Ajker Patrika

সুনামগঞ্জে নীতিমালা ভেঙে শিক্ষকতার পাশাপাশি কাজির দায়িত্বে তিনজন

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
অভিযুক্ত তিন শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত তিন শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় সরকারনির্ধারিত নীতিমালা লঙ্ঘন করে অন্তত তিনজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

‘এমপিও নীতিমালা ২০২১’-এর ১১.১৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক আর্থিক লাভজনক অন্য কোনো পদে নিযুক্ত থাকতে পারবেন না। এ নিয়ম উপেক্ষা করে এসব শিক্ষক একই সঙ্গে দুই পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার শামছুল হক সিদ্দিকী ও মধ্যনগর ইউনিয়নের ইদ্রিস আজাদ—দুজনই বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। শামছুল হক প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্ট এবং ইদ্রিস আজাদ সহকারী শিক্ষক। অভিযোগ রয়েছে, ইদ্রিস আজাদ ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে কাজির লাইসেন্স নেন। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা জেলায় হলেও তিনি ২০২১ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা পরিবর্তন করেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এক প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করায় শ্রেণি কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। তাঁদের দাবি, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হোক।

এ ছাড়া, চামরদানী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. শফিকুল ইসলামও একই ইউনিয়নের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়ম জানতাম, এর পরও দুই দায়িত্ব পালন করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার শামছুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ৩২ বছর ধরে দুই দায়িত্ব পালন করছি। মাদ্রাসা খোলা থাকলে আমার ভাই রেজিস্ট্রি করেন।’

অন্যদিকে ইদ্রিস আজাদ জানান, ২০১৩ সালে কাজির লাইসেন্স পান এবং ২০২১ সালে পরিচয়পত্রে ঠিকানা বদলে মধ্যনগরের স্থায়ী বাসিন্দা হন।

সুনামগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ আহমেদ বলেন, ‘এটি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমি প্রথমবার শুনলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত