Ajker Patrika

আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে: মেয়র আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে: মেয়র আরিফ

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সিটি নির্বাচন সামনে রেখে আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে নোটিশ ছাড়া ব্যক্তিগত ও বাসভবনের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।  

আজ বুধবার বিকেলে নগরভবনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র একথা বলেন। 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাসার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ বিষয়ে কথা বলার পর সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনের দেওয়ালে ফাটল ও বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে নতুন নির্মিত টার্মিনাল ভবনের দেওয়ালে ফাটল ধরা পড়ার পরই সিসিকের উদ্যোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। সে কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী টার্মিনাল ভবনের নকশায় ত্রুটি রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের ত্রুটি মেরামতের লক্ষ্যে নকশাটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য শাবির সিআরটিসি (সেন্টার ফর রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি) কে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার টার্মিনাল ভবনের ওয়েটিং রুমের গ্লাস ভেঙে পড়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে আমার বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা ৬ জন আনসার বাহিনীর সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সিলেটে নতুন যোগদান করা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার। মৌখিক বা লিখিত-কোনোভাবেই আমাকে বা সিসিকের কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অথচ গত ৬ বছর ধরে মাসিক বেতনের বিনিময়ে আনসার বাহিনীর ২৪ জন সদস্যকে নগরভবন ও আমার (মেয়রের) বাসার অফিসসহ সিসিকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

মেয়র আরিফ প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার বাসায় যদি এভাবে নিরাপত্তা দেওয়া আইনসিদ্ধ না হয় তবে দীর্ঘ ৬ বছর তারা কোথায় ছিলেন? আমি নগরবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির সিলেট জেলার কমান্ড্যান্ট আলী রেজা রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে নগর কর্তৃপক্ষ নগর ভবনের নিরাপত্তা দিতে আনসার নিয়েছিল। বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তার বাসভবনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরে নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, মেয়রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচজন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন এসব আনসার সদস্য শুধু নগর ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নগর ভবনে কাজ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। নগর ভবনে নিরাপত্তা দিতে তারা কাজ করবেন, তবে কারও কোনো ব্যক্তিগত কাজ করবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত