Ajker Patrika

মে দিবস: বেকারত্বে জর্জরিত চা-শ্রমিকদের পরিবারগুলো

মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ১১: ১২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৬৭টি চা-বাগান রয়েছে। এসব বাগানে চা-শ্রমিক পরিবারের প্রায় ৯ লাখ সদস্য বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। কেউ কেউ শিক্ষা অর্জন করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তবে অধিকাংশই আছেন বেকারত্বের কবলে।

বাগানের চা-শ্রমিকনেতা ও বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা জানান, চা-শ্রমিকদের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি হলো বেকারত্বের সংখ্যা। সরকার ও চা-বাগানের মালিকপক্ষ চাইলে এই বেকারত্ব দূর করতে পারে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। বাগানের ভেতরে আইন অনুযায়ী একরপ্রতি নির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের বিধান থাকলেও তা মানা হয় না। প্রচুর আবাদি জমি থাকা সত্ত্বেও আবাদ করা হচ্ছে না, তাই কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। যে জমি চা-চাষের অনুপযোগী, তা ধান চাষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চাষ করতে গেলে একরপ্রতি প্রায় ১১ মণ ধান কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ চা-শ্রমিকদের রেশন থেকে এই ১১ মণ ধানের সমপরিমাণ চাল কেটে রাখে। এই জমিগুলো শ্রমিকদের নামে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলে তাঁদের জীবন উন্নত হতো। কিন্তু তা না করে শ্রমিকদের মদের বোতল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই মদের নেশায় অনেকে কাজের জন্য বাইরেও যান না।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বলেন, ‘বাগান থেকে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা এখনো সৃষ্টি হয়নি। মদ ছাড়াতে পারলে বাগানে শিক্ষার হার অনেক বেড়ে যেত। আমাদের আলীনগর চা-বাগানে শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করেন। এভাবে যদি প্রতিটি বাগানে হতো, তাহলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হতো। সরকার যদি বাগানের মদের পাট্টাগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে বেকারত্ব দূর হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

ভোটের হাওয়ায় জোটের অঙ্ক

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

আন্দোলনকারীদের মারধর, থমথমে শেবাচিম হাসপাতাল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত