মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৬৭টি চা-বাগান রয়েছে। এসব বাগানে চা-শ্রমিক পরিবারের প্রায় ৯ লাখ সদস্য বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। কেউ কেউ শিক্ষা অর্জন করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তবে অধিকাংশই আছেন বেকারত্বের কবলে।
বাগানের চা-শ্রমিকনেতা ও বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা জানান, চা-শ্রমিকদের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি হলো বেকারত্বের সংখ্যা। সরকার ও চা-বাগানের মালিকপক্ষ চাইলে এই বেকারত্ব দূর করতে পারে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। বাগানের ভেতরে আইন অনুযায়ী একরপ্রতি নির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের বিধান থাকলেও তা মানা হয় না। প্রচুর আবাদি জমি থাকা সত্ত্বেও আবাদ করা হচ্ছে না, তাই কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। যে জমি চা-চাষের অনুপযোগী, তা ধান চাষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চাষ করতে গেলে একরপ্রতি প্রায় ১১ মণ ধান কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ চা-শ্রমিকদের রেশন থেকে এই ১১ মণ ধানের সমপরিমাণ চাল কেটে রাখে। এই জমিগুলো শ্রমিকদের নামে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলে তাঁদের জীবন উন্নত হতো। কিন্তু তা না করে শ্রমিকদের মদের বোতল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই মদের নেশায় অনেকে কাজের জন্য বাইরেও যান না।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বলেন, ‘বাগান থেকে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা এখনো সৃষ্টি হয়নি। মদ ছাড়াতে পারলে বাগানে শিক্ষার হার অনেক বেড়ে যেত। আমাদের আলীনগর চা-বাগানে শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করেন। এভাবে যদি প্রতিটি বাগানে হতো, তাহলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হতো। সরকার যদি বাগানের মদের পাট্টাগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে বেকারত্ব দূর হবে।’
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৬৭টি চা-বাগান রয়েছে। এসব বাগানে চা-শ্রমিক পরিবারের প্রায় ৯ লাখ সদস্য বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। কেউ কেউ শিক্ষা অর্জন করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তবে অধিকাংশই আছেন বেকারত্বের কবলে।
বাগানের চা-শ্রমিকনেতা ও বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা জানান, চা-শ্রমিকদের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি হলো বেকারত্বের সংখ্যা। সরকার ও চা-বাগানের মালিকপক্ষ চাইলে এই বেকারত্ব দূর করতে পারে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। বাগানের ভেতরে আইন অনুযায়ী একরপ্রতি নির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের বিধান থাকলেও তা মানা হয় না। প্রচুর আবাদি জমি থাকা সত্ত্বেও আবাদ করা হচ্ছে না, তাই কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। যে জমি চা-চাষের অনুপযোগী, তা ধান চাষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চাষ করতে গেলে একরপ্রতি প্রায় ১১ মণ ধান কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ চা-শ্রমিকদের রেশন থেকে এই ১১ মণ ধানের সমপরিমাণ চাল কেটে রাখে। এই জমিগুলো শ্রমিকদের নামে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলে তাঁদের জীবন উন্নত হতো। কিন্তু তা না করে শ্রমিকদের মদের বোতল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই মদের নেশায় অনেকে কাজের জন্য বাইরেও যান না।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বলেন, ‘বাগান থেকে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা এখনো সৃষ্টি হয়নি। মদ ছাড়াতে পারলে বাগানে শিক্ষার হার অনেক বেড়ে যেত। আমাদের আলীনগর চা-বাগানে শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করেন। এভাবে যদি প্রতিটি বাগানে হতো, তাহলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হতো। সরকার যদি বাগানের মদের পাট্টাগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে বেকারত্ব দূর হবে।’
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নালা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম শিহাচর নূর মসজিদ সংলগ্ন নালা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারার অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) পাহাড় ধসে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ডাইং কারখানায় গ্যাসের বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার মঞ্জু ডাইং অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমামলা, জিডি করে হয়রানির প্রতিকার এবং ৪ দফা দাবি আদায়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে প্রতীকী কফিন মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতে দাবি না মানা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে কফিন মিছিল ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে
২ ঘণ্টা আগে