সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে প্লাবিত প্রায় সব এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাবে।
সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেছেন, ‘সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর খুব একটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। ৪-৫ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে যাবে।’
বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু ঘরে ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। কেননা গত কয়েক দিন ধরে জমে থাকা বন্যার পানি আর ময়লা-আবর্জনা মিলেমিশে চারপাশে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সিলেট নগরীতে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গন্ধ।
নগরীর ছড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা শিবলু মিয়া বলেন, ‘বাসা থেকে বন্যার নোংরা পানি নেমে গেছে। কিন্তু পুরো বাসা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে আছে। তাই ব্লিচিং পাউডার দিয়ে এখন নিজেদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করছি। আসবাবপত্র ধোয়ামোছার কাজও চলছে।’
নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার বাসিন্দা সিতারা বেগম বলেন, ‘সারা এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ। কোথাও একটু দাঁড়িয়ে নিশ্বাস নিয়েও শান্তি পাচ্ছি না।’
পাউবো সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১৩.৫৭ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে দুপুর ১২টায় পানি ছিল ১৩.৪৬ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১২.৭৫ সেন্টিমিটার। সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি সকাল ৬টায় ছিল ১০.৯৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১০.৯১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১০.৮০ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬.৭৪ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৬.৭২ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৫.৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৫৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১৩.৫১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৩.০৫ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৯.৯৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ৮.০০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ৮.৫৫ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট সকাল ৬টায় পানি ছিল ৯.৮৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ৯.৯৪ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ৯.৪৫ সেন্টিমিটার।
এদিকে বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। ত্রাণ নিয়েও হাহাকার দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়। এখন পর্যন্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে। এর মধ্যে শনিবার কোম্পানীগঞ্জে ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। বোরোর পর তলিয়ে গেছে আউশ ধানের বীজতলা। এছাড়া ভেসে গেছে হাজারো খামারের মাছ। পাশাপাশি বন্যায় বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহারিয়ার বলেছেন, ‘সিলেটে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এরই মধ্যে শতাধিক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি। চর্মরোগও বাড়ছে। পানি কমলে রোগবালাই আরও বাড়তে পারে। পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এ জন্য আমরা এরই মধ্যে ১৪০টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার্তদের সেবায় কাজ করছে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেন, ‘ত্রাণের কোনো সংকট নেই আমাদের। শনিবার পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে ৩২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা ও সাড়ে ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনো আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া হবে।’
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে প্লাবিত প্রায় সব এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাবে।
সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেছেন, ‘সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর খুব একটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। ৪-৫ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে যাবে।’
বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু ঘরে ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। কেননা গত কয়েক দিন ধরে জমে থাকা বন্যার পানি আর ময়লা-আবর্জনা মিলেমিশে চারপাশে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সিলেট নগরীতে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গন্ধ।
নগরীর ছড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা শিবলু মিয়া বলেন, ‘বাসা থেকে বন্যার নোংরা পানি নেমে গেছে। কিন্তু পুরো বাসা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে আছে। তাই ব্লিচিং পাউডার দিয়ে এখন নিজেদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করছি। আসবাবপত্র ধোয়ামোছার কাজও চলছে।’
নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার বাসিন্দা সিতারা বেগম বলেন, ‘সারা এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ। কোথাও একটু দাঁড়িয়ে নিশ্বাস নিয়েও শান্তি পাচ্ছি না।’
পাউবো সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১৩.৫৭ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে দুপুর ১২টায় পানি ছিল ১৩.৪৬ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১২.৭৫ সেন্টিমিটার। সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি সকাল ৬টায় ছিল ১০.৯৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১০.৯১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১০.৮০ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬.৭৪ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৬.৭২ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৫.৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৫৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১৩.৫১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৩.০৫ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৯.৯৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ৮.০০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ৮.৫৫ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট সকাল ৬টায় পানি ছিল ৯.৮৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ৯.৯৪ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ৯.৪৫ সেন্টিমিটার।
এদিকে বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। ত্রাণ নিয়েও হাহাকার দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়। এখন পর্যন্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে। এর মধ্যে শনিবার কোম্পানীগঞ্জে ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। বোরোর পর তলিয়ে গেছে আউশ ধানের বীজতলা। এছাড়া ভেসে গেছে হাজারো খামারের মাছ। পাশাপাশি বন্যায় বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহারিয়ার বলেছেন, ‘সিলেটে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এরই মধ্যে শতাধিক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি। চর্মরোগও বাড়ছে। পানি কমলে রোগবালাই আরও বাড়তে পারে। পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এ জন্য আমরা এরই মধ্যে ১৪০টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার্তদের সেবায় কাজ করছে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেন, ‘ত্রাণের কোনো সংকট নেই আমাদের। শনিবার পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে ৩২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা ও সাড়ে ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনো আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেও আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। মনোবল হারানো পুলিশ বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে মাথাচাড়া দেওয়া অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। মানুষের মনে বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছে ‘মব’।
১ ঘণ্টা আগেআট বছর হয়ে যাচ্ছে, এখনো বরিশাল জেলা ও মহানগর যুবদল ভারমুক্ত হতে পারেনি। এর মধ্যে কারও বালুমহাল-কাণ্ডে পদ স্থগিত, কেউ কেউ নিষ্ক্রিয়, এমনকি শীর্ষ পদের কেউ মারাও গেছেন। ২০১৭ সাল থেকে এভাবেই চলছে যুবদল। এই পরিস্থিতিতে নতুন কমিটি দেওয়ার আলোচনায় পুরোনোরাই প্রাধান্য পাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে....
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) কর্মী নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ এলসিএসের (লোকাল কমিউনিটি সার্ভিস) নারী কর্মী, স্থানীয় ঠিকাদারসহ অনেকে।
২ ঘণ্টা আগেআলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
২ ঘণ্টা আগে