Ajker Patrika

ঢলের পানিতে বাড়ছে নদীর পানি, আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ ঘরের মানুষ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মে ২০২২, ১৫: ৫৩
ঢলের পানিতে বাড়ছে নদীর পানি, আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ ঘরের মানুষ

ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। 

আজ শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, ভারতের মেঘালয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন দিন পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। 

অন্যদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে এবং ১২টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলার ভাদেরটের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ সময় উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডাকসু নেতা সর্বমিত্রের ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না: ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডাকসু নেতা সর্বমিত্রের ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না: ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরেকবার সংঘাত ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করছে। প্রথমে আমরা লক্ষ করলাম, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এখতিয়ারবহির্ভূত উপায়ে ডাকসুর নেতারা নেতৃত্ব দিয়ে বর্বর কায়দায় উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলেন। অথচ তাঁরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব আশ্রয়হীন মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। তা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আশ্রয় নিয়ে যখন প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের শিকার হকার, উদ্বাস্তু, ভবঘুরেসহ প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে তাঁরা ভিন্নমত দমনের পুরোনো ভয়াবহ কায়দা অবলম্বন করলেন।

একই দিনে একজন ডাকসু নেতার উপস্থিতিতে দুজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেন, তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন। এ ঘটনাস্থলেই একজন রিকশাচালকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আহত হওয়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যের ছবি ব্যবহার করে বামপন্থীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায়ও লিপ্ত হয়েছেন কয়েকজন ডাকসু নেতা। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ডাকসু নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য ও ক্রমাগত মিথ্যাচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টামাত্র। এর প্রমাণ বহন করে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি।

ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ব্যালট বিতর্কসহ নানাবিধ অমীমাংসিত অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর ব্যানারের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রাজনীতি নতুন মোড়কে হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় চলমান এ ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি সহ্য করবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর তোফাজ্জল ও সাম্য খুনের বিচার শেষ হওয়ার আগেই যাঁরা আরেকবার ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার দিবাস্বপ্নে রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।

আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই হুমকি দেন।

স্ট্যাটাসে আবির লেখেন, ‘আপনাদের একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই। সেদিন যখন প্রক্টর অফিসে আমার ফোন চেক করা হয় এবং আমি সেখানে বসা, তখন বামপন্থীরা হকারদের সঙ্গে মিছিল করছিল (বাইরে)। এমন সময় কোত্থেকে সর্বমিত্র চাকমা রুমে ঢুকে বললেন, ‘‘আপনি শুধু অনুমতি দিন স্যার, হলপাড়া থেকে ১০টা পোলাপান নিয়ে তাদের মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’

আবির আরও লেখেন, ‘আমার তখন জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, ছোটভাই, তোমার হল যেন কোনটা? নিজের হল থেকে দুইটা পোলাপান নিয়ে আসো তো পারলে, দেখি।’

আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সর্বমিত্র লেখেন, ‘হল পাড়া থেকে ১০টা পোলাপানের কথা বলি নাই। মিনিমাম ২০০ জনের একটা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ১০ জন কম হয়ে যায়। আমার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোর আর গাঞ্জা বিক্রেতারা এসে মিছিল করবে আর আমি আঙুল চুষবো! সরি, ব্রো!’

পরে অবশ্য সর্বমিত্রের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকা সর্বমিত্র চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো লেখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সেটি ‘‘ওনলি মি’’ করে রেখেছি। আমি পোস্টটি আবারও পাবলিক করব।’

তবে তিনি প্রক্টর অফিসে বামপন্থী ও হকারদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলিনি। তারা ক্যাম্পাসে মাদকের কারবার করে, প্রক্টরিয়াল টিম তাদের উচ্ছেদ করতে অপারগতা জানাচ্ছিল, তখন আমি ছাত্রদের নিয়ে তাদের প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম।’

এদিকে সর্বমিত্রের এই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না। সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘মাদক কারবারি’ আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।

গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে এসব উচ্ছেদের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হকারদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন।

ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের ‘মোরাল পুলিশিং’ ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

অন্যদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চেক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগও দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পলো দিয়ে বিলে মাছ ধরার উৎসব

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি  
পলো দিয়ে বিলে মাছ ধরতে নেমেছেন মৎস্য শিকারিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পলো দিয়ে বিলে মাছ ধরতে নেমেছেন মৎস্য শিকারিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিলের জলে নেমে পলো (মাছ ধরার ফাঁদ) নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন মৎস্য শিকারিরা। রুই, কাতলা, মিনার কার্প, শোল, গজার, বোয়াল, মিনার কার্প, টাকিসহ নানারকম মাছ শিকার করছেন তাঁরা। বিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ শৌখিন মৎস্য শিকারিদের এই মাছ ধরার উৎসব দেখতে ভিড় করেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাঘা-লালপুরের ধনদহ-অমরপুর-বোয়ালিয়া বিলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। আজ ছিল বিলে মাছ ধরার উৎসব। মাছ ধরার এই উৎসবের আয়োজন করেন দিঘার নওদাপাড়ার রুমেল, পাভেল, সামিউলসহ স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, আজ বিলে প্রায় দুই কেজি ওজনের দেশীয় শোল মাছ পাওয়া গেছে।

প্রতিবছর বিল থেকে বর্ষার পানি কমে যাওয়ার সময় শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব। গ্রামবাংলার এই মাছ ধরার উৎসবে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ শখ করে পলো দিয়ে মাছ শিকারে নামেন। শৌখিন মৎস্য শিকারিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো বিল এলাকা। স্থানীয় সহিদুল ইসলাম জানান, ধনদহ-অমরপুর-বোয়ালিয়া বিলে পলো দিয়ে মাছ শিকার এ অঞ্চলের অনেক পুরোনো ঐতিহ্য।

বিলে মাছ শিকার করতে আসা কয়েকজন মৎস্য শিকারি বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর অতি বৃষ্টি হওয়ায় বিলে দেশীয় মাছ ধরতে পেরেছেন। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দেশীয় মাছ উৎপাদিত হয় বিলাঞ্চলে। প্রতিবছর মাছ ধরার জন্য তাঁরা এ সময়টা অপেক্ষা করেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তহুরা হক বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বিলের মাছকে টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুবদল কর্মী হত্যা: রাউজানে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

রাউজান প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার রাসেল খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার রাসেল খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাউজানে যুবদল কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৫০) হত্যা মামলায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাসেল খানসহ (৪৩) দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে রাসেলকে উপজেলার জলিল নগরের পশ্চিমের আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাউজান উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

গ্রেপ্তার রাসেল উপজেলার ৭ নম্বর রাউজান ইউনিয়নের হারিশখানপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আমিন কেরানীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার কামাল ড্রাইভারের বাড়ির ফজল করিমের ছেলে মো. হৃদয় (২৩)।

রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন জানান, গ্রেপ্তার দুজনই আলম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

জানা গেছে, গতকাল রাতে কোনো এক সময়ে নিহত যুবদল কর্মী আলমের বাবা আব্দুস সাত্তার ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তবে মামলার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয় বলে জানান থানা-পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। একই সঙ্গে দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গতকাল রাত ও আজকে দিনের বেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। পরে আজ রাত ৮টার দিকে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি বেলায়েত হোসেন দুজনকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেন।

এএসপি বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘মূলত আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। তাই প্রথম দিকে সার্বিক পরিস্থিতি ও তদন্তের স্বার্থে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। নিহত আলমের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। রাসেল খান মামলার ৭ নম্বর আসামি। আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ফুটেজ তদারকিসহ সবকিছু আমলে নিয়ে কাজ করছি। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি আটজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছি।’

এদিকে রাসেল খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ রাউজান উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদল বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। শত শত নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে রাউজান-ফকিরহাটসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত যানবাহন আটকা পড়ে। চালক ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাসেল ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে তাঁর বড় ভাই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদল নেতা মো. মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘আমার ভাই রাজপথের ত্যাগী নেতা। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিছু জানি না, বলেওনি। আমরা সারা রাত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি।’

সাবেক এই ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী রাসেল খানকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সে রাজপথে থেকে আওয়ামী দোসরদের কাছ থেকে বারবার নির্যাতিত হয়েছে। আগেও হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। আবার নতুন করে তাকে ফাঁসানো হলো। আমরা রাসেল খানের মুক্তি চাই।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন যুবদল কর্মী আলম। এ দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। যুবদল কর্মী আলম মোটরসাইকেলে পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান মোটরসাইকেলের পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিল। এ ঘটনায় আলমগীর আলমের আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদও (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। খুন হওয়া আলম বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। গোলাম আকবর খোন্দকারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত