Ajker Patrika

সিসিক নির্বাচন: স্বতন্ত্র ৫ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১৬: ৫৮
সিসিক নির্বাচন: স্বতন্ত্র ৫ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে পাঁচজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে ১১ জন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের। এ সময় ভোটারদের তথ্যে ভুল, সম্পদের হিসাবে গরমিল ও আয়কর রিটার্নজনিত সমস্যার কারণে স্বতন্ত্র পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামসুন নুর তালুকদার, মো. আব্দুল মান্নান খান, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া ও মুস্তফা আহমেদ রউফ মোস্তফা। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির বলেন, তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তাঁরা আপিল করতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), মো. জহিরুল আলম (জাকের পার্টি), মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (স্বতন্ত্র), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (স্বতন্ত্র)।

তবে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করবেন বলে জানান ওই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা। তাঁদের একজন মুস্তফা আহমেদ রউফ মোস্তফা বলেন, ‘আমি একজন প্রবাসী। এক সপ্তাহ আগে দেশে এসেছি। তাই আয়কর দেওয়ার সুযোগই ছিল না। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব।’

মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। যারা নির্বাচন ভয় পায়, তারাই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আজ গাজীপুরের নির্বাচনে ইভিএমের স্বচ্ছতা প্রমাণিত হবে।’

তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সরকারি দলের পক্ষপাতমূলক আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। আমরা দাবি জানাই, নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁরা যেন নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন।’

একইভাবে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মূলত মুরব্বিদের ভূমিকা পালন করবে—আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’ ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের দাবি জানান তিনি।

সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ওয়ার্ড ৪২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত