বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
মৌসুমি ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম সুপরিচিত জায়গা হচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার স্বরূপগঞ্জ, পুরাণগাঁও, মাছিমপুরের আশপাশের এলাকা। এখানকার প্রায় ২ শতাধিকের বেশি কৃষক রসালো ফলটি আবাদের সঙ্গে জড়িত। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি চাহিদা থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল তরমুজ। কিন্তু চলতি মৌসুমে পাতা কোঁকড়া লেগে ক্রমশ গাছ মরে যাচ্ছে। খেতের এই অবস্থা দেখে তরমুজ চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয় চাষিরা বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে এ উপজেলায় তরমুজ আবাদ হচ্ছে। চাষিদের পাশাপাশি দিনমজুরেরাও প্রতিবছর এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকে। মাটি, পানি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা প্রতি বছরই তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। কিন্তু গত দু'বছর যাবৎ ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। চলতি বছরের মরা রোগ কাটিয়ে ভাগ্য ভালো থাকলে কেউ কেউ মূলধন ফিরে পাবে। কেউ আবার মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হবেন। ফলে ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন চাষিরা।
স্বরূপগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকায় আমি ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বীজ বপন করি। গাছে ফুল এসেছে তবে তেমন ফল ধরেনি। জমিতে জৈব সার, বালাইনাশক সবই দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে লাগানো পাশের উপজেলা তাহিরপুরে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। তাঁরা তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে। অথচ আমাদের যা কিছু তরমুজ ধরেছে তাও বড় হচ্ছে না। এ বছর কোনো মতে খরচের টাকা ওঠাতে পারব কি না সন্দেহ আছে।
সালাম মিয়া বলেন, এমন এক রোগ ধরেছে যে একের পর এক গাছ মরে যাচ্ছে। খেত বাঁচানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু তা কোনো কাজেই দিচ্ছে না। বীজ থেকে সময়মতো চারা গজিয়ে লতানো গাছে খেত ছেয়ে যায়। ফুলও ধরে। কিন্তু তরমুজ আর ধরে না। দু-একটি গাছে একটি-দুটি তরমুজ ধরলেও তা আকারে খুবই ছোট। এদিকে ব্যাংকের ঋণ ও সারের দোকানে বাকি রেখে তরমুজ লাগিয়েছি। এভাবে গাছ মরে খেত নষ্ট হতে থাকলে সেই ঋণ পরিশোধ করা মুশকিল হয়ে যাবে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য না পেলে সকলকেই মাঠে মারা যেতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, আমাদের বিশ্বম্ভরপুরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একটু দেরি করে চাষ করার কারণে কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। উত্তম পরিচর্যার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
মৌসুমি ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম সুপরিচিত জায়গা হচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার স্বরূপগঞ্জ, পুরাণগাঁও, মাছিমপুরের আশপাশের এলাকা। এখানকার প্রায় ২ শতাধিকের বেশি কৃষক রসালো ফলটি আবাদের সঙ্গে জড়িত। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি চাহিদা থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল তরমুজ। কিন্তু চলতি মৌসুমে পাতা কোঁকড়া লেগে ক্রমশ গাছ মরে যাচ্ছে। খেতের এই অবস্থা দেখে তরমুজ চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয় চাষিরা বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে এ উপজেলায় তরমুজ আবাদ হচ্ছে। চাষিদের পাশাপাশি দিনমজুরেরাও প্রতিবছর এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকে। মাটি, পানি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা প্রতি বছরই তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। কিন্তু গত দু'বছর যাবৎ ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। চলতি বছরের মরা রোগ কাটিয়ে ভাগ্য ভালো থাকলে কেউ কেউ মূলধন ফিরে পাবে। কেউ আবার মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হবেন। ফলে ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন চাষিরা।
স্বরূপগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকায় আমি ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বীজ বপন করি। গাছে ফুল এসেছে তবে তেমন ফল ধরেনি। জমিতে জৈব সার, বালাইনাশক সবই দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে লাগানো পাশের উপজেলা তাহিরপুরে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। তাঁরা তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে। অথচ আমাদের যা কিছু তরমুজ ধরেছে তাও বড় হচ্ছে না। এ বছর কোনো মতে খরচের টাকা ওঠাতে পারব কি না সন্দেহ আছে।
সালাম মিয়া বলেন, এমন এক রোগ ধরেছে যে একের পর এক গাছ মরে যাচ্ছে। খেত বাঁচানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু তা কোনো কাজেই দিচ্ছে না। বীজ থেকে সময়মতো চারা গজিয়ে লতানো গাছে খেত ছেয়ে যায়। ফুলও ধরে। কিন্তু তরমুজ আর ধরে না। দু-একটি গাছে একটি-দুটি তরমুজ ধরলেও তা আকারে খুবই ছোট। এদিকে ব্যাংকের ঋণ ও সারের দোকানে বাকি রেখে তরমুজ লাগিয়েছি। এভাবে গাছ মরে খেত নষ্ট হতে থাকলে সেই ঋণ পরিশোধ করা মুশকিল হয়ে যাবে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য না পেলে সকলকেই মাঠে মারা যেতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, আমাদের বিশ্বম্ভরপুরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একটু দেরি করে চাষ করার কারণে কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। উত্তম পরিচর্যার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ডিজাইন টেক্স নিটওয়্যার কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে মারধরের ঘটনায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৬৮ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
২ মিনিট আগেসিলেটের জাফলংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনায় এক যুবদল নেতাকে বহিষ্কার এবং আরেক ছাত্রদল নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খান ও ৩ নম্বর পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। রোববার যুবদল ও ছাত্রদলে
১৮ মিনিট আগেশরীয়তপুরে আদালতে হাজিরা শেষে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে ধাক্কা মেরে মাদক মামলার দুই আসামি হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে অভিযান চালিয়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ পর্বের ফল প্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। এতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বোর্ডে পাঠানোর সময় কারিগরি ত্রুটিকে দায়ী করে দুঃখ প্রকাশ
১ ঘণ্টা আগে