মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, (মৌলভীবাজার)

উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফুলতলা চা-বাগান মালিকপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও পরিচালনার খরচ বহন করতে না পেরে বাগানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সিলেটের কালাগুল, ছড়াগাঙ্গ ও বরজান চা-বাগান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাংকঋণের জন্য আবেদন করেও তা পাচ্ছেন না এসব বাগানমালিক।
মালিকেরা জানান, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশির ভাগ বাগান ভর্তুকি দিয়ে পরিচালনা করতে হচ্ছে। অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে। চা শিল্প রক্ষার জন্য সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন। আমরা ব্যাংকে ঋণ না পেলে কীভাবে বাগান চালাব। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।’
চা বোর্ড সূত্র জানায়, দেশে ১৬৮টি চা-বাগানে ২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল। চলতি বছরে দেশের সব চা-বাগান নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।
মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি বাগানে আমাদের মজুরি বকেয়া রয়েছে। বাগানের যে অবস্থা, সবাই বলছে বন্ধ করে দেবে। আমরা আমাদের বকেয়া মজুরি চাই, একই সঙ্গে বাগানমালিকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, ‘নতুন বছরে কয়েকটি বাগানে চা উৎপাদন শুরু হলেও বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে; যা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।
বেশির ভাগ বাগানে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানমালিকেরা সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেক দেশে চা উৎপাদন আমাদের চেয়ে কম, তবু তারা কম দামে চা পাচ্ছে। আর আমরা কম দামে বিক্রি করে বেশি দামে কিনে খাচ্ছি।’

চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘চা শিল্প আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে চা উৎপাদন খরচ ও বিক্রি নিয়ে মৌখিক আলোচনা করলেও কাগজেকলমে কোনো কিছু বলছে না। চা উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, আর নিলামে বিক্রি হয় কম। ন্যূনতম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি করা হলে চা শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
শমশেরনগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হুসেন বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বেড়েছে, তবে চায়ের কোয়ালিটি আগের মতোই। এ জন্য চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
সরকারি মালিকানাধীন এনটিসি চা-বাগানের ধলাই ভ্যালির ডিজিএম শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, ‘শুনেছি, কয়েকটি চা-বাগান বন্ধ রয়েছে। মজুরি দিতে পারছেন না বাগানমালিকেরা। আমাদের ও শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি রয়েছে।’

শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের মালিক ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসীন মিয়া মধু বলেন, ‘চা শিল্প এখন আগের মতো নেই। এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা খুব বেশি প্রয়োজন। আমরা ভালো চা তৈরি করছি, তবে দাম পাচ্ছি না। বড় একটা সিন্ডিকেট চায়ের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চা কম দামে বিক্রি হলেও বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজও সভা হয়েছে। কিছু বাগানমালিক কৃষি ব্যাংক থেকে লোন চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব।’
মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি কারণে চা শিল্পের মালিকদের লোকসানে পড়তে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে চা শিল্পে যখন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তখন থেকে বেশ কিছু বাগান এই মজুরি দিতে সক্ষম ছিল না। এ ছাড়া উৎপাদন মূল্যের চেয়ে নিলামে বিক্রি মূল কম হওয়া, বাগানমালিকদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে কিছু বিষয় বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’

উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফুলতলা চা-বাগান মালিকপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও পরিচালনার খরচ বহন করতে না পেরে বাগানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সিলেটের কালাগুল, ছড়াগাঙ্গ ও বরজান চা-বাগান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাংকঋণের জন্য আবেদন করেও তা পাচ্ছেন না এসব বাগানমালিক।
মালিকেরা জানান, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশির ভাগ বাগান ভর্তুকি দিয়ে পরিচালনা করতে হচ্ছে। অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে। চা শিল্প রক্ষার জন্য সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন। আমরা ব্যাংকে ঋণ না পেলে কীভাবে বাগান চালাব। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।’
চা বোর্ড সূত্র জানায়, দেশে ১৬৮টি চা-বাগানে ২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল। চলতি বছরে দেশের সব চা-বাগান নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।
মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি বাগানে আমাদের মজুরি বকেয়া রয়েছে। বাগানের যে অবস্থা, সবাই বলছে বন্ধ করে দেবে। আমরা আমাদের বকেয়া মজুরি চাই, একই সঙ্গে বাগানমালিকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, ‘নতুন বছরে কয়েকটি বাগানে চা উৎপাদন শুরু হলেও বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে; যা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।
বেশির ভাগ বাগানে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানমালিকেরা সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেক দেশে চা উৎপাদন আমাদের চেয়ে কম, তবু তারা কম দামে চা পাচ্ছে। আর আমরা কম দামে বিক্রি করে বেশি দামে কিনে খাচ্ছি।’

চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘চা শিল্প আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে চা উৎপাদন খরচ ও বিক্রি নিয়ে মৌখিক আলোচনা করলেও কাগজেকলমে কোনো কিছু বলছে না। চা উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, আর নিলামে বিক্রি হয় কম। ন্যূনতম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি করা হলে চা শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
শমশেরনগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হুসেন বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বেড়েছে, তবে চায়ের কোয়ালিটি আগের মতোই। এ জন্য চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
সরকারি মালিকানাধীন এনটিসি চা-বাগানের ধলাই ভ্যালির ডিজিএম শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, ‘শুনেছি, কয়েকটি চা-বাগান বন্ধ রয়েছে। মজুরি দিতে পারছেন না বাগানমালিকেরা। আমাদের ও শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি রয়েছে।’

শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের মালিক ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসীন মিয়া মধু বলেন, ‘চা শিল্প এখন আগের মতো নেই। এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা খুব বেশি প্রয়োজন। আমরা ভালো চা তৈরি করছি, তবে দাম পাচ্ছি না। বড় একটা সিন্ডিকেট চায়ের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চা কম দামে বিক্রি হলেও বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজও সভা হয়েছে। কিছু বাগানমালিক কৃষি ব্যাংক থেকে লোন চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব।’
মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি কারণে চা শিল্পের মালিকদের লোকসানে পড়তে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে চা শিল্পে যখন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তখন থেকে বেশ কিছু বাগান এই মজুরি দিতে সক্ষম ছিল না। এ ছাড়া উৎপাদন মূল্যের চেয়ে নিলামে বিক্রি মূল কম হওয়া, বাগানমালিকদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে কিছু বিষয় বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’
মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, (মৌলভীবাজার)

উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফুলতলা চা-বাগান মালিকপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও পরিচালনার খরচ বহন করতে না পেরে বাগানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সিলেটের কালাগুল, ছড়াগাঙ্গ ও বরজান চা-বাগান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাংকঋণের জন্য আবেদন করেও তা পাচ্ছেন না এসব বাগানমালিক।
মালিকেরা জানান, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশির ভাগ বাগান ভর্তুকি দিয়ে পরিচালনা করতে হচ্ছে। অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে। চা শিল্প রক্ষার জন্য সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন। আমরা ব্যাংকে ঋণ না পেলে কীভাবে বাগান চালাব। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।’
চা বোর্ড সূত্র জানায়, দেশে ১৬৮টি চা-বাগানে ২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল। চলতি বছরে দেশের সব চা-বাগান নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।
মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি বাগানে আমাদের মজুরি বকেয়া রয়েছে। বাগানের যে অবস্থা, সবাই বলছে বন্ধ করে দেবে। আমরা আমাদের বকেয়া মজুরি চাই, একই সঙ্গে বাগানমালিকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, ‘নতুন বছরে কয়েকটি বাগানে চা উৎপাদন শুরু হলেও বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে; যা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।
বেশির ভাগ বাগানে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানমালিকেরা সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেক দেশে চা উৎপাদন আমাদের চেয়ে কম, তবু তারা কম দামে চা পাচ্ছে। আর আমরা কম দামে বিক্রি করে বেশি দামে কিনে খাচ্ছি।’

চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘চা শিল্প আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে চা উৎপাদন খরচ ও বিক্রি নিয়ে মৌখিক আলোচনা করলেও কাগজেকলমে কোনো কিছু বলছে না। চা উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, আর নিলামে বিক্রি হয় কম। ন্যূনতম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি করা হলে চা শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
শমশেরনগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হুসেন বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বেড়েছে, তবে চায়ের কোয়ালিটি আগের মতোই। এ জন্য চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
সরকারি মালিকানাধীন এনটিসি চা-বাগানের ধলাই ভ্যালির ডিজিএম শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, ‘শুনেছি, কয়েকটি চা-বাগান বন্ধ রয়েছে। মজুরি দিতে পারছেন না বাগানমালিকেরা। আমাদের ও শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি রয়েছে।’

শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের মালিক ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসীন মিয়া মধু বলেন, ‘চা শিল্প এখন আগের মতো নেই। এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা খুব বেশি প্রয়োজন। আমরা ভালো চা তৈরি করছি, তবে দাম পাচ্ছি না। বড় একটা সিন্ডিকেট চায়ের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চা কম দামে বিক্রি হলেও বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজও সভা হয়েছে। কিছু বাগানমালিক কৃষি ব্যাংক থেকে লোন চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব।’
মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি কারণে চা শিল্পের মালিকদের লোকসানে পড়তে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে চা শিল্পে যখন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তখন থেকে বেশ কিছু বাগান এই মজুরি দিতে সক্ষম ছিল না। এ ছাড়া উৎপাদন মূল্যের চেয়ে নিলামে বিক্রি মূল কম হওয়া, বাগানমালিকদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে কিছু বিষয় বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’

উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফুলতলা চা-বাগান মালিকপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও পরিচালনার খরচ বহন করতে না পেরে বাগানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সিলেটের কালাগুল, ছড়াগাঙ্গ ও বরজান চা-বাগান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাংকঋণের জন্য আবেদন করেও তা পাচ্ছেন না এসব বাগানমালিক।
মালিকেরা জানান, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশির ভাগ বাগান ভর্তুকি দিয়ে পরিচালনা করতে হচ্ছে। অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে। চা শিল্প রক্ষার জন্য সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন। আমরা ব্যাংকে ঋণ না পেলে কীভাবে বাগান চালাব। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।’
চা বোর্ড সূত্র জানায়, দেশে ১৬৮টি চা-বাগানে ২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল। চলতি বছরে দেশের সব চা-বাগান নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।
মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি বাগানে আমাদের মজুরি বকেয়া রয়েছে। বাগানের যে অবস্থা, সবাই বলছে বন্ধ করে দেবে। আমরা আমাদের বকেয়া মজুরি চাই, একই সঙ্গে বাগানমালিকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, ‘নতুন বছরে কয়েকটি বাগানে চা উৎপাদন শুরু হলেও বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে; যা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।
বেশির ভাগ বাগানে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানমালিকেরা সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেক দেশে চা উৎপাদন আমাদের চেয়ে কম, তবু তারা কম দামে চা পাচ্ছে। আর আমরা কম দামে বিক্রি করে বেশি দামে কিনে খাচ্ছি।’

চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘চা শিল্প আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে চা উৎপাদন খরচ ও বিক্রি নিয়ে মৌখিক আলোচনা করলেও কাগজেকলমে কোনো কিছু বলছে না। চা উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, আর নিলামে বিক্রি হয় কম। ন্যূনতম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি করা হলে চা শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
শমশেরনগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হুসেন বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বেড়েছে, তবে চায়ের কোয়ালিটি আগের মতোই। এ জন্য চা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’
সরকারি মালিকানাধীন এনটিসি চা-বাগানের ধলাই ভ্যালির ডিজিএম শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, ‘শুনেছি, কয়েকটি চা-বাগান বন্ধ রয়েছে। মজুরি দিতে পারছেন না বাগানমালিকেরা। আমাদের ও শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি রয়েছে।’

শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের মালিক ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসীন মিয়া মধু বলেন, ‘চা শিল্প এখন আগের মতো নেই। এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা খুব বেশি প্রয়োজন। আমরা ভালো চা তৈরি করছি, তবে দাম পাচ্ছি না। বড় একটা সিন্ডিকেট চায়ের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চা কম দামে বিক্রি হলেও বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজও সভা হয়েছে। কিছু বাগানমালিক কৃষি ব্যাংক থেকে লোন চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব।’
মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি কারণে চা শিল্পের মালিকদের লোকসানে পড়তে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে চা শিল্পে যখন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তখন থেকে বেশ কিছু বাগান এই মজুরি দিতে সক্ষম ছিল না। এ ছাড়া উৎপাদন মূল্যের চেয়ে নিলামে বিক্রি মূল কম হওয়া, বাগানমালিকদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে কিছু বিষয় বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
২৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
২৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার, প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৪ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
২৮ মিনিট আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে
১ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কিছু জায়গায় এখনো আগুন দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন। দিন গড়িয়ে গেলেও আগুন আশপাশের দোকান ও গুদামে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।
দোকানমালিকেরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিরাপত্তার কারণে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় অনেক মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান ও ফ্ল্যাট রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একটি দোকানের মালিক কুমিল্লার রুবেল বলেন, ‘মুহূর্তেই আমার ১৭ বছরের অর্জন সব শেষ।’ রায়হান নামে একজন বলেন, ‘আমার দুই কোটি টাকার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।’ আর জুরাইনের সালাম বলেন, ‘আমার বাবার জমি বিক্রির কোটি টাকায় কেনা শীতের কাপড় পুড়ে গেছে।’
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে নির্ধারণ করা হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১২তলা ভবনটির আটতলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজি নূর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা সময় পর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের ভেতরে ধোঁয়া থাকায় উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ কাজ চালিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় ধোঁয়ার মাত্রা বেশি ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া ও কিছু স্থানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কিছু জায়গায় এখনো আগুন দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন। দিন গড়িয়ে গেলেও আগুন আশপাশের দোকান ও গুদামে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।
দোকানমালিকেরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিরাপত্তার কারণে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় অনেক মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান ও ফ্ল্যাট রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একটি দোকানের মালিক কুমিল্লার রুবেল বলেন, ‘মুহূর্তেই আমার ১৭ বছরের অর্জন সব শেষ।’ রায়হান নামে একজন বলেন, ‘আমার দুই কোটি টাকার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।’ আর জুরাইনের সালাম বলেন, ‘আমার বাবার জমি বিক্রির কোটি টাকায় কেনা শীতের কাপড় পুড়ে গেছে।’
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে নির্ধারণ করা হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১২তলা ভবনটির আটতলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজি নূর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা সময় পর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের ভেতরে ধোঁয়া থাকায় উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ কাজ চালিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় ধোঁয়ার মাত্রা বেশি ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া ও কিছু স্থানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি হাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগানমালিকদের। দেশে ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে বেশির ভাগের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বাগানমালিকেরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে চা নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
২৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে