Ajker Patrika

শায়েস্তাগঞ্জের শহীদ মিনার অযত্নে অবহেলিত

প্রতিনিধি, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) 
শায়েস্তাগঞ্জের শহীদ মিনার অযত্নে অবহেলিত

শায়েস্তাগঞ্জের বেশির ভাগ স্কুল কলেজে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে আছে শায়েস্তাগঞ্জের শহীদ মিনারগুলো। যেই মাঠ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পদচারণায় মুখরিত থাকত, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। স্বাভাবিক অবস্থায় শহীদ মিনারগুলোকে আলাদা যত্ন করে রাখা হতো। কিন্তু একটানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শহীদ মিনারে জমেছে ময়লা, ধুলো, কোথাও কোথাও জমেছে শ্যাওলা। করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটানা বন্ধ থাকায় জাতীয় দিবসগুলো সীমিত পরিসরে পালিত হয়ে আসছে। একই সঙ্গে শহীদ মিনারগুলোর অবহেলাও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সিঁড়িতে জমেছে ময়লা। উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে দেখা গেছে ধুলোর আস্তরণ, মাঠের ঘাসগুলো বড় হয়ে উঠেছে। আবার নুরপুর ইউনিয়নের শাহজীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে রাতের বেলায় দেখা গেছে কেউ কেউ জুতা পায়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। শায়েস্তাগঞ্জের বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে দেখা গেছে আশপাশে পড়ে আছে নানান রকম নির্মাণ সামগ্রী। শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে দেখা গেছে গাছের পাতা জমে স্তূপ হয়ে আছে। আরও দেখা গেছে শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের চারপাশে রাতের অন্ধকারে প্রায়শই একদল যুবক বসে মোবাইলে বিভিন্ন রকম গেম খেলছেন। আবার কেউ কেউ জুতা পরে নির্বিঘ্নে আড্ডা দিচ্ছেন। 

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শহীদ মিনার আমাদের আদর্শ আর চেতনার জায়গা, আমাদের সন্তানেরা যেন এই আদর্শ ধারণ করতে পারে সে জন্য সব সময় শহীদ মিনার এর প্রতি সকলের শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। 

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শহীদ মিনার অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে। এর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি উদাসীনতাই দায়ী, যা মোটেও কাম্য নয়। যদিও স্কুল বন্ধ থাকায় দপ্তরির কাজ নেই, তাঁরা অন্তত শহীদ মিনারসহ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখত তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামি একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক জানান, শুধু জাতীয় দিবস নয়, শহীদ মিনারের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত, আর শহীদ মিনার ঠিকমতো পরিচর্যা হচ্ছে কিনা তা সব সময় নজরদারি রাখা দরকার। 

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার হচ্ছে আমাদের দেশের গর্বিত সন্তানের প্রতি সম্মান জানানোর একটি স্মৃতিস্তম্ভ। কোনভাবেই এর অবমাননা হয় এমন কিছু করা যাবে না, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবিশেষকে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

খালদূষণকারী কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব পুরস্কার

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

অপারেশন রেড ওয়েডিং ও নার্নিয়া: ইরানের সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যায় ইসরায়েলি অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত