শাকিলা ববি, সিলেট
সিলেটের রাতারগুল জলার বনের নাম কে না জানেন! এই রাতারগুলের বাসিন্দা সোনা মিয়া। পর্যটনকেন্দ্র হওয়ার আগে তাঁর জীবন ছিল অন্যরকম। লাকড়ি কুড়ানো, কৃষিকাজ, মাছ ধরেই চলত তাঁর জীবন। কিন্তু যখনই রাতারগুলে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেল, তখন এর প্রভাব পড়তে শুরু করল সোনা মিয়ার জীবনে।
বনের ভেতর নৌকা দিয়ে পর্যটকদের ঘোরানো, খাবার ব্যবস্থা করাসহ নানা কাজের ব্যবস্থা হয়ে গেল সোনা মিয়ার। চার বছরের মধ্যে সোনা মিয়ার মাটির ঘর হয়ে গেল পাকা। ঘরে বাহারি আসবাব, ছেলেকে কিনে দিয়েছেন মোটরসাইকেল। এসব কোনো কিছুই কিন্তু দুর্নীতি করে নয়; করেছেন পর্যটকদের সেবা দিয়ে, নিজে কঠোর পরিশ্রম করে।
সোনা মিয়ার মতো ওই এলাকার শতাধিক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে রাতারগুল। শুধু কি রাতারগুল? জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, মায়াবী ঝরনা, লালা খালসহ আশপাশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে এসব পর্যটনকেন্দ্র।
প্রকৃতিকন্যা সিলেটের কোথাও পাহাড়, কোথাও সমতল ভূমি, থাও জল-পাথরের খেলা, কোথাও বিস্তীর্ণ হাওর, কোথাও চোখ জুড়ানো ঝরনা। সব ঋতুতেই এখানে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। সবুজ চা-বাগান, হিজল-করচ বন, জলাভূমি-বনভূমির এমন অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা মেলে শুধু সিলেটে। ঐতিহ্যের নগরী সিলেটকে সমৃদ্ধ করেছে পর্যটন।
জাফলং, রাতারগুল, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, মায়াবী ঝরনা, লালাখাল, বিভিন্ন চা-বাগান, শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার, কিনব্রিজ, আলী আমজদের ঘড়িঘরসহ সিলেটের বেশির ভাগ পর্যটন খাত প্রকৃতির সৃষ্টি। যার ফলে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে সিলেটে। এই করোনাকালে যখন পর্যটনস্পটগুলো বন্ধ ছিল, তখনো এসব স্থানে ভিড় করেছেন পর্যটকেরা।
পর্যটনশিল্প বিকাশের কারণে ওই সব অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় বিনিয়োগে ঝুঁকি অনেক কম।
ইতিমধ্যে সিলেটের পর্যটনশিল্পের বিকাশে সামান্য পরিমাণে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই শিল্পে সরকারের পাশাপাশি এই ব্যাপক বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। পর্যটন এলাকাগুলোয় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রয়োজন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখা ও পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা।
এ ব্যাপারে দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এটিএম সুয়েব বলেন, সিলেটের পর্যটন খাত হচ্ছে চলমান মার্কেট। এখানে বিনিয়োগে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক কম। ইতিমধ্যে সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোর মানুষজনের জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে। তবে এই পর্যটনস্থানগুলোকে আরও মানসম্মত করা দরকার।
এ টি এম সুয়েব আরও বলেন, ‘পর্যটন স্পটগুলোয় সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, চেঞ্জিং রুম দরকার। যাতায়াতব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার। পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। করোনা পর্যটনখাতে ধস নামিয়ে দিয়ে গেছে। আমাদের হিসাবমতে, পর্যটন খাতে প্রতিদিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
সিলেটের রাতারগুল জলার বনের নাম কে না জানেন! এই রাতারগুলের বাসিন্দা সোনা মিয়া। পর্যটনকেন্দ্র হওয়ার আগে তাঁর জীবন ছিল অন্যরকম। লাকড়ি কুড়ানো, কৃষিকাজ, মাছ ধরেই চলত তাঁর জীবন। কিন্তু যখনই রাতারগুলে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেল, তখন এর প্রভাব পড়তে শুরু করল সোনা মিয়ার জীবনে।
বনের ভেতর নৌকা দিয়ে পর্যটকদের ঘোরানো, খাবার ব্যবস্থা করাসহ নানা কাজের ব্যবস্থা হয়ে গেল সোনা মিয়ার। চার বছরের মধ্যে সোনা মিয়ার মাটির ঘর হয়ে গেল পাকা। ঘরে বাহারি আসবাব, ছেলেকে কিনে দিয়েছেন মোটরসাইকেল। এসব কোনো কিছুই কিন্তু দুর্নীতি করে নয়; করেছেন পর্যটকদের সেবা দিয়ে, নিজে কঠোর পরিশ্রম করে।
সোনা মিয়ার মতো ওই এলাকার শতাধিক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে রাতারগুল। শুধু কি রাতারগুল? জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, মায়াবী ঝরনা, লালা খালসহ আশপাশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে এসব পর্যটনকেন্দ্র।
প্রকৃতিকন্যা সিলেটের কোথাও পাহাড়, কোথাও সমতল ভূমি, থাও জল-পাথরের খেলা, কোথাও বিস্তীর্ণ হাওর, কোথাও চোখ জুড়ানো ঝরনা। সব ঋতুতেই এখানে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। সবুজ চা-বাগান, হিজল-করচ বন, জলাভূমি-বনভূমির এমন অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা মেলে শুধু সিলেটে। ঐতিহ্যের নগরী সিলেটকে সমৃদ্ধ করেছে পর্যটন।
জাফলং, রাতারগুল, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, মায়াবী ঝরনা, লালাখাল, বিভিন্ন চা-বাগান, শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার, কিনব্রিজ, আলী আমজদের ঘড়িঘরসহ সিলেটের বেশির ভাগ পর্যটন খাত প্রকৃতির সৃষ্টি। যার ফলে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে সিলেটে। এই করোনাকালে যখন পর্যটনস্পটগুলো বন্ধ ছিল, তখনো এসব স্থানে ভিড় করেছেন পর্যটকেরা।
পর্যটনশিল্প বিকাশের কারণে ওই সব অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় বিনিয়োগে ঝুঁকি অনেক কম।
ইতিমধ্যে সিলেটের পর্যটনশিল্পের বিকাশে সামান্য পরিমাণে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই শিল্পে সরকারের পাশাপাশি এই ব্যাপক বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। পর্যটন এলাকাগুলোয় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রয়োজন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখা ও পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা।
এ ব্যাপারে দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এটিএম সুয়েব বলেন, সিলেটের পর্যটন খাত হচ্ছে চলমান মার্কেট। এখানে বিনিয়োগে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক কম। ইতিমধ্যে সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোর মানুষজনের জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে। তবে এই পর্যটনস্থানগুলোকে আরও মানসম্মত করা দরকার।
এ টি এম সুয়েব আরও বলেন, ‘পর্যটন স্পটগুলোয় সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, চেঞ্জিং রুম দরকার। যাতায়াতব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার। পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। করোনা পর্যটনখাতে ধস নামিয়ে দিয়ে গেছে। আমাদের হিসাবমতে, পর্যটন খাতে প্রতিদিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টরচাপায় পিষ্ট হয়ে মিতু (১৩) নামের এক কিশোরী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট বাইপাস সড়কের নন্দনপুর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিতু জেলার সরাইল উপজেলার সদরের কাঁচারিপাড় এলাকার মজনু মিয়ার একমাত্র মেয়ে। সে সরাইল একাডেমির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
১১ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরে নেশাগ্রস্ত ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের উত্তর শালিকা গ্রামের পাগুখার মোড় (লক্ষণ ঘাট) রিফুজি বাড়ি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ মিনিট আগেরাজধানীর ডেমরায় মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা (৩৪) নামের সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর ডেমরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেবরিশালের উজিরপুরে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তির অবস্থায় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা মাইনুল ইসলামকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।
২৯ মিনিট আগে