Ajker Patrika

বড়লেখায় ছড়া ভাঙনে চলাচলে দুর্ভোগ, দ্রুত সংস্কারের দাবি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ছড়ার পাড় ভেঙে চলাচলের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছড়ার পাড় ভেঙে চলাচলের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পানিধার এলাকায় নিকড়ী ছড়ার পাড় ভেঙে চলাচলের রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত ছড়ার ভাঙন রোধ ও সংস্কারের দাবিতে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আবেদনপত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড়লেখা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নিকড়ী ছড়া মিশেছে হাকালুকি হাওরের সঙ্গে। বহু বছর ধরে ছড়ার এক পাড়কে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছে পানিধার গ্রামের মানুষ।

একসময় নিকড়ী ছড়া ছিল প্রশস্ত ও গভীর। উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামলে তার পানি দ্রুত নামত। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ছড়ার জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। কোথাও কোথাও ছড়া ভরাট করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ছড়া খনন না হওয়ায় পানি ধারণক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ছড়া উপচে আশপাশের ঘরবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে পড়ছে। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে ছড়ার পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে পড়ে এবং একটি এতিমখানার শিশুদের চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহরিয়ার ফাহিম ও সুমন আহমদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা ছড়ার পাড় দিয়ে যাতায়াত করি। আগে ছড়াটি বড় থাকায় পানি সহজেই নেমে যেত। এখন দখল-ভরাটের কারণে তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় ছড়ার এক পাড় ভেঙে পড়ায় আমাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। দ্রুত মেরামত না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

জানা গেছে, ছড়ার ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়রা বাঁশের বেড়া দিলেও তা কাজে আসেনি। পানিধার গ্রামের মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর বাড়ির পাশে ছড়ার পাড় ভেঙে পড়ায় তাঁর টিনের সীমানাপ্রাচীরও ঝুঁকিতে রয়েছে।

বড়লেখা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বুধবার বিকেলে বলেন, ‘এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পৌরসভার মাসিক সভায় আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত