Ajker Patrika

ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি 
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ওয়ান টু থ্রি ফোর, চাঁদাবাজ নো মোর; চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; যুবদলের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে লাশের ওপর নৃত্য করেছিল। এখন বিএনপির একটি অঙ্গ সংগঠন সেটি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, কারা ক্ষমতায় আসবে এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, কোনো সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই না।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর আমরা এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেই পুরোনো চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। এসব অপরাধের অধিকাংশই করছেন একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। ঢাকার মিটফোর্ডের সামনে যুবদলের কতিপয় সন্ত্রাসী এক ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে পাথর মেরে হত্যা করেছে। এরপর তারা লাশের ওপর দাঁড়িয়ে যে পৈশাচিক উল্লাস করেছে, এ ঘটনা যেন আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়।’

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৬ সালের লগি-বইঠার তাণ্ডব ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে যদি আবারও কেউ আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তাহলে অবস্থা আওয়ামী লীগের মতোই হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে চব্বিশ এক ফ্যাসিবাদের বিদায় ঘটিয়েছে। এই বাংলায় আবারও যদি কেউ অতীতের মতোই ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে চায়, বাংলার ছাত্র-জনতা ঘরে বসে থাকবে না। মধ্যযুগীয় কায়দায় এ রকম নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যেন দ্বিতীয়বার কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’—মৃত্যুর আগে স্ট্যাটাস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

হাসিনাকে হটানো র‍্যাপ-মিম বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি

চিকিৎসককে হেনস্তা বিএনপি নেতার, প্রতিবাদ করলে নারীকে মারধর

সিরিয়াস ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত