Ajker Patrika

সিলেট-৩-এর উপনির্বাচন নিয়ে অনড় ইসি

মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
সিলেট-৩-এর উপনির্বাচন নিয়ে অনড় ইসি

দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের উচ্চসংক্রমণ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন চলছে। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা নেমেছেন প্রচারে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেও সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

নির্বাচনের কারণে জনসমাগম হবে এমনটা জানার পরও আইনের বাধ্যবাধকতার কথা বলে এই উপনির্বাচন ২৮ জুলাই শেষ করতে চায় ইসি। সম্প্রতি ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এখন পর্যন্ত ভোটের আয়োজনের ব্যাপারে অনড় রয়েছে ইসি। যদিও সরকার ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।  

এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা থাকায় উপনির্বাচনের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে। নতুন করে পেছানোর কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরেকটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডায় উপনির্বাচন নিয়ে কিছু নেই।’ সর্বশেষ সভার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিনের সভায় এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

করোনা পরিস্থিতিতে সভা–সমাবেশ ও জনসমাগমে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আসন্ন উপনির্বাচনকে ঘিরে সিলেট–৩–এর ভোটকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচার চলছে। এতে শত শত লোক ভিড় করছেন।

আজকের পত্রিকার ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভোট প্রচারের ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী এম এমদাদুল ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রচারে প্রার্থী ও সমর্থকদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কেউ এই নির্দেশনা মানছেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ দুই দিনের তথ্য অনুযায়ী সিলেট জেলায় করোনাভাইরাসের মোট নমুনা সংগ্রহের প্রায় অর্ধেকই আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। গত সোমবার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৬৬৯ জনের। এর মধ্যে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৬১ জন। পরদিন নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৭৫২ জনের। শনাক্তের সংখ্যা ৩১৪।
করোনার পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজন না করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল করোনাসংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শ কমিটি। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে–নজীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন আগে ইউপি নির্বাচন করেছে ইসি। করোনার এই সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেটা উচিত হয়নি। আরও একটি নির্বাচনের কথা রয়েছে। পরিস্থিতির বিবেচনায় জনসমাগম হয় এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড না করাই ভালো।

গত এপ্রিল মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সব ধরনের ভোট আয়োজন বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন। অবশ্য পরে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করে। এ সময় ১৪ জুলাই সিলেট–৩ আসনের ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা ২৮ জুলাই করে কমিশন।

২৮ জুলাইয়ের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন হাবিবুর রহমান (আওয়ামী লীগ), আতিকুর রহমান (জাতীয় পার্টি), জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (প্রতীক ডাব) ও শফি আহমদ চৌধুরী (প্রতীক গাড়ি)।

গত ১১ মার্চ সিলেট–৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত