নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
কিছু রোহিঙ্গাকে সরকার অন্য দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরের ধোপাদিঘিরপাড়ার হাফিজ কমপ্লেক্সে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ক-দিন পরে পরে আমাদের দেশে আসে। সত্তর দশকে আসছে, আশির দশকে, নব্বইয়ের দশকে আসছে। পরবর্তীতে মিয়ানমার সরকার তাদের নিয়েও গেছে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে। এবারে সংখ্যাটা অনেক বেশি। একেবারে ১১ লাখ। তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কখনোই বলে নাই, এদেরকে নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দেবে। তারা বলছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যাতে স্বেচ্ছায় যেতে চায়, যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করো। বলছে, করব। সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু পাঁচ বছর পার হয়েছে, এখনো পর্যন্ত একটাও লোক নেয় নাই। একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায় নাই। ওদের (মিয়ানমার) আন্তরিকতার অভাব। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে, দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক...আমরা এমনকি কোর্টেও গেছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এটা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব না। বিশ্ব মোড়লদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলেছি, আপনারা একটা কাজ করেন, রাখাইনে যেখানে রোহিঙ্গারা ছিল, সেখানে আপনারা নিরাপদ জোন তৈরি করুন। আপনারা চাইলে পারবেন। কিন্তু উনারা মুখে বলে, কিন্তু সেই ধরনের আন্তরিকতার কিছুটা ঘাটতি আছে। তবে আমি সব সময় আশাবাদী যে, তারা তাদের দেশে ফেরত যাবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়েছি। সব যদি নাও যেতে পারে, কিছু লোককে অন্য দেশে (পাঠানো)। আমাদের দেশ খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, প্রতি বর্গ মাইলে প্রায় ২৯শ লোক থাকে। আর আমেরিকায় মাত্র ৪০ জন থাকে। ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন লোক থাকে। ওদের দেশটা অনেক বড়। পৃথিবীটা আল্লাহর তৈরি, সব মানুষের অধিকার আছে বাঁচার। তাই আমরা উনাদেরকে বলেছি, আপনারা কিছু লোক নিয়ে যান। কিছু লোক নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এগুলো সমুদ্রের মধ্যে বিন্দুর মতো।’
মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার শুরু করেছে, এর সমাধানও তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল।’
সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোও সাহায্য করছে, তবে সবচেয়ে বেশি করছে বাংলাদেশ। তারপরও কিছু লোক সমালোচনা করে। তাদের নিজেদের কিছু করার মুরোদ নাই, কিন্তু খুঁত বের করায় ওস্তাদ।’
এ সময় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখসহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য একটা অভিশাপ। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র্যসীমার হার ৩ শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে।’
কিছু রোহিঙ্গাকে সরকার অন্য দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরের ধোপাদিঘিরপাড়ার হাফিজ কমপ্লেক্সে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ক-দিন পরে পরে আমাদের দেশে আসে। সত্তর দশকে আসছে, আশির দশকে, নব্বইয়ের দশকে আসছে। পরবর্তীতে মিয়ানমার সরকার তাদের নিয়েও গেছে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে। এবারে সংখ্যাটা অনেক বেশি। একেবারে ১১ লাখ। তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কখনোই বলে নাই, এদেরকে নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দেবে। তারা বলছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যাতে স্বেচ্ছায় যেতে চায়, যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করো। বলছে, করব। সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু পাঁচ বছর পার হয়েছে, এখনো পর্যন্ত একটাও লোক নেয় নাই। একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায় নাই। ওদের (মিয়ানমার) আন্তরিকতার অভাব। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে, দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক...আমরা এমনকি কোর্টেও গেছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এটা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব না। বিশ্ব মোড়লদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলেছি, আপনারা একটা কাজ করেন, রাখাইনে যেখানে রোহিঙ্গারা ছিল, সেখানে আপনারা নিরাপদ জোন তৈরি করুন। আপনারা চাইলে পারবেন। কিন্তু উনারা মুখে বলে, কিন্তু সেই ধরনের আন্তরিকতার কিছুটা ঘাটতি আছে। তবে আমি সব সময় আশাবাদী যে, তারা তাদের দেশে ফেরত যাবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়েছি। সব যদি নাও যেতে পারে, কিছু লোককে অন্য দেশে (পাঠানো)। আমাদের দেশ খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, প্রতি বর্গ মাইলে প্রায় ২৯শ লোক থাকে। আর আমেরিকায় মাত্র ৪০ জন থাকে। ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন লোক থাকে। ওদের দেশটা অনেক বড়। পৃথিবীটা আল্লাহর তৈরি, সব মানুষের অধিকার আছে বাঁচার। তাই আমরা উনাদেরকে বলেছি, আপনারা কিছু লোক নিয়ে যান। কিছু লোক নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এগুলো সমুদ্রের মধ্যে বিন্দুর মতো।’
মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার শুরু করেছে, এর সমাধানও তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল।’
সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোও সাহায্য করছে, তবে সবচেয়ে বেশি করছে বাংলাদেশ। তারপরও কিছু লোক সমালোচনা করে। তাদের নিজেদের কিছু করার মুরোদ নাই, কিন্তু খুঁত বের করায় ওস্তাদ।’
এ সময় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখসহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য একটা অভিশাপ। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র্যসীমার হার ৩ শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে।’
শাকিব খানের আলোচিত তাণ্ডব সিনেমার শো চলার সময় ময়মনসিংহ সদরের ছায়াবাণী হলে ভাঙচুর ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেলের এ ঘটনা ঘটে। কারিগরি ত্রুটিতে শো বিঘ্নিত হলে উত্তেজিত দর্শকরা এ কাণ্ড ঘটায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর আবার শো চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৯ ঘণ্টা আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগে