেট শাহপরাণ এলাকায় থাকেন। আর এই সুযোগে তাঁর অজান্তেই মেয়েকে কমলা মিয়ার সঙ্গে অবৈধভাবে বিয়ে দেন রইছ আলী। বাড়ির একজন মহিলা গত শুক্রবার সন্ধ্যারাতে স্থানীয়দের সূত্রে তিনি খবর পান তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখেন তাঁর মেয়ে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। তিনি তৎক্ষণাৎ স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবুল কালামকে খবর দেন। রাত ১০টার দিকে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের বাবা। 

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবুল কালাম জানান, নিহতের বাবা ও তিনি মামলা দায়ের করতে বিশ্বনাথ থানায় যান। এই সুযোগে একজন অজ্ঞাতনামা নারী অভিভাবক পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ নিয়ে লামাকাজীর দিকে যান। পথিমধ্যে মদিনা মার্কেট এলাকায় ওই অজ্ঞাতনামা নারী অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে যান। এরপর রাত ১২টার দিকে নিহতের বাবা ও মেম্বার হঠাৎ খবর পান, লামাকাজীতে একজন নারীর লাশ নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স অনেকক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করছে। পরে সেটি স্থানীয় জনতা আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে নিহতের বাবা ও তিনি লামাকাজীতে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। 

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: নান্দাইলে সাবেক এমপি-মন্ত্রীকন্যার বিরুদ্ধে মামলা

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত